নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব তৈজস পত্রের ফটোগ্রাফি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। সকলে ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি।আমিও ভাল আছি। আজ ২৪ শে ফাল্গুন। বসন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ০৮ মার্চ ,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
বন্ধুরা, আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। সবাইকে নারী দিসসের শুভেচ্ছা।এবার ঢাকার আবহাওয়া অনেকটা বিরুপ। মার্চের ১ম সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও বিকেলের পর থেকেই একটু ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে। বিগত বছর গুলোতে কখনো এমন আবহাওয়া দেখিনি।এই আবহাওয়ার বিরুপতায় মানুষ সর্দি-জ্বর সহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই আমাদের সাবধান থাকতে হবে, আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে হবে।বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ উপস্থাপন করবো,নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব তৈজস পত্রের ফটোগ্রাফি। এর আগে পরিবেশবান্ধব মিষ্টি, সব্জি ও ফলমূলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে। আজকের উপস্থাপিত পরিবেশবান্ধব তৈজস প্ত্রের ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছি সুপণ্য সমাহার পরিবেশবান্ধব ক্ষুদ্র উদ্যোগ মেলা-২০২৪ থেকে।এই মেলা সম্পর্কে বিস্তারিত আগের পোস্ট গুলোতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে মেলায় গেলে নানা আইডিয়া পাওয়া যায়। উদ্যোক্তাদের সম্পর্কে জানা যায়। নিত্যনতুন পণ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।কত শত কাজ যে আমাদের দেশীয় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা করে থাকেন, এই ধরণের মেলায় না গেলে জানতেই পারতাম না।পাট,নারিকেল,বাঁশ ও কাঠের তৈরি তৈজস পত্র সহ প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই তৈরি হচ্ছে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন,দেশীয় মার্কেটের চেয়ে বিদেশী মার্কেটে তাদের পণ্যের চাহিদা বেশী। ভালো লাগার বিষয় এসব নান্দনিক, পরিবেশবান্ধব পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে, দেশের জিডিপিকে সমৃদ্ধ করছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। বন্ধুরা আশাকরি আমার আজকের নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব তৈজস পত্রের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
১ম ফটোগ্রাফি
নারিকেলের মালা দিয়ে এই দৃষ্টিনন্দন কাপ গুলো তৈরি করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা জানালেন দেশীয় মার্কেটে দিন দিন এই কাপের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২য় ফটোগ্রাফি
একধরণের বাঁশকে বিশেষ পদ্ধতিতে প্রসেশিং করে পানি রাখার জগ ও পানি খাওয়ার গ্লাস তৈরি করছেন। এসব বাঁশের তৈরি জিনিস পত্র মানুষ বেশ আগ্রহ সহকারে দেখছেন আবার কেউ কেউ কিনছেন।
৩য় ফটোগ্রাফি
কাঠের তৈরি কেতলি। কাঠ প্রসেশিং করে নান্দনিক এই কেতলি গুলো তৈরি করা হয়েছে। দেশে ও বিদেশে এসব পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।
৪র্থ ফটোগ্রাফি
বাঁশের তৈরি
মগ ও গ্লাস। পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব এইসব বাঁশের তৈরি মগ ও গ্লাস এখন সৌখিন ও স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের আগ্রহে পরিনত হয়েছে। উদ্যোক্তারা জানালেন দেশেও এই পণ্যের চাহিদা অনেক।
৫ম ফটোগ্রাফি
পাটের দড়ি দিয়ে ঝুড়ি তৈরি।দেশের চেয়ে বিদেশে পাটের এসব পণ্যের চাহিদা অনেক বেশি। প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে থাকেন উদ্যোক্তারা এধরণের পাটপণ্য রপ্তানি করে।
বন্ধুরা, নান্দনিক ও পরিবেশবান্ধব বাঁশ,কাঠ, নারিকেলের মালা ও পাটের তৈরি তৈজস পত্রের আজকের ফটোগ্রাফি গুলো আশাকরি আপনাদের ভালো লেগেছে। সবাই সুস্থ্য ও ভালো থাকুন। আজ এই এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে আগামিকাল অন্য কোন ব্লগ নিয়ে।শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | ফটোগ্রাফি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ৮ই মার্চ ২০২৪ইং |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন এখনকার আবহাওয়াটা ভীষণ খারাপ। আমার বাসায় মোটামুটি সবাই জ্বর সর্দি কাশিতে আক্রান্ত এবং বেশ কিছুদিন থেকে ছাড়ছেই না।
আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুব চমৎকার কিছু পরিবেশবান্ধব তৈজসপত্রের ছবি নিয়ে হাজির হয়েছেন। আপনার আজকের পোস্টটি আমার কাছে বেশ মূল্যবান মনে হয়েছে। একটা সময় আমাদের দেশে পাটের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখা যেত কিন্তু দিন দিন সেগুলো সব হারিয়ে যাচ্ছে। আপনি নারিকেলের মালা এবং বাঁশের তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখিয়েছেন যেগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আমার তো ইচ্ছে করছিল কিছু পরিবেশবান্ধব তৌজসপত্র কিনে নিয়ে আসি। ইনশাআল্লাহ সুযোগ পেলেই আমি এগুলো সংগ্রহে রাখার ইচ্ছে পোষণ করছি। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
মেলায় গিয়ে ভিন্ন ধরনের তৈজসপত্র দেখতে পেয়ে আমার ও বেশ ভালো লেগেছে।ধন্যবাদ ভাইয়া মতামতের জন্য।
আপু আজ নারী দিবসে আপনাকেও জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনি আজ পরিবেশবান্ধব তৈজসপত্রের ভিন্নধর্মী কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছেন।আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। কাঠ,বাঁশ ও পাট দিয়ে কতই না চমৎকার জিনিসগুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন আপু।আমার কাছে সব কয়টা সামগ্রীই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।
সবগুলো জিনিসই পরিবেশ বান্ধন। দিন দিন এর ব্যবহারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু।
আসলেই আপু প্রতিবার এই সময়ে অনেক বেশি গরম পড়ে যায়। এবার তো রাতের বেলায় ফ্যান চালালেও ঠান্ডা লাগছে। এরকম আবহাওয়ার জন্য সবার ঠান্ডা কাশির সমস্যা হচ্ছে। যাইহোক আপু পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্রের খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। বিশেষ করে নারিকেল মালা দিয়ে বানানো কাপগুলো খুব সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। তাছাড়া কাঠের কেটলিগুলো দারুন লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ অন্যরকম কিছু সুন্দর জিনিসসের ফোটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমারও বেশ পছন্দ হয়েছে নারিকেল মালার কাপগুলো।ধন্যবাদ আপু।
https://twitter.com/selina_akh/status/1766771160912740374
পাটের দড়ির ঝুড়ির প্রচলন তো আমাদের উপমহাদেশে অনেক আগে থেকেই রয়েছে। তবে বাকি সকল জিনিসই আমার কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হলো আপু। বিশেষ করে বাঁশের তৈরি জগ, মগ এগুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। আবার নারকেলের মালাই দিয়ে তৈরি কাপগুলোও বেশ! আমি ওই মেলায় গেলে হয়তো আমার অনেকগুলো টাকা খরচ হয়ে যেতো! নইলে ভীষণ মন খারাপ হয়ে যেতো! 🫢
যাক না গিয়ে ভালই করেছেন কিছু টাকা বেচে গেলো। তবে দেখতে বেশ সুন্দর ছিল জিনিসগুলো।ধন্যবাদ আপু।