রাইটিংঃ তারুণ্য উৎসবে একদিন।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমিও ভাল আছি। আজ্ ৭ই জৈষ্ঠ্য ১৪৩০ বঙ্গাব্দ,২১ মে,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।প্রিয় বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বাংলাদেশের নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেন,এমন একটি ঐহিহ্যবাহী সংগঠনের ৫৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত তারুণ্য উৎসবের কথা। বাংলাদেশে যে সব নারী সংগঠন কাজ করেন তার মধ্যে অন্যতম প্রধান বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। মহিয়সী নারী কবি সুফিয়া কামালের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। গত ৪এপ্রিল ২০২৩ সংগঠনটি তার গৌরবের ৫৩ বছর প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে গত ২০ মে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে তারূণ্য উৎসবের আয়োজন করেন।
১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নারী অধিকার ভিত্তিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধ সহ বিভিন্ন গনতান্ত্রিক আন্দোলনে সামনের কাতারে থেকে সাহসী ভূমিকা পালন করেন। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।নারী-শিশু নির্যাতন,যৌতুক,তালাক,বাল্য বিয়ে,ফতোয়াবাজীর বিরুদ্ধে অবিচল যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। নারীদের আইনী সহায়তা,স্বাবলম্বি করে তোলার নানা কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।৫৩ বছরের পথ চলায় বৃহত্তর সামাজিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সংস্থাটি নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বহুমাত্রিক কার্যক্রম অব্যহত রেখেছেন। বিশেষ করে নারী-পুরুষের যে বৈষম্যতা সমতায় নিয়ে আসতে সংগঠনটি বদ্ধ পরিকর।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ৫৩ বছরের পথ চলার অংশ হিসেবে,তারূণ্য উৎসববের বিভন্ন আয়োজনে মানুষকে সচেতন করেতে অনবদ্য অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছেন। ২০ মে দুপুর থেকেই শিল্পকলার নন্দন মঞ্চ নারীদের পদচারনায় মুখরিত। বিভিন্ন বয়সের নারীর মধ্যে তরণীদের অংশ গ্রহন ছিল ব্যাপক। নাচ,গান,কবিতা,নাটক,মাইম,বিভিন্ন গবেষণার স্লাইড শো,বিতর্ক ছিল উপভোগ্য-জমজমাট। অনুষ্ঠানের প্রতিটি ইভেন্টেই ছিল নারী বিষয়ক। নারীর ক্ষমতায়ন,স্বাবলম্বি নারী, নারী নির্যাতন-প্রতিরোধ,ইভটিজিং, সাইবার বুলিং প্রভৃতি।অনুষ্ঠানটি নারী কেন্দ্রিক হলেও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ যেহেতু নারী-পুরুষের সমতায় বিশ্বাসী তাই অনুষ্ঠানে পুরুষের অংশগ্রহণ ছিল অনেক। এরকম একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
অনেক অর্জন আমার মহিলা পরিষদের তারুণ্যের উৎসবে উপস্থিত থাকতে পেরে। বর্তমান শতাব্দীর নতুন ধারার সমাজ বিকাশে নারী-পুরুষের কাধে কাধ মিলিয়ে না চলার বিকল্প নেই। এটা ঠিক সমাজের নতুন ধারার সাথে চলতে নারীকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে।এবং এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছে নারী। অবশ্য ধর্মীয় অনুশাসনের নামে নারীদের চলার পথে কিছু কিছু বাধা চলমান। নারী বান্ধব পরিবেশ সমাজ-রাষ্ট্র-পরিবারে এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। অবশ্যই একদিন হবে। সব বাধা দূর করে নারী এগিয়ে যাবে অভিষ্ট লক্ষ্যে।
বন্ধুরা,আসুন পরিবার থেকেই নারী অধিকার বিষয়ে সচেতন হই। নারীর মতামত নিয়ে পরিবারের যে কোন কাজ করি। নারীকে সম্মান দেই। নারী বান্ধব পরিবেশ তৈরি করি। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, নারীর আর্থিক সক্ষমতা ও ক্ষমতায়নে এগিয়ে আসি। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি আয়োজনের জন্য। বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই,আবার দেখা হবে অন্য কোন পোষ্ট নিয়ে। সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
https://twitter.com/selina_akh/status/1660349609829621762