রেসিপিঃ মুসুরের ডাল দিয়ে কচুশাক।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। আজ আজ ৯ ই ভাদ্র, শরৎকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ২৪ আগস্ট,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রেসিপি নিয়ে। আর তা হচ্ছে মুসুরের ডাল দিয়ে কচু শাকের মজাদার রেসিপি। আপনারা জানেন রাতকানা রোগ প্রতিরোধে ও চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকর। এছাড়া ক্যালসিয়াম,ফসফরাস সহ আরো উপাদান আছে যা মানব দেহের জন্য বেশ কার্যকর। তাছাড়া কচুশাক সহজলভ্য। দেশের প্রায় সর্বত্রই পাওয়া যায়। আজকের এই রেসিপি তৈরিতে প্রধান উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি কচুশাক ও ডাল। এছাড়া অন্যান্য উপকরণতো আছেই। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার উপস্থাপিত আজকের মুসুরের ডাল দিয়ে কচুশাকের মজাদার রেসিপিটি।
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কচু শাক | ২ আটি |
মুসুরের ডাল | ১ কাপ |
পিয়াজ | ৩টি |
হলুদ গুড় | ১ চাঃ চামচ |
মরিচ গুড়া | ১/২চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | ১/২চাঃ চামচ |
রসুন | ৩টি |
পাচ ফোড়ন | ১ টেঃ চামচ |
গোটা শুকনা মরিচ | ২-৩টি |
জেজপাতা | দু'টি |
কাঁচা মরিচ | ৬-৭টি |
লবন | পরিমাণ মত |
তেল | ৩ টেঃ চামচ |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে কাঁচা মরিচ, আদা ও ১টি রসুন বেটে নিয়েছি ।
ধাপ-২
কচু শাক ভালভাবে বেছে ধুয়ে ছিলে ছোট ছোট টুকরো করে নিয়েছি। এবং মুসুরের ডাল আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার একটি প্রেশার কুকারে কচুশাক ও ডাল দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
এরপর পাচফোড়ন বাদে সকল মশলা দিয়ে দিয়েছি । এবং সামান্য পানি দিয়ে প্রেশার কুকারটি চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। তিনটি সিটি দেয়ার পর চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি। এবং ডাল ঘুটনি দিয়ে ভালোভাবে ঘুটে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার চুলায় একটি হাড়ি বাসিয়ে দিয়েছি। হাড়ি গরম হয়ে এলে তাতে তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে পাচফোড়ন ও তেজপাতা দিয়ে দিয়েছি। এরপর রসুন ও পিঁয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি। এবং শুকনা মরিচ দু'টুকরো করে দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
পিঁয়াজ ও রসুন ভাজা ভাজা হয়ে এলে কচুশাক দিয়ে দিয়েছি। নেড়েচেড়ে পানি শুকিয়ে নামিয়ে নিয়েছি। আর কি হয়ে গেল আমার মুসুরের ডাল দিয়ে কচুশাকের মজাদার রেসিপি।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।
আশাকরি আজকের মুসুরের ডাল দিয়ে কচুশাকের মজাদার রেসিপি আপনাদের ভাল লেগেছে।আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে খেতে। কোন কোন সময় কচুশাক গলায় ধরে সেক্ষেত্রে লেবু দিলে আর গলায় ধরবে না। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA10 |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ২৪ আগস্ট, ২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
মুসুরের ডাল দিয়ে কচুশাক রেসিপিটি একদম ইউনিক। আমি কচুর শাক খেতে অনেকটাই পছন্দ করি এবং এটি যদি মসুরের ডাল দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে এর স্বাদ আরও বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়ে যায়। কিছুদিন আগে আমি কচুর শাক খেয়েছিলাম, যা খুবই সুস্বাদু ছিল৷
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কচুরশাকে প্রচুর ভিটামিন রয়েছে কিন্তু সেটা জেনেও আমি কচুর শাক একদমই পছন্দ করিনা। পছন্দ না করার পেছনে অবশ্য একটা গল্প আছে সেটা না হয় নাই বললাম। যাই হোক আমি শুধু কচুর শাক রান্না দেখেছি কিন্তু এভাবে ডাল দিয়ে রান্না কখনো দেখা হয়নি। আপনার এই রেসিপি আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার উপস্থাপনা দেখতে লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মাঝে মাঝে সব ধরনের শাক খাওয়া দরকার।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
মসুর ডাল দিয়ে কচুর শাক কখনো খাওয়া হয়নি।কিছুদিন আগেই কচুর ফুলসহ কচুর শাক রান্না করা হয়েছিল আমাদের।তবে আমি সবসময় কচুর শাক রান্না করলে শুধু শুধুই খেয়ে নেই,ভাতের সাথে আর তেমন খাইনা।কারণ এমনিতে খেতেই ভালো লাগে আমার কাছে।
বাহ বেশ ভালো। অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
কচু শাক মাঝে মাঝেই খাওয়া হয় আর আমাদের বাসায় বেশিরভাগ সময় কচু শাক ইলিশ মাছের সাথে রান্না করা হয়। তবে কচুর শাকের সাথে ডাল যুক্ত করে কখনো রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি তাই এটা আমার কাছে অনেকটাই ইউনিক আইডিয়া মনে হয়েছে। পরিবেশন করা কচুর শাকের রেসিপি দেখে গরম ভাতের সাথে খেতে মন চাইছে আপু।
ইলিশ মাছ দিয়েতো সব সময় রান্না করা হয়।তাই একটু ভিন্নভাবে রান্না করলাম।খেতে কিন্তু বেশ।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু কচুশাক তো অনেক খেয়েছি তবে কখনো মুসুরের ডাল দিয়ে এভাবে রান্না করে খায়নি।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সত্যি আপু কচুশাকে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
কচুশাক এভাবে রান্না করলে খেতে বেশ মজা লাগে।অনেক ধন্যবাদ আপু।
https://twitter.com/selina_akh/status/1694766687634215378
কচু শাক ভর্তা ইলিশ মাছ দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে এভাবে মুসুর ডাল দিয়ে কখনো খাইনি। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন কচু শাক আমাদের জন্য খুবই উপকারী এবং সহজে এটি পাওয়া যায়। কিন্তু অনেকদিন হলো খাওয়া হয়না। আপনার কচু ভর্তা দেখই খেতে ইচ্ছা করছে। এত লোভনীয় লাগছে দেখতে।
ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ মজা লাগে।কিন্তু এভাবে রান্না করলেও খেতে বেশ ভালো লাগে।অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মুসুরের ডাল দিয়ে কচুশাকের মজাদার রেসিপি । আসলে আগে কখনো এভাবে রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি তৈরি দেখে মনে হচ্ছে সত্যি একদম ইউনিক পদ্ধতির রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। তবে আমাদের গ্রামে কচুশাক প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। বাড়িতে গেলে অবশ্যই এভাবে রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করব।
অবশ্যই তৈরি করবেন।আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।