রেসিপিঃসরিষা বাটা দিয়ে চাল কুমড়ো ভাজির মজাদার রেসিপি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। আজ ২১ শ্রাবণ, বর্ষাকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ০৫ আগষ্ট,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।সারাদেশে ডেঙ্গু প্রকোপ বেড়েই চলেছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর জায়গায় দেয়া যাচ্ছে না। প্রতিদিনই ডেঙ্গুতে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। কেবল মাত্র সচেতনতাই পারে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করতে। আসুন আমরা সবাই সচেতন হই ও অন্যদের সচেতন করি। আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রেসিপি নিয়ে। আর তা হচ্ছে সরিষা বাটা দিয়ে চালকুমড়ো ভাজির মজাদার রেসিপি। চালকুমড়োরায় রয়েছে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন সি, মিনারেল, ফাইবার, ফ্যাট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, কোলেস্টেরল, আয়রন, জিঙ্ক, এবং ফসফরাস। জনপ্রিয় এই কুমড়ার ঔষধি গুণ দেহের পুষ্টির অভাব দূর করে। এই রেসিপির তৈরিতে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি কচি চালকুমড়ো ও সরিষা। এছাড়া অন্যান্য উপকরণ তো আছেই। আজ আর কথা নয়, চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার উপস্থাপিত আজকের সরিষা বাটা দিয়ে চাল কুমড়োর ভাজির মজাদার রেসিপি।
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
চাল কুমড়া | ১টি |
দুরকম সরিষা | ২টেঃ চামচ |
হলুদ গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
মরিচ গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
কাঁচা মরিচ | ৪-৫টি |
ধনে গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
লবন | পরিমাণ মতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে চাল কুমড়া ছিলে একটু মোটা করে চাক চাক করে কেটে নিয়েছি
ধাপ-২
এরপর দু'রকম সরিষা কাচা মরিচ ও সামান্য লবন দিয়ে পাটায় মিহি করে বেটে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো পানি দিয়েছি গরম হওয়ার জন্য। সে পানিতে পরিমাণ মতো লবন ও সামান্য হলুদ গুড়া দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
কড়াই এর পানি যখন ফুটে উঠবে,তখন তাতে কেটে রাখা চাল কুমড়া দিয়ে দিয়েছি এবং হাফ সিদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
চাল কুমড়া যখন হাফ সিদ্ধ হয়ে যাবে, তখন পানি ঝড়িয়ে একটি বাটিতে তুলে নিয়েছি। এবং মরিচের গুড়া,ধনে গুড়া ও সরিষাবাটা দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার একটি তাওয়া চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। তাওয়া গরম হয়ে এলে তাতে তেল দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে মেখে রাখা চাল কুমড়ার টুকরোগুলো দিয়ে উভয় পিঠ ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।
উপস্থাপন
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।
আশাকরি আজকের সরিষা বাটা দিয়ে চাল কুমড়ো ভাজির মজাদার রেসিপি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি।আবার দেখে হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA10 |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ৫ আগষ্ট, ২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
সরিষা বাটা দিয়ে চাল কুমড়া ভাজি। আমি আগে অনেকবার শুধু চাল কুমড়া ভাজি খেয়েছি কিন্তু কখনো সরিষা বাটা দিয়ে চাল কুমড়া ভাজি খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে আসলে এই ধরনের খাবার গরম ভাতের সঙ্গে খেতে বেশ মজা লাগে।
জি ভাইয়া গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ মজা এই ভাজি। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনার রেসিপিটি দেখে আমি প্রথমে ভেবেছি ভাজা পিঠা। পরে দেখতে পেলাম চাল কুমড়ো ভাজি। সরিষা বাটা দিয়ে বেশ ইউনিক একটি চাল কুমড়া ভাজির রেসিপি করেছেন যেটা দেখে বেশ ভালো লাগলো ।গরম ভাতের সঙ্গে খেতে মনে হয় বেশ ভালই লাগবে। যদিও কখনো খাওয়া হয়নি। তবে রেসিপিটি বেশ ইউনিক ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/selina_akh/status/1687868339677548544
চালকুমড়ো ভাজি আমার খুব প্রিয়।চালকুমড়ো ভাজি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। কিন্তু কখনো সরিষা বাটা দিয়ে এভাবে চাল কুমড়ো ভাজি করে খাওয়া হয়নি। আজকে প্রথম আপনার কাছ থেকে চাল কুমড়ো ভাজির এর রেসিপিটি দেখতে পেলাম। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। খুবই সুন্দর ভাবে রেসিপিটির প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন, যা দেখে আমরা খুব সহজেই রেসিপিটি বাসায় তৈরি করতে পারব। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু এতো সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
জি ভাইয়া খেতে বেশ মজা এই ভাজি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার রেসিপি টা দেখে জিভে জল চলে এসেছে । রেসিপির কালার টা খুব সুন্দর এসেছে। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সরিষা বাটা দিয়ে চালকুমড়ো ভাজির মজাদার রেসিপি। আসলে চালকুমড়ো ভাজি খেতে আমি বেশ পছন্দ করি। বাড়িতে গেলে আমি বাজারে যদি যাই তাহলে অবশ্যই চালকুমড়ো কিনে নিয়ে আসি। তবে এটি চপ আকারে ভাজি করে খেতে যে কোন মানুষের কাছেই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
চাল কুমড়ো দিয়ে সাথে সরিষা বাটা মজার একটি খাবার প্রস্তুত করেছেন।
চাল কুমড়ো ভাজি খেয়েছি এরকম ভাবে তবে এর মধ্যে কখনো সরিষা বেটে দেওয়া হয়নি।
তবে প্রস্তুত প্রণালী দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছিল খেতে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ বর্তমান ডেঙ্গুর প্রভাব এতটাই বেড়ে গিয়েছে হসপিটালে রোগীদের স্থান দেয়ার জায়গা নেই। বিশেষ করে ঢাকা শহরে এর প্রভাব বেশি যেটা আমাদের অসচেতন এবং নোংরা পরিবেশের কারণে প্রতিবছর এই রোগের মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকে। সবারই সুস্থতা কামনা করি তাছাড়া আপনি চাল কুমড়ার দারুন একটা ভাজি রেসিপি করেছেন যেটাতে অনেক সুস্বাদু হবে।
আমাদের সচেতনতাই পারে ডেঙ্গু মহামারি থেকে রক্ষা করতে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করেছে তাই সাবধানে থাকা উচিত সকলকে।আপনার রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে।আমি তো এটা দেখেই বড়া ভেবেছিলাম।আপনি গোটা চালকুমড়ো গোল গোল পিচ করে ভেজেছেন বলে সুন্দর দেখতে লাগছে।নিশ্চয়ই খেতে সুস্বাদু হয়েছে, ধন্যবাদ আপু।
জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু।