রেসিপিঃপাঁকা কলার পিঠা।
শুভেচ্ছা সবাইকে ।
কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সব সময় সবাই ভালো থাকেন। আজ ১৫ই কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩১শে অক্টোবর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ। আজ একটি পিঠার রেসিপি ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজ একটি পিঠার রেসিপি আমি শেয়ার করবো। আর তাহলো পাকা কলার পিঠা। যদিও আমি ভাঁজা পোড়া খুব কম খাওয়ার চেস্টা করি।কারন ভাজা পোড়া খাবার আমাদের শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর । তবে খেতে বেশ ভালই লাগে। তাই মাঝেই মাঝেই বানাই। এই পিঠাও বানাতাম না যদি না কলা বেশী পেঁকে যেতো।একদিন এই পিঠা আমি কেবল সুজি আর আটা দিয়ে বানিয়েছিলাম। কিন্তু সেই পিঠা খেতে তেমন ভালো লাগেনি। তাই আরেকদিন ট্রাই করেছি সুজি,চালের গুড়া ও আটা দিয়ে । সেই পিঠাটি খেতে মজা হয়েছিল। তাই সেই রেসিপিটির রেসিপি আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। আমি এই রেসিপিটি তৈরি করতে উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি পাঁকা কলা ও সাথে আরও কিছু উপকরণ। যা নিম্নে সবিস্তারে বর্ণনা করা হয়েছে। বন্ধুরা, আশাকরি আমার তৈরি আজকেরপাঁকা কলার পিঠার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পাকা কলা | ১পিস |
সুজি | ১কাপ |
চালের গুড়া | ১/৪ কাপ |
আটা | ২ টেঃ চামচ |
খাবার সোডা | ১/২ চাঃ চামচ |
লবন | ১/৪ চাঃ চামচ |
চিনি | ১/২ কাপ |
তেল | ২ কাপ |
রন্ধন প্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে কলাটির খোসা ছাড়িয়ে ম্যাশ করে নিয়েছি।
ধাপ-২
ম্যাশ করা কলায় চিনি দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার শুকনো সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে নিয়েছি। মেশানো উপকরণ কলার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এখানে কোন পানি ব্যবহার করবো কলার আঠালো ভাবেই মিশ্রণটি তৈরি করবো। এই ব্যাটারটি কিছু ঘন হবে। যাতে হাতের সাহায্যে ব্যাটার পিঠার আকৃতি করে তেলে দেয়া যায়।
ধাপ-৪
এবার পিঠাগুলো ভাঁজার জন্য চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াই গরম হলে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার পিঠার ব্যাটার থেকে ব্যাটার নিয়ে হাতের সাহায্যে অল্প অল্প করে তেলে দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
পিঠাগুলো এপিঠ ওপিঠ করে ভালোভাবে অল্প আঁচে ব্রাউন করে ভেঁজে নিয়েছি। এরপর একটি কাঠির সাহায্যে ছিদ্রে করে তুলে নিয়েছি। আমি পিঠা তেল থেকে উঠানোর সময় সব সময় কাঠি ব্যবহার করি। এতে পিঠার তেল সহজে ঝরে যায়।
উপস্থাপন
এবার একটি প্লেটে সবগুলো পিঠা তুলে সাজিয়ে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য। সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আশাকরি,পাকা কলার পিঠার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের ব্লগ এখনেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi Note A5 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
কলার পিঠা খেতে খুবই দারুণ । কিছুদিন আগে বাসায় আপু কলার পিঠা তৈরি করেছে। কলার পিঠা খেতে আমার সাথে খুব ভালো লেগেছে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে পাঁকা কলার পিঠা তৈরি করেছেন। পিঠা তৈরি করার প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এতো সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অনেক মজার হয় কলার পিঠা। আমারও বেশ পছন্দ।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
https://x.com/selina_akh/status/1851987587604598824
কলা দিয়ে বেশ মজার পিঠা তৈরি করেছেন আপু আপনি। পাকা কলা দিয়ে আমিও প্রায় সময় পিঠা বানানোর চেষ্টা করি। আমার কাছে বেশ ভালো লাগে কলার সুন্দর ফ্লেভারে পিঠা খেতে। আপনার পিঠা দেখেই লোভ লেগে গেল আপু। বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ।
জি আপু বেশ মজা লাগে এই পিঠাটি। সুজি দিয়ে বানানোতে বেশি ভালো লেগেছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
পাঁকা কলার পিঠা তৈরি করার অনেক সুন্দর পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই পিঠা খেতে ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। বেশ কয়েকবার এই ধরনের পিঠা আমি তৈরি করেছি এবং খেয়েছি।
আমারও বেশ ভালো লাগে এই পিঠাটি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
পিঠা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। তবে কিছুদিন থেকে এসব কিছুই খাওয়া হচ্ছে না। আপনার তৈরি করা পিঠা খুবই লোভনীয় লাগছে আপু। দেখেই তো মনে হচ্ছে খেয়ে ফেলি। গরম গরম পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে।
আমিও পছন্দ করি বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে। তাই বিভিন্ন ধরনের পিঠা আমি বানাই। ধন্যবাদ আপু।
কলা দিয়ে আমি ও পিঠা খেতে অনেক ভালোবাসি। মাঝে মাঝে তৈরি ও করি। আপনার পিঠা গুলো খেতে নিশ্চয় অনেক মজার ছিল। পিঠা গুলো দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু বেশ মজা হয়েছি। সুজি ব্যবহার করায় বেশি মজা লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
পাঁকা কলার পিঠা খুবই মজাদার ও ইউনিক রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। দেখে খুবই মজাদার মনে হচ্ছে। তাই তৈরি করার ইচ্ছা জাগলো।
জি ভাইয়া অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। পাকা কলা দিয়ে অসাধারণ রেসিপি। আমার কাছে এ প্রথম মনে হল নতুন একটা রেসিপি দেখলাম। আশা করি অনেক অনেক সুস্বাদু ছিল।
অনেক মজা এই পিঠা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
পাকা কলা দিয়ে এরকম পিঠা তৈরি করা যায় এটা তো আমার একেবারেই জানা ছিল না। আপনি তো দেখছি একেবারে ইউনিক ভাবে এই পাকা কলার পিঠাগুলো তৈরি করে নিয়েছেন। বুঝতে পারছি পিঠাগুলো অনেক বেশি মজাদার ছিল। এই পিঠাগুলো তৈরি করার পদ্ধতিও অনেক সুন্দর করে তুলে ধরেছেন আপনি।
এভাবে একদিন পিঠা বানিয়ে দেখবেন। খেতে কিন্তু দারুন। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে পাঁকা কলার পিঠা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা পাকা কলার রেসিপি টি অসাধারণ হয়েছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে পিঠা তৈরির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। পিঠা গুলো আসলেই অনেক মজাদার হয়েছিল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।