রেসিপিঃসয়াবিন বড়ির সিঙ্গারা।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। আজ
আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিং এ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রেসিপি নিয়ে। বাংলাদেশ-ভারত দু"দেশেই জনপ্রিয় একটি আমিষ খাবারের ভিন্ন রকম উপস্থাপন,শুধু আপনাদের জন্য। আর তা হচ্ছে সয়াবিন বড়ির সিঙ্গারা।বিশেষ করে নিরামিষ ভোজিদের প্রিয় খাবার সয়াবিন বড়ি।
সয়াবিন বড়ির গুণাগুন বিষয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। স্বাস্থ্য সচেতন মাত্রই আমরা কমবেশি সয়াবিনের গুণাগুন সম্পর্কে অবহিত। বর্তমান সময় প্রাণীজ আমিষের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি আমাদের অজানা নয়। সেই তুলনায় উদ্ভিজ্জ আমিষে স্বাস্থ্যঝুঁকি একেবারেই কম বা নেই বললেই চলে। তাই প্রাণীজ আমিষের বিকল্প হিসেবে অনায়েসেই আপনি খেতে পারেন উদ্ভিজ্জ আমিষ সয়াবিন বড়ি। সয়াবিন বড়ির রান্না তরকারি কমবেশি সবাই খেয়েছি। কিন্তু সয়াবিন বড়ি দিয়ে সিঙ্গারা খেয়েছেন? খেতে কিন্তু দারুণ! প্রিয় বন্ধুরা, চলুন ধাপে ধাপে দেখে নেয়া যাক,কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের রেসিপি সয়াবিন বড়ির সিঙ্গারা।
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
স্যয়াবিন বড়ি | ১০০ গ্রাম |
আলু কিউব করে কাটা | ২টী |
গাজর কিউব করে কাটা | ১টি |
পিয়াজ কুচি | আধা কাপ |
আদা কুচি | ১ চাঃ চামচ |
রসুন কুচি | ১ চাঃ চামচ |
কাচা মরিচ | ২ টি |
হলুদ গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
গোটা জিরা | ১/২ চা চামচ |
ট্মেটো পেস্ট | ২ টেঃ চামচ |
লবন | পরিমাণ মতো |
তেল | পরিমাণ মত |
ময়দা | ১ কাপ |
কাল জিরা | ১/২ চাঃ চামচ |
ধনে পাতা কুচি | পরিমাণ মতো |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
এরপর একটি হাড়িতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে, চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে তাতে সয়াবিন বড়ি দিয়ে, ঢেকে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে। এভাবে ঢাকনা দিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর পানি থেকে সয়াবিন বড়ি হাত দিয়ে চেপে পানি ফেলে দিতে হবে।
ধাপ-২
সিদ্ধ করা সয়াবিন বড়ি ছুড়ি দিয়ে ছোট টুকরো করে নিতে হবে।
ধাপ-৩
চুলায় একটী কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মত তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে এলে ১ চামচ গোটা জিরা ফোড়ন দিতে হবে। এবং একে একে রসুন কুচি,আদা কুচি,কাচামরিচ কুচি দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-৪
এরপর কিউব করে কাটা আলু ও গাজর দিয়ে দিতে হবে এবং হাল্কা ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-৫
আলু ও গাজর ভাজা ভাজা হয়ে এলে একে একে হলুদ গুড়া,ধনে গুড়া,জিরা গুড়,গরম মশলা গুড়া,লবন ও আগে থেকে তৈরি করে রাখা টমেটো পেস্ট দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। মশলা যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সামান্য পানি দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৬
ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে তাতে কিউব করে কাটা পিয়াজ ও কুচি করে কাটা ধনেপাতা দিয়ে ভালভাবে সবগুলো উপকরণ মিশিয়ে নিতে হবে।মাখা মাখা হয়ে এলে নামিয়ে নিতে হবে । এবং ঠান্ডা করে নিতে হবে।
ধাপ-৭
এবার সিঙ্গারা বানানোর জন্য ১ কাপ ময়দায় ১ চাঃ চামচ তেল ও কালজিরে দিয়ে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে শুকনো উপকরণগুলো।এবার অল্প অল্প পানি দিয়ে একটি মিডিয়াম ডো তৈরি করতে হবে। এরপর অল্প একটু ডো নিয়ে রুটি বেলে নিতে হবে। সাধারন রুটির চেয়ে মোটা করে। এরপর মাঝ বরাবর কেটে নিতে হবে সিঙ্গারা বানানোর জন্য। উপরের ছবির মতো করে তৈরি করে নিতে হবে সিঙ্গারা। একই ভাবে সবগুলো তৈরি করে নিতে হবে।
ধাপ-৮
বানানো সিঙ্গারা গুলোকে ডুবো তেলে ভাজে নিলেই হয়ে যাবে সয়াবিন বড়ির সিঙ্গারা।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করতে হবে।
আশাকরি আজকের সয়াবিন বড়ি সিঙ্গারা রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। বিকালের নাস্তায় ও অতিথি আপ্যায়নে দারুন একটি রেসিপি। তবে সব সময় না খেয়ে,মাঝে মাঝে খাওয়া যেতে পারে এই সিঙ্গারা। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
সয়াবিন বড়ির সিঙ্গারা খাওয়ার সুযোগ কোনদিন হয়নি। নতুন একটি রেসিপি আমরা শিখে নিলাম আপু। সবাই যদি স্বাস্থ্য সচেতন না হয় তাহলে ভীষণ বিপদে পড়ে যাবে। বাসায় যদি মজার মজার খাবার তৈরি করা হয় তাহলে অনেক ভালো হয়। নতুন একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
ঠিক তাই আপু বাসায় তৈরি খাবার স্বাস্থ্য সম্মত হয়। ধন্যবাদ আপু।
এভাবে যে সয়াবিন বড়ি দিয়ে সিঙ্গারা তৈরি করে খাওয়া যায় তা জানতাম না। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এটা খেতে খুবই সুস্বাদু। আমি অবশ্য বাসায় একদিন রেসিপিতে ট্রাই করবো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।
জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।
বাসায় তৈরি যে কোন খাবার খেতে মজা লাগে। বিকেলের নাস্তা হিসেবে সিঙ্গারা খুবই ভালো একটি খাবার। সয়াবিন বড়ি আজকে প্রথম দেখলাম। সয়াবিন বড়ির সিঙ্গারা দেখতে লোভনীয় লাগছে,খেতেও নিশ্চয়ই মজা হয়েছে। প্রতিটি ধাপ সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে নতুন একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বসায় তৈরি করা হলেও মাঝে মাঝে খাওয়া ভাল। তা নাহলে স্বাস্থ্যঝুকির সম্ভাবনা রয়েছে। ধন্যবাদ ।
সোয়াবিন বড়ির সিঙ্গারা একদমই ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেলাম আপু।এভাবে কখনও সিঙ্গারা খাওয়া হয়নি।আলু দিয়ে তৈরি করে খাওয়া হয়েছে।ধন্যবাদ ইউনিক এই রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
সয়াবিন বড়ির সিঙ্গারা রেসিপিটা আমার কাছে খুব ইউনিক লেগেছে আপু। আমার তো দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। এভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এই ধরনের রেসিপি তৈরি করে খেতে পারলে খুবই ভালো। প্রতিটি ধাপের বর্ণনা খুব সুন্দরভাবে দিয়েছেন। যাইহোক এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।