রেসিপিঃ নকশী পিঠা।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
হেমন্তের শেষের দিক প্রায়।বাংলার ঘরে ঘরে নতুন ধানের মন মাতানো মৌ মৌ গন্ধ। সোনানী মাঠ এখন বিরান ভূমি! সেই সাথে শীতের আগমনি বার্তা পৌছে গেছে সবার কাছে। প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা , শীতের আগমন মানেই বাঙালির ঘরে হরেক রকম পিঠার আগমন। প্রবাদ আছে শীতের পিঠা অনেক মিঠা। শীতের হরেক রকম পিঠার একটি পিঠা নিয়ে আমার আজকের ব্লগ। আর পিঠাটি হচ্ছে নকশি পিঠা। খেতে কিন্তু ধারুণ মজার। আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বন্ধুরা কিভাবে তৈরি করলাম নকশি পিঠা দেখে নেয়া যাক।
উপকরণ
১। শুকনো চালের গুড়াঃ ২কাপ
২ ।গুড়ঃ ২৫০ গ্রাম
৩। চিনিঃ ১ কাপ
৪।লবনঃ পরিমাণ মতো
৫। এলাচঃ ৩-৪টি
৬। তেজপাতাঃ২ টি
৭। সাদা তেলঃ পরিমাণ মত
৮। পানিঃপরিমাণ মতো
রন্ধন প্রণালী
১ ম ধাপ
২য় ধাপ
৩য় ধাপ
এবার একটি রুটি বানানোর পিড়িতে তৈরি করা কাই ভালোভাবে মথে একটি মসৃন ডো তৈরি করে নিতে হবে।
৪র্থ ধাপ
এবার একটি রুটি বেলে নিতে হবে এক্টু মোটা করে। এরপর একটি গোল কোন কিছুর ঢাকনা দিয়ে রুটিটিতে দাগ একে নিতে হবে। নিচের ছবির মত করে।
৫ম ধাপ
৬ষ্ঠ ধাপ
শেষ ধাপ
পরিবেশনের জন্য তৈরি পিঠা
পিঠাটি তৈরি করতে সময় বেশি লাগলেও মজার কারণে তা উসুল হয়ে যায়। আপনিও ট্রাই করে দেখতে পারেন! আশাকরি আমার আজকের নকশি পিঠার তৈরি রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।
সাথে থাকার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ।
মোবাইল ফটোগ্রাফিঃ স্যামসাং- এ১০
আপু পরিবেশনটা একটা সমান প্লেটে করলে দেখতে বেশ ভালো লাগতো।আমিও মাঝে মাঝে এই পিঠা তৈরি করি,যদিও অনেক সময় লাগে তৈরি করতে।আর হ্যা ঠিক বলেছেন স্বাদের কারনে উসুল হয়ে যায়।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
ধন্যবাদ আপু।
আপনার নকশি পিঠা দেখে তো আমার কাছে মনে হচ্ছে হেমন্তের নতুন ধানের পিঠা আমার সামনে চলে এসেছে ।দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। এই পিঠা গুলো খুবই চমৎকার হয় ।দেখে মনে হচ্ছে খুবই মুচমুচে হয়েছে আসলে এই পিঠা গুলো অনেক ভালো লাগে আমার।
জি আপু খেতে বেশ মজা কিন্তু বানাতে এক্টু বেশী সময় লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার পিঠাটি দেখতে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি পিঠাগুলোকে প্নেটে ডেকোরেশন করতেন তাহলে দেখতে ভালো লাগতো। তবে আপনি প্রতিটা ধাপই খুব সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন।আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিকই বলেছেন শীত মানে পিঠে পুলে খাওয়া। শীতের সময় বিভিন্ন রকম পিঠাপুলি তৈরি করা হয় । যা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার নকশি পিঠাগুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। এই পিঠাগুলো দেখলে আমার কাছে মনে হয় তৈরি করা খুবই কঠিন। কিন্তু আপনি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করার প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে যে কেউ সহজে তৈরি করে নিতে পারবে। আমিও একদিন ট্রাই করে দেখব। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ফ্লেট কোন প্লেটে পরিবেশণ করলে দেখতে বেশি ভাল লাগতো। আমার বোনের জন্য করা হ্যয়েছে বলে তারাহুরায় আর প্লেটে সাজিয়ে পরিবেশণ করার কথা মনে ছিল না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাহ্ নকশী পিঠা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে।দারুন নকশী করেছেন আপনি।এভাবে একদিন বাসায় নকশী পিঠা তৈরি করে দেখবো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পথটি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু । একদিন ট্রাই কইরেন।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুব সুন্দর হয়েছে পিঠেটা। এত ধৈর্য্য সহকারে পিঠেটার নকশা বানিয়েছেন! আমার তো এত ধৈর্য নেই।আর তার উপর আবার সেটাকে গুঁড়ের রসে ডুবিয়েছেন। সেটা তো আরো একধাপ এগিয়ে। আমাদের বাড়িতে যদিও গুড়ের রস করার সময় তাতে তেজপাতা বা এলাচ,লবঙ্গ,দারচিনি এগুলো দেওয়া হয় না। শুধু গুড় জাল দেওয়া হয়। আমি ভাবছি একবার এভাবে চেষ্টা করব। এতটা ভালো ডিজাইন হয়তো পারব না।কিন্তু চেষ্টা করব সাধারণ ডিজাইনের মধ্যে কিছু করার।
অবশ্যই চেস্টা করবেন। চেস্টা করলে সব সম্ভব। ধন্যবাদ দিদি।