রেসিপিঃ মজাদার পুর ভরা আলুর চপ।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।দেখতে দেখতে ১৪ রোজা অতিবাহিত হয়ে গেল! ৩/৪ দিন ধরে চৈত্রের খরতাপ টের পাওয়া যাচ্ছে। গরম বাড়ছে দিন দিন। চলছে রোজার মাস,আর রোজার ইফতার আইটেমে ,ভাজা পোড়া না হলে আমাদের চলেই না!!আর এই রোজায় প্রিয়,আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রেসিপি নিয়ে। আর তা হচ্ছে পুর ভরা আলুর চপ। বন্ধুরা, আজকের রেসিপিতে আমি আলুর পাশাপাশি ডিম ,ব্রেড ক্রাম ও অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করেছি। যা পোস্টে বিস্তারিত দেওয়া আছে। অনেক কথা হলো, আর কথা নয় , চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের রেসিপি পুর ভরা আলুর চপ। পুর ভরা আলুর চপ তৈরির ধাপ গুলো নিম্নে দেওয়া হলো। আশাকরি আজকের উপস্থাপিত রেসিপিটি আপনাদের ভাল লাগবে।
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আলু | ১০০ গ্রাম |
পিয়াজ কুচি | ৩ টেঃ চামচ |
হলুদ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ভাজা জিরা গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
রসুন বাটা | ১ চাঃ চামচ |
আদা বাতা | ১চাঃ চামচা |
কাচা মরিচ | ৫-৬ট |
পুদিনা পাতা | পরিমান মতো |
লবন | স্বাদ মতো |
চিলি ফ্লেক্স | ১ চাঃ চামচ |
তেল | পরিমাণ মতো |
লেবু | ১টুকরো |
ব্রেড ক্রাম | পরিমাণ মতো |
ডিম | ১টি |
ট্মেটোর সস | ১ টেঃ চামচা |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে আলু টুকরো করে নিতে হবে। পরিস্কার করে ধুয়ে প্রেসার কুকারে দু"টো সিটি দিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-২
সিদ্ধ করা আলু খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। এবং ভালোভাবে মেশ করে নিতে হবে।
ধাপ-৩
মেশ করা আলুতে একে একে হলুদ গুড়া,চিলি ফ্লেক্স,ধনে গুড়া,আদা বাটা,রসুন বাটা,ভাজা জিরে গুড়া, টমেটো সস,লবন ও ব্রেড ক্রাম দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।
ধাপ-৪
এবার পুর তৈরি করার জন্য একটি বাটিতে আগে থেকে মিহি-কুচি করা পিয়াজ,কাচামরিচ কুচি,পুদিনাপাতা কুচি,লবল ও লেবুর রস দিয়ে মেখে নিতে হবে।
ধাপ-৫
এবার আলুর চপ বানানোর জন্য পরিমাণ মতো মাখানো আলু নিয়ে তৈরি করা পুর দিয়ে আলুর চপ বানিয়ে নিতে হবে। এভাবে সব গুলো চপ বানিয়ে নিতে হবে।
ধাপ-৬
বানানো আলুর চপ একটি একটি করে ডিমে ডুবিয়ে ব্রেড ক্রামে গরিয়ে নিতে হবে। এভাবে সবগুলো আলুর চপ তৈরি করে নিতে হবে।
ধাপ-৭
এবারএকটি কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে এলে বানানো আলুর চপগুলো ব্রাউন করে ভেজে তুলে নিতে হবে। আর তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে মজাদার পুর ভরা আলু চপ।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করতে হবে।
আশাকরি আজকের মজাদার পুর ভরা আলুর চপ রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে।তবে এই গরমে বেশি ভাজা-পোড়া না খাওয়াই ভাল। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
আপনি খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পুর ভরা আলুর চপ এর নাম আমার খুবই ইউনিক লেগেছে। দেখতেও ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছে। উপস্থাপনা খুব ভালো ছিল।
জি ভাইয়া এ আলুর চপ খেতে বেশ মজা। অনেক ধন্যবাদ।
আলুর চপ খুবই মজাদার একটি খাবার যা খেতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে।মাঝে মাঝে বাসায় বানিয়ে খাই তবে এরকম করে পুর ভরে কখনো খাওয়া হয়নি। আপু আপনি অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। লোভনীয় রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
একদিন করে খাবেন । আশাকরি ভাল লাগবে।ধন্যবাদ।
ইফতারের সময় আমরা প্রত্যেকেই কম-বেশি আলুর চপ খেয়ে থাকি। আজকে আপনার আলুর চপ রেসিপি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আমিও কিছুদিন আগে তৈরি করেছিলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই,সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ইফতারের সময় চপ খেতে হয় না হয় খেলে খাবার জমে না ভালো লাগেনা। বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন চপ তৈরি করে খেতে ভালো লাগে। আপনি পুর ভরা আলুর চপ তৈরি করেছেন দেখতে অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে। আলুর চপ কিন্তু অনেক মজার একটি চপ অন্যান্য চপের তুলনায়। খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ তুলে ধরেছেন আমাদের সাথে অনেক ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অবশ্যই প্রতিদিন একই আইটেম আমারও ভাল লাগেনা।
ইফতারে খুব মজার পুর ভরা চপ করেছেন। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। চপ না খেলে আসলে ইফতার জমে না।আপনি ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন, খুব ভাল লাগলো। আপনার উপস্থাপনা দারুন হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু যেকোন চপেই লোভনীয় খাবার। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ইফতারে চপ না থাকলে ইফতার জমেই না। আপনার পুর ভরা আলুর চপ গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। চপ গুলো দেখতে সত্যিই বেশ লোভনীয় লাগছে। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও এককথায় দুর্দান্ত হয়েছে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই একদিন বাসায় তৈরি করে খাবেন আশাকরি। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার রেসিপি তৈরি করা দেখে তো আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। রমজান মাসে যদি এই জাতীয় রেসিপি ইফতারে পাওয়া যায় তাহলে জনে জনে শান্তি চলে আসে। কারণ সারাদিন রোজা থাকার পরে মানুষের ঝাল জাতীয় রেসিপি বেশি পছন্দ করে থাকে। যাই হোক আপনি আলুর এই সুস্বাদু রেসিপি টা খুব সুন্দর ভাবে ভাবে তৈরি করার আমাদের মাঝে ফটোর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন দেখে খুশি হলাম।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।