রেসিপিঃ কাকিলা মাছের ভুনা।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমাদের দেশি মাছ গুলো পুষ্টিগুণে ভরপুর। কাকিলা মাছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, লিপিড, ফসফরাস ও ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি।আশার কথা আমাদের মৎস্যবিজ্ঞানীরা বিলুপ্তপ্রায় কাকিলা মাছের কৃত্রিম প্রজননে সফল হয়েছেন। বন্ধুরা অনেক কথা হলো,আর দেরি নয় আসুন কিভাবে কাকিলা মাছের ভুনা কিভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপিত হবে তা ধাপে ধাপে দেখে নেই। আশাকরি নিরাশ হবেন না!
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কাকিলা মাছ | ২০০ গ্রাম |
পিয়াজ কুচি | আধা কাপ |
কাচা মরিচ | ৫-৬ টি |
হ্লুদ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
লবন | পরিমাণ মতো |
মরিচ গুড়া | ১/২ চা চামচ পরিমাণ মতো |
তেল | ৩ টেঃ চামচ |
ধনে পাতা কুচি | পরিমাণ মতো |
রন্ধণ প্রনালী
১ম ধাপ
প্রথমে কাকিলা মাছগুলোকে ভালভাবে কেটে পরিস্কার করে ছোট টুকরো করে ধুয়ে নিতে হবে।
২য় ধাপ
এরপর একটি বাটিতে হলুদ গুড়া ,ধনে গুড়া,জিরা গুড়া,মরিচ গুড়া ও আদা বাটা সামান্য পানি দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে।
৩য় ধাপ
একটি হাড়ি চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। হাড়ি গরম হয়ে এলে পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে।
৪র্থ ধাপ
তেল গরম হয়ে এলে তাতে পিয়াজ কুচি দিতে হবে। পিয়াজ ভাজা হয়ে এলে তাতা পরিমান মতো লবন দিতে হবে।
৫ম ধাপ
এরপর তাতে বাটিতে গুলে নেয়া মশলা দিয়ে ভালভাবে কষিয়ে নিতে হবে।
৬ষ্ঠ ধাপ
তেল যখন মশলা থেকে আলাদা হয়ে আসবে তখন টুকরো করে নেয়া মাছগুলো দিয়ে দিতে হবে।
৭ম ধাপ
ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে তাতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে প্রায় ১০-১৫ মিনিট মিডিয়াম আচে জাল দিতে হবে।
শেষ ধাপ
ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিলেই হয়ে যাবে কাকিলা মাছ ভুনা।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করতে হবে।
আশাকরি আজকের কাকিলা মাছ ভুনা রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
অনেকদিন পরে এই মাসের রেসিপি দেখতে পেলাম আপু। দারুন একটা কাকিলা মাছের রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপিটি তৈরি করার ক্ষেত্রে একটু ধনিয়া পাতা ব্যবহার করলে সেটা যেন খেতে আরো দারুন হয়ে যায়।
শীতকালে ধনেপাতা ছাড়া কোন তরকারি খেতে ভাল লাগে না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমাদের এখানে এই মাছ গুলো পাওয়া যায় না। তবে মাঝেমধ্যে ছোট মাছের সঙ্গে দু-একটা হয়তো আসে। আপনি খুবই সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। যা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এ মাছ প্রায় বিলুপ্তির পথে ,তবে এ মাছ ফিরিয়ে আনার জন্য গবেষনা চলছে । আশা করি আবার এ মাছ ফিরে আসবে বাঙালির পাতে। ধন্যবাদ আপু।
ছোট বেলায় কাকিলা মাছ অনেক খেয়েছি। কাকিলা মাছ আমার বাবার খুবই প্রিয় মাছ ছিলো তাই বাজারে দেখলেই কিনে আনতো। আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এখন এই মাছ চোখেই দেখা যায় না হঠাৎ পাওয়া গেলেও দাম এত বেশি যা আর কেনা হয়ে উঠে না। কাকিরা মাছের ভুনা রেসিপি টি আপনি খুবই সুন্দর করে করেছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু। শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি অনেক মজার করে কাকিলা মাছ রান্না করেছেন দেখতে কিন্তু মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।তবে এই মাছ আমরা অন্য নামে চিনে থাকি। আমাদের এখানে এই মাছ অনেক পাওয়া যায়।এছাড়া সাইজেও অনেক বড় বড় সাইজের পাওয়া যায় মাঝে মাঝে।
ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
দারুন একটি মাছের ভুনা রেসিপি করেছেন যেটা আমাদের দিকে আঞ্চলিক ভাষায় কাল হে মাছ বলে ।যেটা খেতে দারুন মজা নদীর মাছ খেতে মজা তো হবেই। আর আপনি তো ভুনা রেসিপি করেছেন যেটা আমার খুবই পছন্দের।
জি ভাই নদীর মাছতো মজা হবে। কিন্তু এখন সব চাষের মাছ। এখন নদীর মাছ পাওয়াই যায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু, মাছটি দেখেছি! কিন্তু এ মাছের নাম যে কাকিলা মাছ জানা ছিল না! সিম্পল ওয়েতে খুব সুন্দর করে মাছের ভুনা তৈরি করে দেখালেন। খেতেও নিশ্চয় মজা হয়েছে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
বাহ দারুন একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন তো কাকিলে মাছের।
আমরা নদীর পাশে বাস করেও এখন এই মাছ আর দেখতে পাই না। তবে এই মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু।
আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি দেখেই লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
কালিকা মাছ ভুনা রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তবে এই মাছের রেসিপি আমি কখনো তৈরি করিনি। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে, দেখে শিখে নিলাম।
একদিন ট্রাই করিয়েন ভাইয়া। ধন্যবাদ।
আসলে কাকিলা মাছ আমারও বেশ পছন্দের , তবে এখন এই মাছটি তেমন পাওয়া যায় না এদিকে ৷ আপনি কাকিলা মাছের অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ আপনার রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় হয়েছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
ঠিক বলেছেন জলবায়ু পরিবর্তন ও নদী দুষনের কারনে অনেক মাছই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমার কাছে কাকিলা মাছটি একটি আন কমন মাছ। আমি জীবনেও কখনও এই মাছের নাম শুনিনী। তবে আমার মনে হয় এই মাছটিকে আমাদের এখানে অন্য নামে চিনে। যাই হোক সুন্দর করে আপনি রেসিপিটি করেছেন। আবার আপনার উপস্থাপনাও বেশ ছিল।
বিভিন্ন জায়গায় এ মাছ বিভিন্ন নামে চিনে। আমরা কাকিলা মাছ হিসাবেই চিনি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।