আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা -৪৫ঃ মশুরের ডালের বড়ি দিয়ে হেলেঞ্চা শাকের মজাদার রেসিপি।

in আমার বাংলা ব্লগ10 months ago

সবাইকে শুভেচ্ছা।

আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ ১৯ আশ্বিন, শরৎকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ০৪ অক্টোবর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রেসিপি নিয়ে। আজকের রেসিপিটি আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত আয়োজন,প্রতিযোগিতা -৪৫ এর জন্য। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয় প্রিয় শাকের সেরা রেসিপি। আমি শাকের যে রেসিপিটি আপনাদের সাথে আজ শেয়ার করবো তা হচ্ছে মশুরের ডালের বড়ি দিয়ে হেলেঞ্চা শাকের মজাদার রেসিপি। হেলেঞ্চা শাককে অনেক জায়গায় হিঞ্চা শাকও বলে থাকে।দেশের সর্বত্র পাওয়া যায়। পানিতে জন্মায় এই শাক। ভেষজ গুণ অনেক। বিষেষ করে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এই শাক কার্যকর। এছাড়া লিভার,বসন্ত রোগ ও কোমরের ব্যাথায় বেশ কার্যকর।ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম-সোডিয়াম,আমিষ,চর্বি ও লবণ সমৃদ্ধ।যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। এই রেসিপিটি তৈরিতে আমি প্রধান উপকরণ হিসেবে হেলেঞ্চা শাক,আলু ও ডাল ব্যবহার করেছি। এছাড়া অন্যান্য উপকরণ তো আছেই।তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক,প্রতিযোগিতা -৪৫ এর জন্য কিভাবে তৈরি হলো আমার উপস্থাপিত আজকের রেসিপিটি। আশাকরি ভাল লাগবে আপনাদের।

co32.jpg

রান্নার উপকরণ

co3.jpg

co2.jpg

co13.jpg

co20.jpg

উপকরণপরিমাণ
হেলেঞ্চা শাক১ আঁটি
মশুরের ডাল১/২ কাপ
পিয়াজ১টি
হলুদ গুড়া১/২ চাঃ চামচ
ধনে গুড়১/২ চাঃ চামচ
জিরা গুড়১/৪ চাঃ চামচ
রসুন১টি
শুকনা করিচ৩টি
কাঁচা মরিচ৫-৬টি
আদা বাটা১/২ চাঃ চামচ
লবনপরিমাণ মত
তেল১ কাপ

রন্ধণ প্রনালী

ধাপ-১

co4.jpg

co6.jpg

প্রথমে কাঁচা মরিচ, আদা ও রসুন বেটে নিয়েছি ।

ধাপ-২

co5.jpg

হেলেঞ্চা শাক ভালভাবে বেছে ধুয়ে নিয়েছি এবং কুচি করে নিয়েছি।

ধাপ-৩

co7.jpg

মসুরের ডাল ১/২ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে বেটে নিয়েছি।

ধাপ-৪

co11.jpg

co12.jpg

co14.jpg

চুলায় একটি কড়াই এ পরিমাণ মতো তেল দিয়ে বসিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে বেটে নেয়া মসুরের ডাল অল্প অল্প করে তেলে দিয়ে বড়াগুলো বাদামী করে ভেঁজে তুলে নিয়েছি।

ধাপ-৫

co15.jpg

আলু সিদ্ধ করে ম্যাশ করে নিয়েছি।

ধাপ-৬

co16.jpg

co17.jpg

পুনরায় চুলায় একটি হাড়ি বসিয়ে দিয়েছি। এবং পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে শুকনা মরিচ, রসুন কুচি ও পিয়াজ কুচি দিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-৭

co21.jpg

co22.jpg

co23.jpg

co24.jpg

co25.jpg

co27.jpg

রসুন ও পিয়াজ ভাঁজা ভাঁজা হয়ে এলে তাতে সকল মশলা একে একে দিয়ে দিয়েছি। মশলা যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সামান্য আপনি দিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-৮

co26.jpg

co28.jpg

মশলা যখন তেল থেকে ছেড়ে আসবে তখন কুচি করে রাখা হেলেঞ্চা শাক দিয়ে দিয়েছি । এবং মশলার সাথে ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি। কাষানো হয়ে এলে সামান্য পানি দিয়ে দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য।

ধাপ-৯

co29.jpg

co30.jpg

co31.jpg

শাক কিছুটা সিদ্ধ হয়ে এলে তাতে আগে থেকে ভেঁজে রাখা ডালের বড়ি ও ম্যাশ করা আলু দিয়ে দিয়েছি। এবং শাকের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। ঢাকনা দিয়ে ৩-৪ মিঃ জ্বাল দিয়েছি।যখন পানি শুকিয়ে মাখা মাখা হয়ে আসবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি। ব্যস তৈরি হয়ে গেলো মশুরের ডালের বড়ি দিয়ে হেলেঞ্চা শাকের মজাদার রেসিপি।

পরিবেষণ

co32.jpg

co36.jpg

co37.jpg

এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।

আশাকরি আজকের মশুরের ডালের বড়ি দিয়ে হেলেঞ্চা শাকের মজাদার রেসিপি আপনাদের ভাল লেগেছে।আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীরেসিপি
ক্যামেরাRedmi Note 5A
পোস্ট তৈরি@selina75
তারিখ৪ঠা অক্টোবর,২০২৩
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 10 months ago 

ঠিক বলেছেন আপু হেলেঞ্চা শাক সব জায়গাতেই খুব সহজেই পাওয়া যায়। এই শাক খেতেও অনেক মজার। মশুর ডালের বড়ি দিয়ে হেলেঞ্চা শাকের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।

 10 months ago 

আপনার জন্যও অনেক শুভ কামনা। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।

 10 months ago (edited)

হেলেঞ্চা শাক আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সব সময় ভাজি করে খাওয়া হয়েছে। তবে রান্না করে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। ইউনিক একটি রেসিপি আপনার কাছ থেকে শিখে নিলাম। আপনার রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 10 months ago 

এভাবে একদিন রান্না করে খাবেন। আশাকরি ভালো লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপু।

 10 months ago 

হেলেঞ্চা শাকটা আমার অবশ্য আজও খাওয়া হয়নি, তবে প্রায় মাঝেমধ্যে দেখি অনেকে এই রেসিপি করে থাকে। আজকে আপনি আমাদের মাঝে ঠিক সেই শাক মসুরের ডাল দিয়ে রান্না করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন তাই বড় ইচ্ছে জাগলো এটা খাওয়ার জন্য। অনেক ভালো লাগলো সুন্দরভাবে রান্নার কার্যক্রম করে দেখিয়েছেন দেখে।

 10 months ago 

আপনাদের ওখানে কি হেলেঞ্চা শাক পাওয়া যায় না? অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।

 10 months ago 

প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে মশুরের ডালের বড়ি দিয়ে হেলেঞ্চা শাকের মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হইছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 10 months ago 

উৎসাহমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 10 months ago 

সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই শাক এর রেসিপিটার নাম আমি অনেক শুনেছি কিন্তু কোন সময় খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। শুনেছি এটা নাকি খুবই পুষ্টিকর একটা শাক।

 10 months ago 

জি ভাইয়া বেশ পুস্টিগুন সম্পন্ন ।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 10 months ago 

আমার বাংলা ব্লগের এবারের প্রতিযোগিতা টা অনেক সুন্দর ছিল।যে যার মতো সবজি দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি করছে। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপিটা ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 10 months ago 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।

 10 months ago 

হায়রে কপাল শাকের এত এত রেসিপি দেখে তো মাথাই ঘুরে যাচেছ। এত সুন্দর আর ইউনিক রেসিপি গুলো তো প্রতিযোগিতা না হলে দেখতেই পারতাম না। যাক সব প্রিয় জিনিস গুলো দিয়ে দারুন একটি রেসিপি উপহার দিলেন। শুভ কামনা রইল।

 10 months ago 

জি আপু শাকের যে এতো রেসিপি হয় তা জানাই ছিল না। প্রতিযোগিতার কল্যানে তা জানা গেল। অনেক ধন্যবাদ আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 59834.01
ETH 2665.66
USDT 1.00
SBD 2.46