রেসিপিঃআলু দিয়ে টেংরা মাছের চচ্চড়ি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজ রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির আপনাদের মাঝে। একদম সাদামাটা রেসিপি। উপকরণেরও নেই আধিক্য। ছোট মাছের রেসিপি। তা হচ্ছে আলু দিয়ে টেংরামাছের চচ্চড়ি। টেংরা মাছ মিঠা পানির মাছ। খাল-বিল-ডোবায় পাওয়া যায়। অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন মাছ। শিশু ও মায়েদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি । আর এই মাছটা আপনাদের ভাইয়ার খুব প্রিয়। ঢাকার বাজারে চোখে পড়লেই কিনে ফেলি। সাধারন কিছু উপকরন ব্যবহার করে আমি এ রান্নাটি করেছি। আসুন বন্ধুরা দেখে নেই কিভাব তৈরি করলাম আজকের আলু দিয়ে টেংরা মাছের চচ্চড়ি রেসিপি।
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আলু | ২৫০ গ্রাম |
টেংরা মাছ | ২০০ গ্রাম |
পিয়াজ কুচি | আধা কাপ |
রসুন কুচি | ৪-৫ কোয়া |
কাচা মরিচ | ৭-৮ টি |
হ্লুদ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
লবন | পরিমাণ মতো |
মরিচ গুড়া | পরিমাণ মতো |
সরিষার তেল | ৩ টেঃ চামচ |
ধনে পাতা কুচি | পরিমাণ মতো |
রন্ধণ প্রনালী
১ম ধাপ
প্রথমে টেংরা মাছগুলোকে ভাল্ভাবে কেটে পরিস্কার করা ধুয়ে নিতে হবে। এরপর আলু ছিলে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। পিয়াজ ও রসুন কুচি করে কেটে নিতে হবে। এবং কাচা মরিচ ফালি করে এবং ধনে পাতা কুচি করে কেটে নিতে হবে। ছবির মতো করে।
২য় ধাপ
এরপর একটি কড়াই নিতে হবে। কড়াইয়ে প্রথমে কুচি করে কাটা আলু দিতে হবে। এরপর একে একে পিয়াজ ও রসুন কুচি,লবন,হ্লুদ গুড়া,মরিচ গুড়া,ধনে গুড়া,জিরা গুড়া,ফালি করে কাটা কাচা মরিচ এবং তেল দিয়ে ভাল্ভাবে মেখে নরম করে নিতে হবে। এরপর কেটে রাখা টেংরা মাছ গুলো হাল্কা হাতে আলুর সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। ছবির মতো করে।
৩য় ধাপ
এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ভাল্ভাবে মিশিয়ে নিয়ে ঢাকনা দিয়ে কড়াইটা চুলায় বসিয়ে দিতে হবে। বলক উঠলে কড়াইটি নাড়িয়ে দিতে হবে। তবে খুন্তি দিয়ে নাড়া যাবে না। এতে মাছ ভেংগে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
শেষ ধাপ
কিছুক্ষন পরপর কড়াইটা ঝাকিয়ে দিতে হবে আলু টেংরা মাছের তরকারি ভাজা ভাজা হওয়ার জন্য। ভাজা ভাজা হয়ে এলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিলেই হয়ে যাবে আলু দিয়ে টেংরা মাছের মজাদার চচ্চড়ি। তারপর একটি পাত্রে সাজিয়ে নিলেই তৈরি,পরিবেশনের জন্য টেংরা মাছের চচ্চড়ি।
পরিবেশণ
আশাকরি আজকের আলু দিয়ে টেংরা মাছের চচ্চড়ি রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মলা মাছটি পুষ্টি গুনে ভরপুর। আলু দিয়ে মলা মাছের চচ্চড়ি দারুন হয়েছে। চচ্চড়ি খেতে অনেক মজা লাগে। ধনিয়া পাতা কুচি দেওয়ার কারনে খেতে অনেক মজা হয়েছে। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু এই মাছের নাম যে মলা মাছ সঠিক জানতাম না তবে আপনার এই পোস্ট থেকে জানতে পারলাম। এই মাছটা সত্যি অনেক উপকারী আর খেতেও বেশ সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে। এতো সুন্দর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি আপু এই মাছে অনেক পুষ্টি রয়েছে। প্রতিটি মানুষের জন্য অনেক উপকারী মাছ। আলু দিয়ে আপনি অনেক সুস্বাদু মলা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
আপনার বানানো রেসিপিটি দেখতে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমার ছোট মাছের চচ্চড়ি খুব পছন্দ। আর আপনার বানানো রেসিপিটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপনার জন্যো অনেক শুভ কামনা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু এগুলো তো টেংরা মাছ মনে হচ্ছে, মলা মাছ তো দেখতে এরকম হয়না আমার জানামতে এগুলো টেংরা মাছ।যাইহোক আপু আপনি টাটকা মাছ গুলো ঝুড়ি করা আলু দিয়ে হাতে মেখে খুব সুন্দর করে চচ্চড়ি করেছেন। দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে আশাকরি খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো? সুন্দর লোভনীয় মাছের চচ্চড়ি রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মলা মাছ সবার জন্য অনেক উপকারী। আসলে এই মাছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ আছে। ছোট থেকে বড় সবারই এই মাছ খাওয়া উচিত। মলা মাছের চচ্চড়ি খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। পেঁয়াজ দিয়ে মলা মাছের চচ্চড়ি করলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি আলু কিংবা বেগুন দিয়ে চচ্চড়ি করলেও খেতে ভালো লাগে। আপনার তৈরি মলা মাছের চচ্চড়ি রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপু।
এগুলো তো দেখে মনে হচ্ছে টেংরা মাছ। তবে যাই হোক আমার কাছে ছোট মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। আর মাখানো তরকারি আমার কাছে খেতে বেশ ভালো লাগে। আমি সবসময় ছোট মাছ মেখে রান্না করি।দারুন ছিল আপু রেসিপিটি। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
শীতের সময় মাছ রান্না খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে আলুগুলো কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মসলার মাধ্যমে তা মাছ দিয়ে রান্না বা ভাজি করে দেখিয়েছেন। রান্নাটা পূর্ণ পড়তে ও দেখতে গিয়ে বেশ লভোণীয় মনে হল আমার কাছে।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
খুবই মজাদার এবং লোভনীয় একটি ট্যাংরা মাছ রান্নার রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাছাড়া এই টেংরা মাছ ভাইয়া অনেক বেশি পছন্দ করে সেটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আমার মনে হয় টেংরা মাছ পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই আছে আর আলু দিয়ে যদি এরকম ভাবে চচ্চড়ি রান্না করা হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাই এভাবে যেকোন ছোট মাছ রান্না করলে খেতে দারুন লাগে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সব ধরনের মাছ খেতেই আমার খুব ভাল লাগে। আপনি আজ টেংরা মাছ আলু কুচি দিয়ে খুব সুন্দর করে চচ্চরি করলেন।খেতে খুব মজা হয়েছে। কারন এ ধরনের তাজা মাছের চচ্চরি খুব ভাল লাগে।মজার এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।