রেসিপিঃকালজিরা ভর্তা।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের সাথে একটি ভর্তার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আর তাহল, কালজিরা ভর্তা। কালজিরা একটি ঔষধি উদ্ভিদ। এতে রয়েছে ফসফেট, আয়রন এবং ফসফরাস। এছাড়াও কালোজিরা বিভিন্ন রোগের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করে৷ কালজিরা স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি,সর্দি কাশি নিরাময়,ডায়াবেটিস প্রতিরোধ,মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধি,চুল পড়া প্রতিরোধ,রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন,দৃস্টি শক্তি বৃদ্ধি সহ আরও বিভিন্ন উপকারে আসে। আর্থাইটিস ও মাংসপেশির ব্যথা কমাতে কালিজিরার তেল উপযোগী। কালজিরার অনেক উপকার নিয়ে লিখা হল। এখন দেখে নেয়া যাক ,কিভাবে কালজিরার ভর্তা রেসিপিটি তৈরি করা হলো। কালজিরার ভর্তা রেসিপি তৈরি করতে আমি কুমড়োর খোসা ব্যবহার করেছি যাতে ভর্তা কম তিতা লাগে, কলজিরার ভর্তা তিতা হওয়ার কারণে অনেকে খেতে চান না । কিন্তু তারা এ ভর্তা অনায়েসে খতে পারবেন।তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি করলাম কালজিরার ভর্তা তা ধাপে ধাপে দেখে নেই। আশাকরি নিরাশ হবেন না!
ভর্তার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
কালজিরা | ২৫ গ্রাম |
মিস্টি কুমড়ার খোসা | ৪০ গ্রাম |
পিয়াজ কুচি | ৩ টেঃ চামচ |
রসুন | ২০-২৫ কোয়া |
কাচা মরিচ | ৫-৬ টি |
লবন | পরিমাণ মতো |
সরিষার তাল | ৩ টেঃ চামচ |
ভর্তা তৈরির প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে মিস্টি কুমড়ার খোসা কুচি করে কেটে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটি কড়াই এ কুচি করা মিস্টি কুমড়ার খোসা সামান্য পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
ধাপ-২
এরপর একটি তাওয়া চুলায় বসিয়ে কালজিরা ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-৩
আবার চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে দিতে হবে। তেল গরম হয়ে এলে তাতে কুচি করে কাটা পিয়াজ দিয়ে বাদামি করে ভেজে তুলে নিতে হবে।
ধাপ-৪
চুলায় একটি তাওয়া বসিয়ে দিতে হবে। তাওয়া গরম হয়ে এলে শুকনো তাওয়ায় কাচামরিচ ও রসুন বাদামি করে ভেজে নিতে হবে।
ধাপ-৫
এবার সিদ্ধ করা কুমড়োর খোসা,ভাজা কাচা মরিচ ও ভাজা রসুন পরিমাণ মতো লবন দিয়ে পাটায় মিহি করে বেটে নিতে হবে।
ধাপ-৬
এরপর ভেজে নেয়া কালজিরা বেটে নেয়া কুমড়োর খোসার সাথে মিহি করে বেটে নিতে হবে।
ধাপ-৭
.এরপর ভেজে নেয়া পিয়াজ বেটে নেয়া সকল উপকরণের সাথে আধা বাটা করে ভালোভাবে সকল উপকরণের সাথে মিশিয়ে নিতে হবে। তাহলে তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু কালজিরার ভর্তা।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করতে হবে।
আশাকরি আজকের কালজিরার ভর্তার রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি।
কালোজিরা ভর্তা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে অনেকদিন ধরেই কালোজিরা ভর্তা খাওয়া হচ্ছে না। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কালোজিরা ভর্তার রেসিপিটা চমৎকার হয়েছে আপু। কালোজিরা আমাদের সবারই প্রতিদিন কমবেশি খাওয়া উচিত। কারণ প্রতিদিন কালোজিরা খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ নিরাময় হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। গরম ভাতের সাথে এই রেসিপিটা খেতে খুব সুস্বাদু লাগবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য।
যে কোনো ধরনের ভর্তা আমার খুব প্রিয়। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে কালজিরা ভর্তা তৈরি করেছেন। আপনার ভর্তা তৈরি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে । কালজিরা ভর্তা খেতে খুবই সুস্বাদু ও মজাদার হয়ে থাকে। বিশেষ করে আমার কাছে গরম ভাত দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি ভিজিট করে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
যে কোন ভর্তা খেতে আমারও বেশ ভাল লাগে। এভাবে একদিন করে খাবেন ।আশাকরি ভাল লাগবে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কথায় আছে কালোজিরা সব রোগের মহা ঔষধ। কালোজিরা ভর্তা আমার ভীষণ প্রিয়। মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়। সকালবেলায় গরম ভাতের সাথে কালোজিরা ভর্তা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপু আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কালোজিরা ভর্তা রেসিপি তৈরি করে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ঠিক আপু কালজিরা সকল রোগের ঔষধ। প্রতিদিন খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু।
আসলেই কালোজিরা আমাদের জন্য বেশ উপকারী ৷ তবে কালোজিরা ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি ৷ আপনার থেকে দারুণ একটি রেসিপি দেখতে পেলাম ৷ আসলে ভর্তা আমার এমনিতেই অনেক প্রিয় ৷ একদিন এভাবে কালোজিরা ভর্তা তৈরির চেষ্টা করতে হবে ৷ আশা করি খেতে ভালোই হবে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷
জি ভাইয়া একদিন এভাবে ভর্তাটি তৈরি করবেন। আশাকরি ভাল লাগবে। ধন্যবাদ।
কালোজিরা এমন একটি জিনিস যা সকল ওষুধের সেরা ওষুধ বলা যায়।অনেকের রেসিপি দেখেছি কালোজিরা ভর্তা কিভাবে তৈরি করতে হয়।আপনি অনেক সুন্দর করে কালোজিরা ভর্তা তৈরি করেছেন। কালোজিরার অনেকগুলো উপকারিতা সম্পর্কে অনেক সুন্দর গুছিয়ে বলছেন।কালোজিরা ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি।তবে একদিন এভাবে ভর্তা করে খেয়ে দেখতে হবে।
জি আপু এভাবে করে খাবেন । আশাকরি ভাল লাগবে।ধন্যবাদ আপু।
কালিজিরা যেটা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের ওষুধ ।কালিজিরা ভর্তা করলে ঝাল ঝাল করে দারুন লাগে খেতে। গত বছর শীতের মৌসুমে কালিজিরা ভর্তা খেয়েছিলাম । এ বছরে খাওয়া হয়নি আপনার ভর্তা রেসিপি দেখে খাওয়ার ইচ্ছাটা পোষণ হলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কালোজিরার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। কালোজিরার ভর্তা খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার ভর্তা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে।রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু কালজিরা অনেক উপকারী। গরম ভাত ,ডাল আর কালজিরা ভর্তা ,কি যে ভাল লাগে|! ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্যের জন্য।
কালোজিরা ভর্তা রেসিপি আমার খুবই ফেভারেট একটু বেশি করে ঝাল হলে খেতে আরো বেশি মজা হয়ে থাকে।
কালিজিরা খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকার হয় যেমন ঠান্ডা জনিত রোগ তাছাড়া কালিজিরা তো মৃত্যু বাদে সকল রোগের মহা ঔষধ।
জি ভাইয়া কালজিরা অনেক উপকারী। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কালোজিরার ভর্তা দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। আসলে কালিজিরা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। এমনিতেই কালিজিরা অনেকে খেতে চায় না কারণ একটু খেতে তিতা লাগে। তবে আপনি কালিজিরা সাথে মিস্টি কুমড়ার খোসা দিয়ে ভর্তা বানিয়েছেন। এ ধরনের ভর্তা গুলো গরম ভাত এবং ডাল দিয়ে খেতে অনেক মজা হয়। খুব চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
এভাবে কালজিরা ভর্তা করলে যে কেউ খেতে পারবে। কারন এভাবে ভর্তা করলে কালজিরা ভর্তা তিতা লাগে না। ধনযবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।