ডাই প্রজেক্টঃ ওষুধের প্যাকেট দিয়ে অর্গানাইজার তৈরি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি।আমিও ভাল আছি। আজ ১৯ ই মাঘ, শীতকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
মেলার নগরী এখন ঢাকা। একুশে বই মেলা শুরু হয়েছে গতকাল, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে। বই প্রেমিদের প্রাণের মেলা। পূর্বাচলে চলছে আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা। শেরে বাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে চলছে পর্যটন মেলা।পর্যটন মেলায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে আগামীকাল।প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বই মেলায় যাবো কোন একদিন। কিন্তু বাসা থেকে অনেক দুরে হওয়ায় বানিজ্য মেলা যাওয়া হবে না মনে হচ্ছে। বন্ধুরা, মেলা নিয়ে কিন্তু আমার আজকের ব্লগ নয়! ভিন্ন রকমের একটি ব্লগ শেয়ার করবো আজ।আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিংয়ে আমার চেষ্টা থাকে, নতুন নতুন আইডিয়া শেয়ার করার।তারেই অংশ হিসেবে আজকের চেষ্টা। আমার পছন্দের কাজের মধ্যে ডাই প্রজেক্ট একটি। ডাই এর কাজের মাধ্যমে নিজের সৃজনশীলতা প্রকাশ করা যায়। তাই আমার আজকের উপস্থাপন একটি ডাই প্রজেক্ট। একটি অর্গানাইজার তৈরি। আর অর্গানাইজারটি তৈরি করেছি ঔষধেরর প্যাকেট দিয়ে। ঔষধ খাওয়ার পর যে প্যাকেট আমরা ফেলে দেই, সেই প্যাকেট সংগ্রহ করেই তৈরি করেছি অর্গানাইজারটি। শুধু তৈরির জন্য তৈরি নয়, রীতিমত ব্যবহার করছি। আমার প্রয়োজনীয় প্রসাধনী সামগ্রী রাখার জন্য দারুণ জায়গা হয়েছে অর্গানাইজারটি। কুইলিং পদ্ধতিতে ফুলের ডিজাইন যুক্ত করায়, দেখতেও অসাধারণ হয়েছে। এই অর্গানাইজার তৈরিতে ব্যবহার করেছি ঔষধের প্যাকেট, রঙ্গিন কাগজ সহ আরও কিছু উপকরণ। তাহলে আসুন,দেখে নেই বানানোর পদ্ধতিটি । আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
তৈরির উপকরণ সমূহ
১।বিভিন্ন রং এর কাগজ
২।গাম
৩।ওষুধের প্যাকেট(৬টি)
৪|কাঁচি
৫।গাম
তৈরির পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথমে ৬টি ওষুধের খালি প্যাকেট নিয়ে নিয়েছি। এরপর ৩টি ও ২টি প্যাকেট একটির সাথে অন্যটি গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর প্যাকেটের এক অংশ কেটে নিয়েছি। এভাবে ৩টি প্যাকেট কেটে নিয়েছি। এবং সিড়ির মতো করে প্রথমে ৩টি প্যাকেট,২টি প্যাকেট ও সব শেষে একটি প্যাকেট গাম দিয়ে পরপর লাগিয়ে নিয়েছি। ছবির মতো করে।
ধাপ-৩
এরপর সিড়ির মতো তৈরি করা প্যাকেটির চারদিকে রঙ্গিন কাগজ লাগিয়ে নিয়েছি গাম দিয়ে। নিচেও লাগিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার অর্গানাইজারটিকে আরও সুন্দর করার জন্য কি্ছু রঙ্গিন কাগজ চিকন চিকন করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৫
চিকন করে কেটে নেয়া রঙ্গিন কাগজ দিয়ে কুইলিং পদ্ধতির সাহায্যে কিছু পাতা ও ডাল বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার তৈরি করা পাতা ও ফুল বানিয়ে নিয়েছি প্রতিটি প্যাকেটে।ব্যস তৈরি আমার ওষুধের প্যাকেট দিয়ে অর্গানাইজার।
উপস্থাপন
আশাকরি আমার আজকের বানানো অর্গানাইজারটি আপনাদের ভাল লেগেছে। যে কেউ এই অর্গানাইজারটি বানিয়ে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস গুছিয়ে রাখতে পারেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার ডাই ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | ডাই প্রজেক্ট |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi Note 5A |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ২রা ফেব্রুয়ারী ২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/selina_akh/status/1753406318143229957
এরকম জিনিস গুলোকে ফেলে না দিয়ে, এগুলোকে নানান পদ্ধতিতে ব্যবহার করা যায়। নতুন করে সাজিয়ে তুললে এগুলোকে আরো বেশি সুন্দর লাগে দেখতে। আপনি খুব সুন্দর করে অর্গানাইজার তৈরি করেছেন। তার সাথে আমার কুইলিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। কুইলিং পদ্ধতিতে ফুলগুলো দেওয়ার কারণে বেশি ভালো লেগেছে। এটার মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কে ও রাখতে পারবেন। বেশ ভালোভাবেই জিনিসপত্র গুলো রেখেছেন। আপনার পুরো কাজটা আমার সত্যি অনেক পছন্দ হয়েছে।
ফেলে দেয়া জিনিস দিয়ে অনেক কিছুই বানানো যায় যা ব্যবহার করা সম্ভব। তাইতো ওষুধের প্যাকেট দিয়ে এই অর্গানাইজারটি বানিয়েছি। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ওষুধের প্যাকেট দিয়ে অর্গানাইজার তৈরি করার দারুণ পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে ভিন্ন ধরনের একটা জিনিস তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নতুন ধরনের এই জিনিস দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো।
আমি ফেলে দেয়া জিনিস দিয়ে কিছু বানাতে চেয়েছি তাইতো অর্গানাইজারটি বানালাম।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি ওষুধের প্যাকেট দিয়ে খুব সুন্দর একটি অর্গানাইজার তৈরি করেছেন। আপনার এই আইডিয়া আমার কাছে অনেক ইউনিক লেগেছে। আপনি ফেলে দেওয়া জিনিসকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলেছেন। এর উপরে রঙিন কাগজ দিয়ে ফুল দেওয়াতে দেখতে আরো বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ ইউনিক ডাই প্রজেক্ট শেয়ার করার জন্য।
আমি চেস্টা করেছি কিছুটা একটা বানাতে। তাইতো অর্গানাইজারটি বানালাম।ধন্যবাদ আপু।
বেশ দুর্দান্ত অর্গানাইজার তৈরি করেছেন আপনি। আপনার ওষুধের প্যাকেট দিয়ে অর্গানাইজার তৈরি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এই ধরনের ডাই পোস্ট তৈরি করতে বেশ সময় এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়ে থাকে। অর্গানাইজার তৈরি করার প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। ফুল তৈরি বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। এত দুর্দান্ত ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন এ ধরনের ডাই বানাতে বেশ সময় সাপেক্ষ। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
কোনো জিনিসই ফেলনা নয় এটা "আমার বাংলা ব্লগ" পরিবারের সদস্যরা প্রতিনিয়ত বুঝিয়ে দেন তাদের সুন্দর সুন্দর পোস্টের মাধ্যমে। ওষুধের প্যাকেট দিয়ে অনেক সুন্দর একটি অর্গানাইজার তৈরি করেছেন আপু। যেখানে প্রয়োজনীয় অনেক জিনিস রাখা যাবে। বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে আইডিয়াটা। আর আপনি দেখছি মেকআপ আইটেম রেখেছেন।
ঠিক তাই কত নতুন নতুন দেখছি আমার বাংলা ব্লগে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু বর্তমানে যে কতগুলো মেলা হচ্ছে তার ঠিক নেই। সবগুলো মেলায় যাওয়া সম্ভব নয়। আমার অবশ্য বাণিজ্য মেলা বাসার কাছে। এটাতে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যাই হোক আপনার আজকের ওষুধের বক্স দিয়ে অর্গানাইজারটি খুব চমৎকার হয়েছে। দেখে একদমই বোঝার উপায় নাই যে এটি ওষুধের বক্স দিয়ে তৈরি করেছেন। সব শেষে কসমেটিক্স খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছেন। ভালো লাগলো দেখে।
আমার বানিজ্য মেলায় যাওয়া হবে না বাসা থেকে বেশ দূর। তবে মেলায় যেতে বেশ ভালো লাগে। নতুন নতুন অনেক কিছু দেখা যায়। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমাদের এদিকে অনেকদিন থেকেই কোন মেলা হচ্ছে না। যাইহোক কোন কিছু পুরনো হয়ে গেলে সেগুলো ফেলে দিতে একদমই ভালো লাগেনা। কিংবা ব্যবহৃত কোন কিছু দিয়ে নতুন কিছু বানাতে আমার বেশ ভালো লাগে। ঔষধের প্যাকেট দিয়ে অর্গানাইজার তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু। আপনার হাতের কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়।
পুরান জিনিসকে কিংবা ফেলে দেয়া জিনিসকে নতুন রুপে সাজাতে আমার বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
ওরে বাবা আপনি তো দেখতেছি একেবারে ওষুধের খালি প্যাকেট দিয়ে অর্গানাইজার তৈরি করে ফেললেন। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি অসুস্থ থাকার কারণে তাদেরকে প্রচুর ওষুধ খেতে হয়। আমরা তো সব সময় এরকম ওষুধের প্যাকেট গুলো ফেলে দিই। আজকে আপনার কাছে এরকম আইডিয়া দেখে আমি তো ভাবতেছি এবার থেকে ওষুধের খালি বাক্সগুলো আর ফেলব না। আমিও এরকম সুন্দর সুন্দর অর্গানাইজার তৈরি করে ঘরে সুন্দর জিনিস সাজিয়ে রাখবো। আপনার আইডিয়া দেখে আমারও মাথায় একটা আইডিয়া এসেছে ভাবতেছি এবার এটা করেই ফেলবো। যাইহোক বেশ ইউনিক লেগেছে আপনার কাজটি আমার কাছে।