আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতে-৪৭ঃকুইলিং পদ্ধতিতে ময়ূরের ওয়ালমেট তৈরি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

শুভেচ্ছা সবাইকে।

প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি। আজ ২৪ কার্তিক হেমন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৯ নভেম্বর,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।

q36.jpg

q40.jpg

প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। চেষ্টা করি প্রতিবারেই অংশ গ্রহণ করতে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো অংশ গ্রহণের জন্য আমার আজকের পোস্ট। "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৭ এর প্রতিযোগিতার বিষয় কাগজ/কাপড় দিয়ে ওয়ালমেট তৈরি। আমি কাগজ দিয়ে তৈরি করেছি একটি ময়ূর। এবং ময়ূর তৈরি পুরো প্রক্রিয়াটি আমি কুইলিং পদ্ধতির মাধ্যমে করেছি। যদিও কুইলিং করতে অনেক সময় ব্যয় হয়! কুইলিং হচ্ছে পেপার রোলিং বা পেপার স্ক্রলিং বা কাগজের কয়েল। কাগজ উদ্ভাবনের সাথে সাথে কুইলিং করা শুরু হয়েছিল চীনে অথবা মিশরে।মূলত ফুলদানি,গয়নার বাক্স,ঝুড়ি,প্রতিকৃতি,পর্দা ও আসবাবপত্রের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধিতে কুইলিং ব্যবহার করা হত।মূলত বিত্তবান মহিলারা এ কাজ করতেন। কুইলিং এর প্রচলন প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। বর্তমানেও এর প্রচলন রয়েছে।বন্ধুরা,"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪৭ এর জন্য আমি আজ আপনাদের মাঝে কুইলিং বা কাগজের কয়েল তৈরি করে একটি ময়ূরের প্রতিকৃতির ওয়ালমেট উপস্থাপন করবো। ওয়ালমেট তৈরির পদ্ধতি নিম্নে ধাপে ধাপে দেয়া হলো। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।

তৈরির উপকরণ সমূহ

q1.jpg

q2.jpg

q35.jpg

১।পুরাতন শার্ট এর প্যাকেট।
২।বিভিন্ন রং এর কাগজ
৩। এন্টি কাটার
৪|গাম
৫|পেন্সিল
৬।টুথ পিক

তৈরির পদ্ধতি

ধাপ-১

q4.jpg

q5.jpg

প্রথমে ফ্রেম তৈরি করার জন্য শার্ট এর প্যাকেটটি চারদিকে সাদা কাগজ গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-২

q3.jpg

বিভিন্ন রং এর কাগজ ১সেঃমিঃ চওড়া করে এন্টি কাটার দিয়ে কেটে নিয়েছি। কুইলিং এর ময়ূর তৈরি জন্য।

ধাপ-৩

q6.jpg

q7.jpg

এরপর নীল রং এর কাগজের উপর একটি ময়ূর এঁকে নিয়েছি। এবং কেটে নিয়েছি। কেটে নেয়া ময়ূরটি তৈরি করা ফ্রেম এর উপর গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৪

q9.jpg

q8.jpg

এবার চিকন করে কেটে নেয়া নীল রং কাগজে গাম লাগিয়ে নিয়ে তা ময়ুরের গলা ও মাথায় খাড়া করে লাগিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৫

q12.jpg

এবার চিকন করে কেটে নেয়া লাল,নীল ও সবুজ রং এর কাগজ গাম দিয়ে পরপর লাগিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৬

q13.jpg

q14.jpg

q15.jpg

q11.jpg

গাম দিয়ে লাগিয়ে নেয়া কাগজ টুথ লিক দিয়ে প্যাচিয়ে কয়েলের মতো বানিয়ে নিয়েছি। এবং হাত দিয়ে এক দিকে চাপ দিয়ে পাতার শেপ দিয়ে নিয়েছি। এভাবে অনেকগুলো বানিয়ে নিয়েছি। এগুলো দিয়ে ময়ূরের পেখম বানাবো।।

ধাপ-৭

q17.jpg

q18.jpg

এবার এঁকে নেয়া ময়ূরের পেখমে তৈরি করা কয়েলগুলো গাম দিয়ে পরপর লাগিয়ে নিয়েছি। এভাবে সম্পূর্ণ পেখমে লাগিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৮

q19.jpg

q20.jpg

q21.jpg

এবার কমলা রং এর কাগজ দিয়ে কয়েল বানিয়ে হাতের চাপ দিয়ে ঠোঁট বানিয়ে নিয়েছি ময়ূরের। এবং গাম দিয়ে তা লাগিয়ে দিয়েছি।

ধাপ-৯

q22.jpg

q23.jpg

q24.jpg

এবার কাল ও সাদা কাগজ দিয়ে কয়েল বানিয়ে নিয়েছি ময়ূরের চোখ বানানোর জন্য। কয়েল বানিয়ে হাতের সাহায্য দুপাশে চাপ দিয়ে চোখের শেপ করে নিয়েছি। এবং গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-১০

q25.jpg

q26.jpg

q27.jpg

q28.jpg

এবার নীল রং এর কাগজ প্যাচিয়ে লম্বা করে নিয়েছি। এবং তা গাম দিয়ে ময়ূরের শরীরে লাগিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-১১

q29.jpg

q30.jpg

লাল ও হলুদ রং এর কাগজ দিয়ে আরও কিছু কয়েল বানিয়ে নিয়েছি। এবং সেগুলো ময়ূরের পালকে গাম দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-১২

q31.jpg

q32.jpg

এবার খয়েরি রং এর কাগজ কেটে ডাল বানিয়ে নিয়েছি ।এবং গাম দিয়ে তা লাগিয়ে নিয়েছি।

ধাপ-১৩

q33.jpg

q34.jpg

এবার সবুজ ও লাল রং এর কিছু কুইলিং পাতা বানিয়ে নিয়েছি। এবং সেগুলো গাম দিয়ে ডালের সাথে লাগিয়ে দিয়ে কুইলিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ময়ূর বানানো শেষ করেছি।

উপস্থাপন

q38.jpg

q39.jpg

q37.jpg

আশাকরি আমার কুইলিং পদ্ধতির মাধ্যমে বানানো ময়ূর আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার ডাই ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীডাই প্রজেক্ট
ক্যামেরাRedmi Note 5A
পোস্ট তৈরি@selina75
তারিখ৯ নভেম্বর, ২০২৩
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Sort:  
 last year 

ময়ূরের দৃশ্য অঙ্কন করে কাগজগুলোকে আঠা দিয়ে সেই দৃশ্যের উপর লাগিয়েছেন। কুইলিং পদ্ধতিতে ময়ূরের ওয়ালমেট দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগছে নতুন কিছু দেখলাম। আপনার দক্ষতা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের পদ্ধতিতে আপনি আজকে ময়ূরের ওয়ালমেট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। আপনি যতটা পরিশ্রম করে এমন সুন্দর জিনিস তৈরি করেছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে। আশা করি এই প্রতিযোগিতায় আপনি ভাল একটা অবস্থান অর্জন করতে পারবেন।

 last year 

আমি চেস্টা করেছি অন্যভাবে একটি ওয়ালমেট তৈরি করতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

আপনার এই ইউনিক আইডিয়াটা দেখে আমি তো অনেক বেশি মুগ্ধ হলাম। আপনি কুইলিং পদ্ধতিতে অনেক সুন্দর করে ময়ূরের ওয়ালমেট তৈরি করেছেন, যেটা দেখে আমি তো খুবই মুগ্ধ হলাম। এগুলো তৈরি করতে আপনার অনেক সময় লেগেছে দেখে বোঝা যাচ্ছে। অনেক সময় অতিবাহিত করে এটা তৈরি করেছেন। ঘরের দেয়ালে এটা লাগালে অসম্ভব ভালো লাগবে।

 last year 

প্রায় দুদিনের চেস্টার ফসল আপু। অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

অসাধারণ হয়েছে আপনার এই কুইলিং পদ্ধতিতে তৈরি করা ময়ূর। নিখুঁত ভাবে করেছেন আপু। আমি মুগ্ধ হয়ে অনেক বার দেখলাম। অনেক পরিশ্রম যে হয়েছে সেটা তো যে কেউ ই দেখেই বলে দিবে। তবে আমি আপনার ধৈর্যের প্রশংসা করবো আপু!
এই কাজের জন্য বাহিরের দেশে কুইলিং পেপার পাওয়ার যায়, আর আপনি এত গুলো কাগজ হাতে কেটে তারপর নিখুঁতভাবে কুইলিং করে একটি ময়ূর বানিয়েছেন। আপনার পরিশ্রম অবশ্যই স্বার্থক হবে আপু। শুভকামনা রইলো।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

জ়ি আপু বাইরের দেশে কুইলিং পেপার পাওয়া। আমি আমার এলাকায় খুঁজে পাইনি। তাই কেটে তৈরি করলাম। ধন্যবাদ আপু।

 last year 

অসাধারণ হয়েছে আপু। আমিতো চোখ ফেরাতেই পারছি না। এত সুন্দর করে কুইলিং করে আপনি ময়ূর তৈরি করেছেন যা অভাবনীয়। মনে হচ্ছে যেন সত্যিকারের একটি ময়ূর বসে আছে ডালের মধ্যে। বিশেষত ক্রাফট এর কাজগুলো করতে বেশ সময় ও ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। এইবার আমি একদমই সময় পাইনি আর বাড়তি কোন কাজ করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি বলেই কনটেস্টে জয়েন করতে পারিনি। আশা করি আপনি ভালো একটা অবস্থানে থাকবেন।

 last year 

একটু সময় বের করে অংশ গ্রহন করলে বেশ ভালো হতো।ঠিক বলেছেন আপু ক্রেফট এর কাজ করতে বেশ সময় লাগে। এই কাজটি আমি দুদিনে করেছি। ধন্যবাদ আপু।

 last year 

কুইলিং পদ্ধতিটা আমার কাছে খুবই কঠিন মনে হয়৷ কিন্তু আপনি চমৎকার ভাবে কুইলিং পদ্ধতিতে ময়ূরের ওয়ালমেট তৈরি করেছেন। খুবই আকর্ষনীয় লাগছে ওয়ালমেটটি দেখতে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য আপু৷

 last year 

জি আপু কুইলিং এর কাজ একটু কস্টকর। কেননা বেশ সময় নিয়ে করতে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

এটা কি বানিয়েছেন নাকি একটা সত্যকারের ময়ুর ই বসিয়ে দিয়েছেন? আমার তো সন্দেহ হচ্ছে। দেখেই চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। অনেক পরিশ্রম হয়েছে তাতে সন্দেহ নেই,কিন্তু সেই পরিশ্রমের ফল টা দারুন হয়েছে। আমি নিশ্চিত আপনি কোন পজিশন পাবেনই।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

বাহ আপু আপনার তৈরি করা ওয়ালমেট অসম্ভব সুন্দর লাগছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এবং ধৈর্য সহকারে এটি নিখুঁতভাবে তৈরি করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 last year 

ওরে বাপরে বাপ। এ দেখি লঙ্কা কান্ড। কি দারুন একটি থিম। এত সুন্দর ময়ুর নিয়ে এত হাকডাক করে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ । দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেলাম। বেশ সময় আর ধৈর্য নিয়েই তো দেখছি আপনি একটি ময়ূর তৈরি করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য। আশা করি ভালো একটি পজিশনে থাকবেন।

 last year 

জি আপু একটু অন্য রকমভাবে ওয়ালমেটটি তৈরি করেছি। ধন্যবাদ আপু শুভ কামনার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67844.42
ETH 2429.36
USDT 1.00
SBD 2.35