বিভিন্ন ধরনের পিঠার ফটোগ্রাফি।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা কেমন আছেন?,আশাকরি সবাই ভালো আছেন।সবাই ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি সবসময়। আমিও ভালো আছি । আজ ৫ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে জুন ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কোথায়ও কোথায়ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিস চট্রগ্রামে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড় ধসের সতর্কতা জারি করেছে। ইতোমধ্য কক্সবারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড়ধসে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পাহাড়ের সকল মানুষ নিরাপদ হোক, এই কামনা করি। আর হ্যাঁ, ঢাকায় এক পশলা বৃষ্টি হয়েছে আজ সকালে। অসহনীয় গরম এখন কিছুটা সহনীয়। ঢাকার আকাশ এখন মেঘলা আরো বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা আছে। বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট। আর তা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের পিঠার ফটোগ্রাফি। এই ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত জাতীয় পিঠা উৎসব থেকে। প্রতি বছর শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় পিঠা উৎসব হয়ে থাকে। এবার জানুয়ারি ৩১ থেকে ফেব্র্যারি ১০ ,২০২৪ পর্যন্ত পিঠা উৎসবের আয়োজন ছিল। সেই সময়ে পিঠা উৎসবে যেয়ে ছবি গুলো ধারণ করেছি। সেই সময় শেয়ার করা হয়নি। আশাকরি, বিভিন্ন ধরনের পিঠার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রথম ফটোগ্রাফি
এটা হল মালপোয়া পিঠার ফটোগ্রাফি। বেশ মজা খেতে মালপোয়া পিঠা।এই পিঠার চারপাশ ক্রিস্পি আর মাঝখানের অংশ নরম ।এই পিঠার প্রধান উপকরণ ময়দা,সুজি,দুধ ,চিনি,লবন ও তেল। তবে অনেকে পাকা কলা বা নারকেলও ব্যবহার করেন।এই প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এই পিঠা তেলে ভাজার পর চিনির শিরায় ভেজানো হয়। তাই খেতে বেশ মজা লাগে। মেলায় প্রায় প্রতিটি স্টলে এই পিঠা ছিল।
দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি
এটা দুধ চিতই পিঠার ফটোগ্রাফি। এই পিঠা তৈরিতে যে সকল উপকরণ ব্যবহার করা হয় সেগুলো হলো,চালের গুড়া,দুধ,নারিকেল ও লবন। প্রথমে চিতই পিঠা বানিয়ে নিয়ে পরে গরম দুধ -এ ভিজান হয়। দুধে নারিকেল দেয়া হয় বলে খেতে বেশ মজা লাগে। আমার পছন্দের পিঠার মধ্যে এই চিতই পিঠা একটি।
তৃতীয় ফটোগ্রাফি
এটা মুগ পাকন পিঠার ফটোগ্রাফি।এই পিঠা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় চালের গুড়া ও মুগ ডাল। এছাড়া আরও ব্যবহার করা হয় চিনি,তেল,লবন। এই পিঠায় বিভিন্ন ডিজাইন করা হয় খেজুর কাটা দিয়ে।তাই দেখতে বেশ সুন্দর লাগে। আর তেলে ভাজার পর এই পিঠা চিনির শিরায় ভেজানো হয়। বেশ খেতে এই পিঠা।
চতুর্থ ফটোগ্রাফি
তেলের পিঠার ফটোগ্রাফি এটি। এই পিঠা চিনি ও গুড় দিয়ে দু;ভাবে বানানো হয়। চালের গুড়া, ময়দা,চিনি বা গুড়,তেল,লবন এই পিঠা তৈরির প্রধান উপকরণ। তবে এই মেলায় দেখলাম এই পিঠায় সাদা তিলও ব্যবহার করেছে। মনে হয় সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য। এই পিঠা আমার বাসি খেতে বেশি মজা লাগে।
পঞ্চম ফটোগ্রাফি
এই ফটোগ্রাফিটি ডিম পিঠার। তবে অনেক জায়গায় এই পিঠাকে ডিম সুন্দরী পিঠাও বলা হয়। ডিম,চিনি,ময়দা,লবন তেল এই পিঠা তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। দেখতে বেশ সুন্দর এই পিঠা। তবে আমার তেমন ভালো লাগে না। তবে বানাতে বেশ সহজ ও সময় কম লাগে।
ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি
এই পিঠা সবার প্রিয় ক্ষীর পাটিসাপ্টা।এই পিঠাও বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে বানিয়ে থাকে। কেই চালের গুড়া , ময়দা্, চিনি ও ক্ষীর ব্যবহার করে ।আবার কেই চাল,সুজি,ক্ষীর ,লবন,চিনি ব্যবহার করে আই পিঠা তৈরি করে। এই পিঠা চিনি ও গুড় ব্যবহার করে দুভাবেই বানানো হয়। এই পিঠার স্বাদ নির্ভর করে ক্ষীর এর মাজার উপর। তাই ক্ষীর যদি বানানো পারফেক্ট হয় ,তবে এই পিঠা খেতেও বেশ মজা লাগে।
সপ্তম ফটোগ্রাফি
দুধে ভেজানো ভাজা পুলি পিঠার ফটোগ্রাফি। এই পিঠা আমি কখনও খাইনি। মেলায় প্রথম খেলাম। আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি।তার কারন ভাজার পর পিঠায় কোন দুধ তেমন ভাবে ঢুকেনি। তাই খেতে বেশি মজা লাগেনি আমার কাছে।
বন্ধুরা, আশাকরি আমার আজকের বিভিন্ন ধরনের পিঠার ফটোগ্রাফি পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে? মন্তব্য করে জানাতে পারেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের ফটোগ্রাফি পোস্ট এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে।</ div>
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট ফটোগ্রাফি
পোস্ট তৈরি selina 75
ডিভাইস Samsung A-10
তারিখ ১৯শে জুন,২০২৪
লোকেশন ঢাকা
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
সাথে থাকার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | ফটোগ্রাফি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Samsung A-10 |
তারিখ | ১৯শে জুন,২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
https://x.com/selina_akh/status/1803364265690358270
আপু আজ আপনি আমাদের মাঝে বেশ কয়েক রকমের পিঠার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার পিঠার ফটোগ্রাফি দেখতে বেশ সুন্দর হয়েছে। আমি সব পিঠার নাম বলতে পারতাম না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আমি বেশ কিছু পিঠার নাম জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে পিঠার ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আজকালকার ছেলে মেয়েরা পিঠার নাম জানে না বললেই চলে। মেলায় গেলে অনেক ধরনের পিঠার নাম জানা যায়। আমার বেশ ভালো লাগে মেলায় ঘুরতে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমাদের এদিকে প্রায় এক সপ্তাহ থেকে বৃষ্টি হচ্ছে আপু। এই সময় সব জায়গাতে একই অবস্থা। তবে ঢাকায় বৃষ্টি অনেকটা কম হয়। লোভনীয় সব পিঠার ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। পিঠাগুলো দেখেই মনে হচ্ছে খেতে ভালো ছিল।
অন্যান্য জায়গার তুলনায় ঢাকায় বৃষ্টি কম হয়। আর মেলায় গিয়ে অনেক ধরনের পিঠা দেখছি। বেশ ভালো লেগেছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাহ! আমার প্রিয় কিছু পিঠার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। প্রতিটি পিঠাই অসাধারণ দেখাচ্ছে। পিঠাগুলো দেখে খাওয়ার আগ্রহ বেড়ে গেল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন কিছু পিঠার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া প্রতি্টি পিঠা বেশ লোভনীয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
জাতীয় পিঠা উৎসব থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর পিঠার ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। আপনার শেয়ার করা পিঠাগুলো দেখে তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে। তবে প্রথম ফটোগ্রাফি মালপোয়া পিঠা টি দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লাগছে। তবে ডিম পিঠা আমি আজকে প্রথম দেখলাম। খুবই ভালো লাগলো আপু আপনার পোস্ট ধন্যবাদ।
দেখতে বেশ সুন্দর এই ডিম পিঠা। অনেকের খুব প্রিয় পিঠাটি। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
পিঠা দেখলে বেশ লোভ লাগে আপু। পিঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া ও সময় পেলে তৈরি করার চেষ্টা করি আপু। আপনি পিঠা উৎসব থেকে বেশ মজার মজার পিঠার ফটোগ্রাফি নিয়ে শেয়ার করলে। অনেক ভালো লাগলো দেখে ধন্যবাদ।
আমিও শীতকালে প্রায় প্রতিটি পিঠা বানানোর চেস্টা করি।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
পিঠা তো বাঙালির ঐতিহ্য ছিল। কিন্তু সত্যি বলতে এই ঐতিহ্য এখন বিলুপ্ত প্রায়। আপনি চতুর্থ ফটোগ্রাফি তে যে পিঠা টা দেখিয়েছেন ঐটাকে আমাদের দিকে পাকোয়ান পিঠা বলে অন্য পিঠা গুলো আমার বেশ পরিচিত। সবমিলিয়ে দারুণ করেছন পিঠাগুলোর ফটোগ্রাফি আপু। দেখে খেতে ইচ্ছা করছে হা হা। ধন্যবাদ আপনাকে।।
পিঠাকে জনপ্রিয় করার জন্যই পিঠা মেলা অনুষ্ঠিত হয় প্রতি বছর।আমার আবার পিঠা বেশ প্রিয়। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিভিন্ন রকম পিঠা খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ তো খুব কম রয়েছে। নানান রকমের পিঠা খাওয়া হলে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনি আজকে অনেক রকমের পিঠার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেগুলো দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে সব পিঠা থেকে একটা একটা নিয়ে খেয়ে ফেলি। আমার কাছে এখানে থাকা সবগুলো পিঠাই ভালো লাগে। তবে দ্বিতীয় এবং পঞ্চম নাম্বারে থাকে পিঠা আমি একটু বেশি পছন্দ করি। এরকম মজাদার পিঠা দেখলে বসে থাকা যায় না।
আমারও বেশ প্রিয় বিভিন্ন ধরনের পিঠা। মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি দেখতেছি পিঠার উৎসব থেকে খুব মজার পিঠার ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে বিভিন্ন ধরনের মজার পিঠা দেখতে এবং খেতে দুটো খুব ভালো লাগে। তবে এই ধরনের পিঠা উৎসবগুলোতে গেলে অনেক কিছু শিখা যায়। তবে আপনি অসাধারণ ফটোগ্রাফি করেছেন। এবং বিভিন্ন রকমের পিঠাগুলোর ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর করে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আমার তোলা পিঠার ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
আরে বাহ্ আপনি তো দেখছি খুবই মজার মজার পিঠার ফটোগ্রাফি আজকে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা পিঠা দেখতে তো অনেক সুস্বাদু বলে মনে হচ্ছে। পিঠা খেতে কম বেশি সবাই অনেক পছন্দ করে। বিশেষ করে আমি তো একটু বেশি পছন্দ করি পিঠা খেতে। পিঠে উৎসব থেকে অনেক মজার পিঠার ফটোগ্রাফি করেছিলেন দেখছি। পিঠা উৎসবে গিয়ে কিভাবে যে ছিলেন , আমি হলে তো সবগুলো পিঠা খেয়ে ফেলতাম। যাইহোক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।