ঈদ যাত্রা।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি। আজ ২৭শে চৈত্র, বসন্তকাল, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১০ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
ঈদ। খুশির ঈদ। একমাস সিয়াম সাধনার পর কাঙ্ক্ষিত একটি দিন মুসলিম জাহানের জন্য।মুসলিম জাহানের প্রতি ঘরে ঘরে ঈদ উৎসবের আমেজ। সব ধরণের ব্যবধান ভুলে,একে অপরের সাথে,আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার পরম আনন্দের ঈদ।মুলত আরবী রমজান মাসের শেষে, শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেলেই ঈদ উদযাপন করা হয়।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আজ ঈদ উদযাপন হলেও,আমাদের দেশে গতকাল শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায়নি, তাই ঈদ আগামীকাল। বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আমার ঈদ যাত্রা নিয়ে আজকের ব্লগিং। আশাকরি সাথেই থাকবেন।
চলন্ত ট্রেন থেকে ধারণ করা ছবি।
আজ ঈদ হলে, ঢাকায় ঈদ করতে হতো। কিন্তু সব ঠিকঠাক থাকলে, আশা করছি গ্রামের বাড়িতে শ্বশুর-শ্বাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্যদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবো। আমি এই লেখা লিখছি ট্রেন থেকে। ঢাকা থেকে পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে,নীলসাগর এক্সপ্রেসে ঈদ যাত্রা। প্রতি ঈদ শ্বশুর শ্বাশুড়িসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কাটাই। সবার সাথে ঈদ করতে যে আনন্দ তা মিস করতে চাইনা একদম।জরুরি কোন কারণ ছাড়া।করোনার সময় মিস করেছি।কর্মব্যস্তর কারণে সবাই বাইরে থাকে। ঈদে পরিবারের সবার উপস্থিতিতে একটি আনন্দমুখর পবিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে এবারো মিস হতে যাচ্ছিল সেই আনন্দমুখর পরিবেশ, টিকেট সংকটের কারণে। গত ৬ তারিখে আমাদের বাড়ি যাওয়ার টিকেট ছিল, কিন্তু আমার বরের জরুরি কাজের কারণে যাত্রা বাতিল করতে হয়।তারপর কোন ভাবেই আর ট্রেনের টিকেট পাওয়া যাচ্ছিল না!! গতকাল পর্যন্ত মেনেই নিয়েছিলাম, এবার শ্বশুর শ্বাশুড়ি ছাড়া ঢাকায় ঈদ করতে হবে। কিন্তু ঈদের চাঁদ দেখা না যাওয়ায়, আগামীকাল ঈদ হওয়াতে অনায়াসে টিকেট পেয়ে গেলাম। এখন বাড়ির পথে,আনন্দ আর আনব্দ।
চলন্ত ট্রেন থেকে ধারণ করা ছবি।
আমাদের ট্রেনের ছাড়ার সময় ছিল সকাল ৭.১ মিনিটে । ঈদে কমলাপুর ষ্টেশনে যাত্রী চাপ কমানোর জন্য, এবার উত্তরের দুটি ট্রেন নীলসাগর ও চিলাহাটি এক্সপ্রেস ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ষ্টেশন থেকে ছাড়ার কারণে, সকাল ৬.৩০ টার সময় ষ্টেশনে চলে আসি আমরা। আধাঘন্টা লেটে ৭.৩০ টায় ট্রেন ছেড়ে দেয় পার্বতীপুরের উদ্দেশ্যে।
চলন্ত ট্রেন থেকে ধারণ করা ছবি।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি, আগামী বৃহস্পতিবার ঈদের তারিখ ঘোষনা করলে, রাত ৯.৩০ টায় ট্রেনের টিকেট ছাড়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেহরির সময়ও দেখি অধিকাংশ টিকেট অবিক্রিত।ভাবছিলাম ট্রেন মনে হয় ফাঁকাই যাবে। কিন্তু ষ্টেশনে এসে ভুল ভাঙ্গল। প্রচুর মানুষ ট্রেনের অপেক্ষায়! তখন ভাবছিলাম, এরাও কি আমাদের মত পরিবার পরিজন ছাড়া ঈদ কাটাতে মনস্থির করেছিল! ভাগ্যিস ঈদ একদিন পিছিয়েছে! তবে গত দুইদিন ট্রেনে যে উঁপচেপড়া ভীড় ছিল ট্রেনে, তা আজ ছিলনা। নন এসিতে দুচারজন স্টান্ডিং যাত্রি থাকলেও, আমাদের এসি বগিতে বেশ কয়েটি সিট ফাঁকাই ছিল। ঈদ যাত্রার যে যাত্রি চাপ, তা নেই। স্বাভাবিক দিনের যাত্রার মত মনে হচ্ছে।যমুনানদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু,পাবনা জেলার বিভিন্ন অঞ্চল, বনলতা সেনের নাটোর পেরিয়ে বিখ্যাত রেলওয়ে জনসং শান্তাহারে এখন আমাদের ট্রেন। এখনো দেড়/দুই ঘন্টার দূরুত্বে আমরা। ট্রেন ঝ ঝিক ঝিক করে এগিয়ে যাচ্ছে গন্তব্যের দিকে। আমরাও মুখিয়ে আছি ট্রেন থেকে নামতে।নীলসাগর ট্রেন থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | লাইফস্টাইল |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ১০ই এপ্রিল, ২০২৪ইং |
আমার পরিচয়
সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
ট্রেনে বসেই আমাদের সাথে পোস্ট শেয়ার করলেন। আপনার ঈদ যাত্রা ভালো হোক এই কামনা করি। পরিবার এবং নিজের কাছের মানুষগুলোর সাথে ঈদের দিন খুব সুন্দর ভাবে উদযাপন করবেন আশা করি। ঈদে এই বাড়ি ফেরার আনন্দ গুলো আসলেই অন্যরকম। আগামীকাল ঈদ হওয়াতে খুব সহজে টিকেট পেয়ে গেলেন। সম্ভবত সকালে একটা নিউজে দেখলাম বাংলাদেশ ছাড়া প্রায় প্রত্যেকটা মুসলিম কান্ট্রিতে আজকে ঈদ হচ্ছে। যাইহোক, ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে।
রোজা ৩০টি না হলে আমার পরিবারের সাথে ঈদ করা হতো না। ঢাকাতেই ঈদ করতে হতো। তা যাই হোক অবশেষে যেতে পারছি সেটাই আনন্দের।ধন্যবাদ আপু।
ঈদ পিছিয়ে যাওয়ার কারণেই আপু আপনারা ট্রেনের টিকিটটা পেয়েছেন, সেটা না হলে হয়তো পেতেন না। কারণ ঈদের সময় ট্রেনে যে কি পরিমাণ ভিড় হয়, সেটা তো আমি অনেকবার দেখেছি। যাইহোক, আগামী বৃহস্পতিবার যেহেতু ঈদ, এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। তাছাড়া আপনি পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারবেন, এটাও অনেক খুশির একটা ব্যাপার। আপনার যাত্রা শুভ হোক, এটাই কামনা করি।
ঈদর সময় ট্রেনের টিকেট পাওয়া যেনো সোনার হরিণ । অনেক চেস্টা করেও পাইনি। তবে ৩০ রোজা হওয়ায় বাড়ি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। পরিবারের সাথে ঈদ করতে পারবো।সেটাই আনন্দের। ধন্যবাদ ভাইয়া।
https://twitter.com/selina_akh/status/1778029760293359920
আজকের ট্রেন যে এত ফাঁকা দেখি কিন্তু বেশ অবাক হলাম। চ্যাটিং এর সময় আপনি বলেছিলেন বাসায় ফিরছেন। ঠিক সেই বিষয়ের উপর একটা ব্লগ শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো আপনার দারুণ এই ব্লগ দেখে।
অনেক ফাঁকা ছিল ট্রেন। তাই আরেমেই আসতে পেরেছি বাড়িতে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে প্রথমে পোস্টটি পড়তে পড়তে ভাবছিলাম যে আপনি হয়তোবা এই ঈদের সময় আর ট্রেনের টিকিট পাবেন না। তখন মনটা হঠাৎ করে খারাপ হয়ে গেল আমার। আবার পরবর্তীতে যখন জানতে পারলাম যে আপনি বাড়িতে যাওয়ার ট্রেনের টিকিট পেয়েছেন তখন আবার আমার সত্যিই ভালো লেগেছে। কারন আমি চাই যে এই ঈদের সময় আপনারা সবাই যেন খুব আনন্দে থাকেন। আপনাকে ঈদ মোবারক।
জ়ি ভাইয়া ঈদে বাড়ীতে যেতে না পারলে বেশ খারাপ লাগে। যেতে পারছি বলে বেশ আনন্দিত। ধন্যবাদ ভাইয়া।