রেসিপিঃ চিংড়ি দিয়ে লাউ এর মজাদার সব্জি ।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, সবাই ভাল ও সুস্থ্য আছেন,আশাকরি। সকলে ভালো থাকেন এই প্রত্যাশা করি । আমিও ভাল আছি। আজ ২৯ অগ্রাহায়ন হেমন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ১৪ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রীস্টাব্দ।
নিয়মিত ব্লগিং এ হাজির হয়েছি একটি শীতের সব্জির রেসিপি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ এর সব্জি রেসিপি। এই রেসিপিটি সবার জানা তবুও আমার মনে হলো আমার রেসিপিটি সবার সাথে শেয়ার করি। লাউ এ রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সাইটোটক্সিক যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এছাড়া লাউ খেলে শরীরে পানির ঘাটতি অনেকটাই দূর হয়। যে কারণে ডিহাইড্রেশনের ভয় থাকে না। প্রাকৃতিকভাবে শরীর ঠান্ডা রাখতে চাইলে নিয়মিত লাউ খাওয়ার অভ্যাস করা দরকার।অনেক কথা হলো, আর কথা নয় , চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ এর সব্জির মজাদার রেসিপিটি। আসুন তা ধাপে ধাপে দেখে নেই। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
লাউ | ১টি |
ছোট চিংড়ি মাছ | ১০০ গ্রাম |
পিয়াজ | ১টি |
আদা | ১/২ইঞ্চি |
হলুদ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
রসুন | ১টি |
কাঁচা মরিচ | ৫-৬টি |
লবন | স্বাদ মতো |
ধনেপাতা | পরিমাণ মত |
তেল | ৩ টেঃ চামচ |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে পিঁয়াজ,রসুন,আদা ও কাঁচামরিচ বেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর লাউ এর খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে কেটে নিয়েছি।এবং চিংড়ি মাছগুলো কেটে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
চুলায় আর একটি হাড়ি বসিয়ে দিয়েছি। হাড়ি গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে চিংড়ি মাছ ভেজে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৪
চিংড়ি মাছ ভেজে তুলে নেয়ার পর সেই হাড়িতে পুনরায় তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে বেটে নেয়া মশলা দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৫
পিঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে সকল মশলা দিয়ে দিয়েছি। মশলা যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সামা্ন্য পানি দিয়ে দিয়েছি। এবং মশলা ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
মশলা যখন তেল থেকে ছেড়ে আসবে,তখন কেটে ধুয়ে রাখা লাউ দিয়ে দিয়েছি এবং ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি। এবং ঢাকনা দিয়ে কম আঁচে ১০-১৫মিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
লাউ মোটামুটি সিদ্ধ হয়ে এলে তাতে ভেজে রাখা চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি ।এবং লাউ এর সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এবং ১০-১২ মিঃ জ্বাল দিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
লাউ সিদ্ধ হয়ে এলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি। ব্যস তৈরি আমার পছন্দের চিংড়ি দিয়ে লাউ এর মজাদার সব্জি রেসিপি।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।
আশাকরি আজকের চিংড়ি দিয়ে লাউ এর মজাদার সব্জি রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি । আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note 5A |
তারিখ | ১৪ ডিসেম্বর২০২৩ইং |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
চিংড়ি মাছ দিয়ে যখন লাউ রান্না করা হয় তখন তা অনেক সুস্বাদু হয় যা আমাদের সকলের অনেক বেশি পরিমাণে প্রিয়। আজকে যেভাবে আপনি এই রেসিপিটি তৈরি করে শেয়ার করেছেন এই রেসিপিটিকে দেখে লোভনীয় নিয়ে মনে হচ্ছে এবং এটি সুস্বাদু হয়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়৷
খেতে বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জিভে জল চলে আসার মত একটি খাবার। এটি মূলত শীতকালে বেশি পাওয়া যায়। এটি শীতকালে চিংড়ি দিয়ে রান্না করলে খেতে ভীষণ টেস্টি পাওয়া যায়। রেসিপিটি দেখে তো হুমড়ি খেয়ে পড়তে ইচ্ছা করছে। রন্ধন পদ্ধতি খুব সুন্দরভাবেই ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন।
আপু আমারও বেশ পছন্দের সব্জি। শীতকাল এলে প্রায় প্রতিদিন খাওয়া হয়। ধন্যবাদ আপু।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
লাউ চিংড়ি রেসিপি আমার অনেক প্রিয় একটা খাবার। লাউ দিয়ে চিংড়ি মাছ রান্না করলে খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়।আপনি লাউ চিংড়ি রেসিপি মধ্যে ধনেপাতা ব্যাবহার করেছেন ধনেপাতা ব্যবহার করলে আরও স্বাদ বেড়ে যায়। তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
শীতকালে ধনেপাতা ছাড়া কোন সব্জি রান্না কাল্পনা করাই যায় না। অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
চিংড়ি এর সাথে যেন লাউ এর অন্য রকমের একটা সম্পর্ক রয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে চিংড়ি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর গরম ভাতের সাথে এই ধরনের রেসিপিগুলো খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে।
ঠিক তাই চিংড়ি আর লাউ যেন একে অন্যের পরিপূরক। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চিংড়ি মাছ আমার অনেক পছন্দের। আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে খুবই সুন্দর ভাবে লাউয়ের সবজি রান্না করছেন। আপনার রান্নার কালার দেখে বুঝা যাচ্ছে রান্না টি দারুণ হয়েছে আপু। রান্নার ধাপ গুলো সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
জি ভাইয়া খেতে বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
চিংড়ি আর লাউ হচ্ছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে একটি খাবার। এই রেসিপিটি আমার কাছে অসাধারণ ভালো লাগে । শুধু আমার নয় আমার মনে হয়ে বাংলাদেশের সবার এটি একটি প্রিয় খাবার। আপু আপনার আজ রেসিপিটিও দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে । ধন্যবাদ আপু এই শীতের একটি মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি প্রায় সবারই প্রিয় এ খাবারটি।বিশেষ করে শীতকালে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
লাউ সবজি আমার খুব পছন্দের। চিংড়ি মাছ দিয়ে যে কোনো সবজি রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। লাউয়ের সাথে চিংড়ি মাছ দিলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে । আজ আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত চমৎকার ভাবে চিংড়ি দিয়ে লাউ এর মজাদার সব্জি তৈরি করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হইছে। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাইয়া খেতে বেশ মজা হয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দারুন একটি রেসিপি করলেন আপু আপনি। বিশেষ করে শীতকালে লাউয়ের সবজি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনি যেহেতু চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করেছেন অনেক সুস্বাদু হবে দেখা যাচ্ছে। শীতকালীন সবজির এমন মজার রেসিপিটি আপনি তৈরি করলেন। ধাপ গুলো খুব সুন্দরভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু শীতকালে এই সব্জিটি খেতে বেশি মজা লাগে।ধন্যবাদ আপু।