আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪১ || নুডলস এর পাকোড়া।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আমিও অসুস্থ্যতা কেটে আস্তে আস্তে ভালোর দিকে।আজ ২৫ শ্রাবণ, বর্ষাকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ। ৯ আগষ্ট,২০২৩ খ্রীস্টাব্দ। সকাল থেকে আকাশের অবস্থা ভালো ছিল। কয়েকদিন পর রোদের ঝিলিক দেখা গেছে। কিন্তু বিকেল থেকে আবার বৃষ্টি। এই পোস্ট যখন লিখছি তখন অবশ্য বৃষ্টি নেই।বন্ধুরা, দেশের বিভিন্ন জাগয়ার পানিবন্ধি মানুষ যাতে এই দূর্যোগ কাটিয়ে খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে এই আশা করছি। প্রিয় বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪১ || শেয়ার করো তোমার ইউনিক পাকোড়া রেসিপি। গত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি কিন্তু এবার তো কোন ভাবেই মিস করা চলবে না। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রতিযোগিতার জন্য ইউনিক পাকোড়া রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আর তা হচ্ছে নুডলস এর পাকোড়া । আর এই নুডলস এর পাকোড়া তৈরি করতে মেইন উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি নুডলস,চালের গুড়া ও ডিম। এছাড়া অন্যান্য উপকরণ তো আছেই। তাহলে বন্ধুরা, চলুন ধাপে ধাপে দেখে নেই কিভাবে তৈরি হলো "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪১ এর জন্য আমার আজকের নুডলস এর পাকোড়া। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
নুডলস | ২প্যাকেট |
পিয়াজ কুচি | ৩ টেঃ চামচ |
হলুদ গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১ টেঃ চামচ |
ভাজা জিরা গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
রসুন কোয়া | ৪-৫টি |
কাঁচা মরিচ | ৫-৬টি |
আদা | ১/২" পরিমাণ |
ধনেপাতা | পরিমাণ মতো |
লবন | পরিমাণ মতো |
ম্যাগি মশলা | ২ প্যাকেট |
ডিম | ১টি |
চালের গুড়া | ২ টেঃ চামচ |
ময়দা | ২ তেঃ চামচ |
তেল | ২ কাপ |
রন্ধণ প্রনালী
ধাপ-১
প্রথমে রসুন ও আদা একসাথে বেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর পিয়াজ, কাঁচামরিচ ও ধনেপাতা কুচিকুচি করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৩
পরিমাণ মতো পানি দিয়ে একটি হাড়ি চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। পানি ফুটে আসলে তাতে নুডলস দিয়ে দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
ধাপ-৪
নুডলস সিদ্ধ হয়ে এলে তা একটি ছাকনিতে ঢেলে দিয়েছি পানি ঝড়ানোর জন্য।
ধাপ-৫
এরপর একটি বাটিতে পানি ঝড়ানো নুদলস নিয়ে নিয়েছি। এরপর সেই নুডলসে একে একে আদা,রসুন বাটা,পিয়াজ কুচি,কাচা মরিচ কুচি ও ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার সিদ্ধ করা নুডলসে হলুদ গুরা,ভাজা জিরা গুড়া,ধনে গুড়া ,ময়দা ,চালের গুড়া ও ম্যাগি মশলা দিয়ে দিয়েছি।এবং ভালোভাবে নুডলস এর সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এবার একটি ডিম ফ্যাটিয়ে নিয়েছি। ফ্যাটিয়ে নেয়া ডিমটি মশলা মাখানো নুডলস এ দিয়ে ভালভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। যেন পাকোড়া ভালভাবে বাইন্ডিং হতে পারে।
ধাপ-৮
এবার চুলায় একতি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াই গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে মাখানো নুডলস পকোড়ার সাইজে তেলের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। এবং ব্রাউন করে ভেজে তুলে নিয়েছি।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করেছি।
আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে নুডলস এর পাকোড়া। এই বৃষ্টির দিনে চায়ের সাথে বেশ ভালো লাগবে এই মুচমুচে পাকোড়া আপনাদের আশাকরি। আমিতো বেশ মজা করেই খেয়েছি। আপনিও বানিয়ে ফেলুন একদিন এই পাকোড়া। রেসিপি তো আপনার কাছেই আছে। আশাকরি আজকের মজাদার নুডলস এর পাকোড়া রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।আবার দেখা হবে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Redmi Note 5A |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ৯ আগষ্ট,২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার বাংলা ব্লগের প্রতিযোগিতা মানেই ইউনিক কিছু করে দেখানো। নিজের ক্রিয়েটিভিটি কাজে লাগিয়ে সেটাই আপনি করেছেন। কখনো নুড লুসের পকোড়া রেসিপি খাওয়া হয়নি এতটাই সুন্দর হয়েছে খাওয়ার ইচ্ছেটা পোষণ হলো অনেক ভালো লাগলো আপনার রেসিপি তৈরি।
জি ভাইয়া খেতে বেশ মজা নুডলস এর পাকোড়া। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
https://twitter.com/selina_akh/status/1689321360789577750
নুডুলস দিয়ে পাকোড়া তৈরি করার আগে কখনো দেখিনি। দেখতেই ইউনিক একটা খাবার মনে হচ্ছে, আশা করি খেতে ভালো হবে বেশ মচমচা হবে।
জি ভাইয়া বেশ মুচমুচে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
নুডুলস দিয়েছে পাকোড়া তৈরি করা যায় সেটা আমার জানা ছিল না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এই বিষয়টা আমি প্রথমবারের মতো জানতে পারলাম। খুবই ভালো লাগলো আপনার তৈরি করা পাকোড়া দেখে।
বেশ খেতে হয় কিন্তু নুডলস এর পাকোড়া। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
নুডলস এর পাকোড়া দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার তৈরি করা নুডুলসের পাকোড়া রেসিপি দেখে আমার তো ইচ্ছে করছে খেয়ে নিতে। এই পাকোড়ার নাম আজকে প্রথমবার শুনেছি। তবে আপনি খুবই অনেক ভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন যা দেখে বুঝতে পারছি। এরকম মজার মজার গরম গরম পাকোড়া খেতে বৃষ্টির সময় খুবই ভালো লাগে। আশা করছি আপনিও খুব মজা করে খেয়েছিলেন।
বৃষ্টি আর পাকোড়া একে অন্যের পরপুরক। অনেক ধন্যবাদ আপু।
নুডুলসের পাকোড়া তৈরি কিন্তু সত্যি অনেক ইউনিক ছিল। গরম গরম এই পাকোড়া খেলে সত্যি খুব ভালো লাগবে। আসলে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে ও নিজের কাছে খুব ভালো লাগে। যদি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা যায় তখন খুবই আনন্দ লাগে নিজের কাছে। আপনি এই পাকোড়া অনেক মজাদার ভাবে তৈরি করেছেন দেখে আমার মনে হয় খুব মজা করে খাওয়া হয়েছিল। আমার কাছে সম্পূর্ণটা খুব ভালো লেগেছে দেখে।
প্রতিযোগিতা মানে ইউনিক কিছু।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রথমেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আপনি আজকে আমাদের মাঝে নুডলস এর পকোড়া রেসিপি তৈরি করে অনেক সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। আসলে যে কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হলে অনেক সময় ব্যয় করে পোস্টটি তৈরি করতে হয়। পোস্টে তৈরি করতে আপনি অনেক কষ্ট করেছিলেন দেখে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দরভাবে পোস্টটি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।