রেসিপিঃ ফাইসা শুটকি ভর্তা।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি, সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি। আমিও ভালো আছি। ১৬ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে মে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি ভর্তার রেসিপি নিয়ে। আর তাহলো ফাইসা শুটকি ভর্তা।বিভিন্ন ধরনের শুটকি আমার বেশ প্রিয় । তাই অনেক রকম করেই রান্না করি শুটকি। তবে শুটকি ভুনা ও ভর্তা খেতে আমি বেশি পছন্দ করি। আমার মনে হয় বেশিভাগ মানুষই শুটকি পছন্দ করে। মাছের মতো শুটকিতেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন,এন্টিঅক্সিডেন্ট,পটাশিয়াম ও সোডিয়াম। যা আমাদের শরীরের প্রোটিনের চাহিদা পূরন করে। সে সাথে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে। ঝাল ঝাল শুটকি ভর্তা গরম ভাতের সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে। আমারতো বেশ ভালো লাগে। আপনাদেরও নিশ্চয়ই খুব পছন্দ শুটকি ভর্তা। প্রিয় রেসিপিটি তৈরি করতে প্রধান উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি ফাইসা শুটকি । তাছাড়া আরও কিছু উপকরণ ব্যবহার করেছি। আর কিভাবে এই ফাইসা শুটকি ভর্তা তৈরি করলাম চলুন তা দেখে নেই। আশাকরি,ফাইসা শুটকির মজাদার ভর্তা রেসিপিটি আমাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ফাইসা শুটকি | ৪টি |
পিয়াজ | ২টি |
রসুন | ১টি |
শুকনা মরিচ | ৩টি |
কাঁচা মরিচ | ৩টি |
সরিষার তেল | ১ টেঃ চামচ |
লবন | স্বাদ মতো |
ভর্তা তৈরির ধাপ সমূহ
ধাপ-১
প্রথমে শুটকি গুলো আঁশ ছাড়িয়ে পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
পিঁয়াজ ও রসুন পরিস্কার করে ধুয়ে কুচি করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
পরিমাণ মতো সরিষার তেল দিয়ে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হলে তাতে পরিস্কার করা ফাইসা শুটকিগুলো দিয়ে মচমচ করে ভেজে একটি বাটিতে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৪
সেই কড়াইয়ে আবার কিছুটা তেল দিয়ে শুকনা মরিচ, পিঁয়াজ ও রসুন ভেজে একটি প্লেটে তুলে নিয়েছি
ধাপ-৫
এবার ভাজা মরিচ গুলো সামান্য লবন দিয়ে পাটায় বেটে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার ফাইসা শুটকি ও কাঁচা মরিচ একসাথে বেটে নিয়েছি। এবং ভাঁজা রসুন ও পিঁয়াজ আধা বাটা করে নিয়েছি। এবং সকল কিছু একসাথে হাত দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। সবকিছু ঠিক আছে কিনা দেখে একটি প্লেটে তুলে নিয়েছি। ব্যস তৈরি আমার মজাদার ফাইসা শুটকির ভর্তা।
উপস্থাপন
আশাকরি আজকের ফাইসা শুটকি ভর্তা রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি চেষ্টা করি নতুন নতুন রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার রেসিপি ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন। পরিবারের সকলের যত্ন নিন।নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভালো রাখুন।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | রেসিপি পোস্ট |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ৩০শে মে,২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
শুটকি মাছের অনেক সুন্দর ভর্তা তৈরি করে আপনি আমাদের দেখিয়েছেন। এ জাতীয় সুস্বাদু রেসিপিগুলো আমার খুবই ভালো লাগে। তবে দুঃখের বিষয় আমাদের এলাকায় কিন্তু শুটকি মাছ পাওয়া যায় না। আশা করি অনেক টেস্ট ছিল আপনার এই চমৎকার রেসিপি।
আপনারা কি শুটকি খান না? জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
https://x.com/selina_akh/status/1796087596935991577
আপনার পোস্টে জানতে পেলাম শুটকি মাছের নানান ভিটামিনের কথা।ফাইসা শুটকি চমৎকার সুস্বাদু মুখরোচক একটি খাবার।ঝাল ঝাল শুটকি মাছ ভর্তা দিয়ে গরম ভাত কি যে মজা।আপনার শুটকি মাছের রেসিপিটি ভীষন লোভনীয় লাগছে। ধাপে ধাপে ভর্তা তৈরি পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে যে শুটকি মাছের রেসিপিটি শেয়ার করেছেন এই শুটকি মাছ আমি প্রথম দেখলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। আর এগুলো যখন তেলে ভেজে নিয়েছেন সাথেই ভর্তা করলেন দেখে সত্যিই লোভ সরাতে পারছি না। সামনে পেলে পুরোটাই খেয়ে নিতাম। রেসিপিটি লোভনীয় হয়েছে বেশ দারুন। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
বেশ খেতে হয়েছিল।আমারতো বেশ পছন্দ। এই শুটকি সম্ভবত চট্টগ্রামেই পাওয়া যায়। মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
শুটকি ভর্তা আমার খুবই প্রিয়। আজকে দুপুর বেলায় শুটকি ভর্তা দিয়ে ভাত খেয়েছি। সকাল বেলায় বৃষ্টিতে ভেজার কারণে জ্বর জ্বর লাগছিল। তাই কিছুই খেতে ইচ্ছে করছিল না। এরপর ঝাল ঝাল শুটকি ভর্তা করেছিলাম। আপনার তৈরি করা শুটকি ভর্তা দেখে খুবই ভালো লাগলো আপু।
কিছু খেতে মন না চাইলেও শুটকি ভর্তা দিয়ে খাওয়া যায়। মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।
শুটকির প্রত্যেকটা রেসিপি আমারও ভীষণ ভালো লাগে খেতে। আর এরকম শীল পাটায় বেটে শুটকি ভর্তা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আপনার রেসিপিটা দেখেই তো জিভে জল চলে এসেছে। দেখে বোঝাই যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল। তবে এই ফাইসা শুটকি কখনো খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
শুটকি ভর্তা শিলপাটায় ভর্তা না করলে খেতে মজা হয় না। মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।
শুটকি মাছের ভর্তা অনেক খেয়েছি কিন্তু আপনার মতো ফাইসা শুটকি ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার ভর্তা খেতে নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। সত্যি শুটকি ভর্তা দিয়ে গরম ভাত খেতে অনেক মজার। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছিল ফাইসা শুটকি ভর্তা। ধন্যবাদ আপু মতামতের জন্য।
আমার কাছেও যে কোনো শুটকির ভর্তা ও ভুনা খেতে খুব ভালো লাগে । তবে ফাইসা শুটকির নাম আজকে প্রথম শুনলাম । আর দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক টেস্টি হয়েছিল । এরকম করে শুটকি ভর্তা করলে গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে সত্যি ভালো লাগে ।
আমারও বেশ পছব্দ শুটকি।ফাইসা শুটকি চট্টগ্রামেই মনে হয় পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ফাইসা শুটকি ভর্তা এটা আমি কখনো খাই নাই। আপনি বেশ দারুণভাবে এটা সম্পূর্ণ করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন ও আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমি শিখতে পারলাম। বাসায় খুব সহজে তৈরি করতে পারবো এবং আপনার রান্নার ধরনটি ভীষণ ভালো লাগলো। সব নিয়ে দারুণ পরিবেশনা ছিল।
এই শুটকি সম্ভবত চট্টগ্রামে পাওয়া যায়। তবে খেতে বেশ মজা। মতামতের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ফাইসা শুটকি বেশ পছন্দের আপু আমার কাছে। আপনি ঠিক বলছেন ম্যাক্সিমাম মানুষ শুটকি মাছ বেশ পছন্দ করেন। আপনি আজকে ফাইসা শুটকি মাছ ভর্তা করলেন। এভাবে ভর্তা করলে খেতে খুবই ভালো লাগবে। তবে আপনার মত করে এভাবে কখনো ভর্তা করে খাওয়া হয়নি। একদিন আপনার রেসিপি দেখে তৈরি করে খেতে হবে।
একদিন এভাবে ভর্তা করে খাবেন। আশাকরি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।