রেসিপিঃ পিয়াজ কলি ও আলু দিয়ে শিং মাছের মজাদার ঝোল।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা,কেমন আছেন? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি । প্রিয় আমার বাংলা ব্লগে নিয়মিত ব্লগিং এ আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি রেসিপি নিয়ে। আর তা হচ্ছে পিয়াজ কলি ও আলু দিয়ে শিং মাছের মজাদার ঝোল। শিং মাছে আয়রন ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ উপাদানের আধিক্য রয়েছে। তাই প্রাচীনকাল থেকেই রক্তশূন্যতার রোগীদের শিং মাছ খাওয়ার প্রচলন চলে আসছে। আমি রান্নায় কাচা মরিচ ব্যবহার করি । কেননা কাচা মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । আশাকরি আজকের উপস্থাপিত রেসিপিটি আপনাদের ভাল লাগবে। অনেক কথা হলো, আর কথা নয় , চলুন দেখে নেয়া যাক, কিভাবে তৈরি হলো আমার আজকের রেসিপি পিয়াজ কলি ও আলু দিয়ে শিং মাছের মজাদার ঝোল , তা ধাপে ধাপে দেখে নেই।
রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
শিং মাছ | ২০০ গ্রাম |
টমেটো | ১টি |
আলু | ৪টি |
পিয়াজ কুচি | ১/২ কাপ |
হলুদ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ধনে গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
জিরা গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
রসুন কোয়া | ৪-৫ট |
কাচা মরিচ | ৫-৬টি |
ধনেপাতা | পরিমান মতো |
লবন | স্বাদ মতো |
মরিচ গুড়া | ১/২ চাঃ চামচ |
পিয়াজ কলি | ১/২ কাপ |
আদা বাটা | ১/২ চাঃ চামচ |
তেল | ৩ টেঃ চামচ |
রান্নার পদ্ধতি
ধাপ-১
প্রথমে পিয়াজ কুচি,রসুন ও কাচা মরিচ বেটে নিতে হবে।
ধাপ-২
এরপর আলু,টমেটো,পিয়াজ কলি ও ধনেপাতা কেটে নিতে হবে। এবং মাছগুলো পরিস্কার করে টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
ধাপ-৩
চুলায় আর একটি হাড়ি বসিয়ে দিতে হবে। হাড়ি গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিতে হবে। তেল গরম হয়ে এলে তাতে পিয়াজকুচি দিতে হবে। এবং পিয়াজ ভাজা ভাজা করে নিতে হবে।
ধাপ-৪
পিয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে একে একে সকল মশলা দিয়ে দিতে হবে ধনেপাতা বাদে। মশলা যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সামান্য পানি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে।।
ধাপ-৫
মশলা যখন তেল থেকে ছেড়ে আসবে,তখন টুকরো করে রাখা শিং মাছ দিয়ে দিতে হবে এবং ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে কষানো হয়ে গেলে অন্য একটি পাত্রে মাছগুলো তুলে নিতে হবে।
ধাপ-৬
এরপর সেই কষানো মশলাতে টুকরো করা আলু দিয়ে দিতে হবে। এবং মশলার সাথে ভালোভাবে কষিয়ে নিতে হবে। সিদ্ধ হওয়ার জন্য পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ১৫-২০ মিনিট জ্বাল দিতে হবে।
ধাপ-৭
আলু কিছুটা সিদ্ধ হয়ে এলে তাতে আগে থেকে কষিয়ে রাখা শিং মাছগুলো দিয়ে আরো ১০ -১৫ মিঃ জ্বাল দিতে হবে।
ধাপ-৮
তেল যখন উপরে উঠে আসবে তখন বুঝতে হবে রান্নাটি হয়ে এসেছে। তখন ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিলেই তৈরি পিয়াজ কলি ও আলু দিয়ে শিং মাছের মজাদার ঝোল।
পরিবেষণ
এরপর একটি বাটিতে তুলে নিয়ে সাজিয়ে পরিবেষণ করতে হবে।
আশাকরি আজকের মজাদার পিয়াজ কলি, আলু দিয়ে শিং মাছের ঝোল রেসিপিটি আপনাদের ভাল লেগেছে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ আমার রেসিপির ব্লগ এখানেই শেষ করছি ।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA10 |
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/selina_akh/status/1656716577155186698
আপনি ঠিক বলছেন আপু শিং মাছের মধ্যে অনেক পুষ্টি রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক ভালো বিশেষ করে আয়রনের ঘাটতি দূর করে। আপনি পেঁয়াজ কলি দিয়ে বেশ মজার করে শিং মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন সাথে আলু দিয়ে বেশ মজার। অনেক ভালো লেগেছে রেসিপিটি অনেক মজাদার মনে হচ্ছে ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু।
শিং মাছের তরকারি, আমার কাছে মনে হয় রোগীর পথ্য ।এগুলো রোগীর খাবার হিসেবেই সব সময় খেতে দেখা যায় ।তবে আমার কাছে শিং মাছের তরকারি অনেক ভালো লাগে। আলু দিয়ে রান্না করলে অনেক ভালো লাগে। এভাবে পেঁয়াজ কলি ও আলু দিয়ে শিং মাছের তরকারি রান্না করেছেন খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
আমার কাছেও রোগীর পথ্য বলে মনে হয়। কিন্তু আমার বরের পছন্দ। তাই মাঝে মাঝেই করতে হয়। জি আপু খেতে বেশ মজা হয়েছিল।ধন্যবাদ আপু।
পিয়াজ কলি ও আলু দিয়ে শিং মাছের মজাদার ঝোল রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে। অসাধারণ রেসিপি তৈরি করেছেন। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি ঠিক বলেছেন কাঁচা মরিচের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি আছে। আপনি খুব চমৎকারভাবে পিয়াজ কলি ও আলু দিয়ে শিং মাছের ঝোল রেসিপি বানিয়েছেন। শিং মাছ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। রক্তশূন্যতার জন্য শিং মাছ অনেক উপকারী। আর আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
জি ভাইয়া রক্তশুন্যতার জন্য বেশ উপকারী শং মাছ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আজ আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে শিং মাছ রান্না করে দেখিয়েছেন। আপনার এত সুন্দর মাছ রান্না আমাকে মুগ্ধ করেছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে এই মাছ রান্না করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার মাছের রান্নার পদ্ধতিটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এত সুন্দর ভাবে রেসিপি উপাদান গুলো আমাদের মাঝে টেবিল আকারে উপস্থাপন করেছেন দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে।
ামি চেস্টা করি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
শিং মাছের ঝোল আমার খুব পছন্দ। পেঁয়াজ কলি ও আলু দিয়ে শিং মাছের ঝোল রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। টমেটো ও ধনিয়া পাতা দেওয়াতে রেসিপির স্বাদ মনে হচ্ছে অনেক বেড়ে গিয়েছে। যাইহোক রেসিপিটা দেখে খুব ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক তাই ধনেপাতা ও টমেটো দিয়ে কোন কিছু রান্না করলে তার স্বাদ দ্বিগুন বেড়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ।