দিবসঃ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, আশাকরি বরাবরের মত ভালো আছেন সবাই। আমিও ভালো আছি। গত তিন দিন আমার বাংলা ব্লগের বর্ষপূর্তি আয়োজনের রেশ এখনও আছে নিশ্চয়ই। আমি ভিষণ উপভোগ করেছি। গত কয়েকদি্ন আবহাওয়া বেশ আরামপ্রদ ছিল কিন্ত আজ আবার কাঠফাটা রোদ আর ভ্যাপসা গরম। প্রকৃতির লীলাখেলা বোঝা বড় মুশকিল। কি আর করা এই নিয়েই আমাদের চলতে হবে।বন্ধুরা,আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিং এ আজ হাজির হয়েছি, একটি দিবসের তাৎপর্য নিয়ে। আপনারা জানেন মাঝে মাঝে আমি দিবসের তাৎপর্য নিয়ে হাজির হই। প্রতিদিনেই কোন না কোন দিবস থাকেই । বেশি গুরুত্বপূর্ণ দিবস নিয়ে মাসে ২/১ টা ব্লগ নিয়ে হাজির হই বা হবো। তারেই অংশ হিসেবে আজ রক্তদাতা দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আমার আজকের ব্লগ। আশকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
আজ ১৪ জুন বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। নিরাপদ রক্ত নিশ্চিত করতে ও রক্ত দাতাদের উৎসাহীত করতে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নীতিনির্ধারণী ফোরাম ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যাসেম্বলি ২০০৫ সালে ১৪ জুনকে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভূত নোবেল বিজয়ী জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের জন্মদিনে শ্রদ্ধা ও স্মরণে রক্তদাতা দিবস পালনের দিনটি নির্ধারণ করা হয়। তিনি রক্তের বিভিন্ন গ্রুপের আবিষ্কারক ও ট্রান্সফিউশন মেডিসিনের জনক। তিনি ১৮৬৮ সালের ১৪ জুন জন্মগ্রহণ করেন। অন্যান্য দিবসের মত রক্তদাতা দিবসেরও প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য থাকে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘গিভ ব্লাড, গিভ প্ল্যাজমা, শেয়ার লাইফ, শেয়ার অফেন’। যার বাংলা দাঁড়ায়— ‘রক্ত দান করুন, দান করুন প্লাজমা, যতবার সম্ভব গ্রহণ করুন জীবন বাঁচানোর এ অনন্য সুযোগ।’বাংলাদেশের বিভিন্ন রক্তদাতা সংস্থা দিবসটি ভিন্নভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উৎযাপন করছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় একটি দেশ আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এবারের আয়োজক দেশ আলজেরিয়া।
রক্ত দিন হিংসা বা যুদ্ধ নয়, রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচান। শুধু রক্তের অভাবেই প্রতি বছর অনেক মানুষ মারা যান। থ্যালাসেমিয়া ,রক্তস্বল্পতা, প্রসূতির রক্তক্ষরণ, অগ্নিদগ্ধ রোগী, বড় অপারেশন, দুর্ঘটনা, ইত্যাদি নানা কারণে রক্তের প্রয়োজন হয়। শুধু মাত্র একজন থ্যালাসেমিয়া রোগীর প্রতি মাসে ১ থেকে ৩ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন হিসেব মতে প্রতি বছর প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ ব্যাগ রক্ত ও রক্তের উপাদানের দরকার রয়েছে। যার মাত্র ৩০-৩৫ ভাগ রক্ত পাওয়া যায় স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের কাছ থেকে। বাকীটা আসে আত্মীয়-স্বজন,বন্ধু-বান্ধব ও পেশাদার রক্তদাতাদের কাছ থেকে। অথচ একজন ১৮-৬০বছরের সুস্থ্য মানুষ প্রতি চারমাস অন্তর একবার করে রক্তদান করতে পারেন।
বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের লক্ষ্যই হচ্ছে রক্তদাতাদের সম্মানিত করে বেশি সংখ্যক মানুষকে রক্তদাতা হিসেবে স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসতে উৎসাহীত করা।মানুষের জীবনে রক্তের গুরুত্ব অপরিসীম। একদিকে অসুস্থ্য মুমূর্ষ-রোগী অন্যদিকে রক্ত সংগ্রহের জন্য ছুটে চলা, কি নিদারুণ সময় তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানে। আমি-আপনি যে কেউ হতে পারি এই ভুক্তভোগী। অথচ একজন সুস্থ্য মানুষের স্বেচ্ছায় রক্তদান কত সহজ করে দিতে পারে একজন মানুষের জীবন বাঁচাতে । তাই আমাদের সবার উচিত সুস্থ্য-সবল থাকলে আসুন রক্ত দেই জীবন বাঁচাই। আপনার-.আমার শরীরের রক্তে আরেকটি জীবন রক্ষা পেয়ে পৃথিবীর আলো-বাতাস উপভোগের অপার সুযোগ আমরা তৈরি করে দিতে পারি। কারণ মানুষের রক্ত দিয়েই মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে। মানুষের রক্তের বিকল্প এখনও তৈরি হয়নি পৃথিবীতে।
বন্ধুরা, আমাদের মধ্যে ধর্মীয় ,জাতিগত বা বর্ণের বিভেদ থাকতে পারে। কিন্ত দেখবেন ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সবার রক্তই একই রঙ, লাল রঙের। তাই আসুন নিজে রক্তদাতা হই অপরকে রক্তদাতা হতে উৎসাহিত করি। সবাই ভালো থাকুন , সুস্থ্য থাকুন । আজ এই পর্যন্ত। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina75 |
তারিখ | ১৪ জুন,২০২৩ |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/selina_akh/status/1668982801490690051
আজ বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।আপনি এর তাৎপর্য খুব সুন্দর ভাবে পোস্টে তুলে ধরেছেন। পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম আপু।রক্তের অভাবে প্রতি বছর অনেক মানুষ মারা যায়। আমাদের উচিত হবে স্বেচ্ছায় রক্ত দান করা।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু খুব গুরুত্বপাূর্ণ এই দিবসটিকে নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমরা প্রত্যেকে রক্তদানের উৎসাহিত করা খুবই প্রয়োজন। যে কোনো মুহূর্তের মুমূর্ষ রোগীর জন্য রক্ত খুবই প্রয়োজন । তাই আমাদেরকে রক্ত গ্রুপ জেনে রাখা এবং রক্ত দেওয়ার জন্য উৎসাহী হতে হবে। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য। আমারা এক ফোঁটা রক্তে দিয়ে বাঁচাতে পারি অন্যের জীবন। এত চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
জি ভাইয়া আমরা রক্ত দানের মাধ্যমে আমরা অন্যকে বাচাতে পারি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
শরীরের রক্ত মানুষের জন্য দান করা সবচেয়ে মহৎ কাজ কারণ যে ব্যক্তি মানুষের উপকারের জন্য এগিয়ে আসে তার জন্য সর্বদা সৃষ্টিকর্তার বিশেষ আসন খোলা থাকে। আজকের এ রক্তদান কর্মসূচি কে কেন্দ্র করে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তাই আমার অনেক ভালো লেগেছে। আশা করি আপনার এই পোস্ট অনেকের জন্য সচেতন দৃষ্টিভঙ্গি জাগ্রত করবে।
ধন্যবাদ ভাইয়া।