রেসিপিঃ ধুন্দল ভাপা।
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আশাকরি ভালো আছেন সবাই? আমিও ভালো আছি।
উপকরণ
১। ধুন্দলঃ ২০০ গ্রাম
২। সরিষা বাটাঃ ৩ টেবিল চামচ
৩।পোস্ত বাটাঃ ২ টেবিল চামচ
৪। লবনঃ পরিমাণ মতো
৫। সরিষার তেলঃ ৩ চা চামচ
৬। কাচা মরিচঃ ৫-৬টি
৭। মরিচ গুড়াঃ সামান্য (রং হওয়ার জন্য)
৮। হ্লুদ গুড়াঃ ১ চা চামচ
৯। চিনিঃ পরিমাণ মত
১ম ধাপঃ
প্রথমে ধুন্দল গুলোকে ভালভাবে ছিলে পরিস্কার করে নিতে হবে। এরপর নিচের ছবির মত করে টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
২য় ধাপঃ
একটি পরিস্কার বাটিতে আগে থেকে বেটে রাখা সরিষা,বেটে রাখা পোস্ত,হ্লুদ গুড়া, মরিচ গুড়া, লবন ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে সামান্য পানি দিয়ে।
৩য় ধাপঃ
এরপর ঢাকনা সহ একটি পাত্র নিতে হবে। পাত্রের মধ্যে আগে থেকে কেটে রাখা ধুন্দলগুলো নিয়ে নিতে হবে। এরপর আগে থেকে মিশিয়ে রাখা মশলার উপকরণ গুলো ধুন্দলের ম্থ্যে দিয়ে দিতে হবে। এবং তেল ও চিনি দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এবং ফালি করে কাটা কাচা মরিচ ও সামান্য পানি দিয়ে দিতে হবে।
৪র্থ ধাপ
শেষ ধাপঃ
এরপর একটি পাত্রে ঢেলা নিলেই পারিবেশনের জন্য তৈরি ভাপা ধুন্দল। আমি পরিবেশনের পাত্রের ছবিটি তুলতে ভুলে যাওয়ার কারনে তার ছবিটি যুক্ত করা সম্ভব হল না।
মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মোবাইল ফটোগ্রাফিঃ স্যামসং এ১০
ধুন্দল ভাপা রেসিপিটি খুবই ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। আপনি ঠিকই বলেছেন, ধুন্দলের সিজন এখন প্রায় শেষের দিকে। সরিষা বাটা এবং পোস্ত বাটা দেওয়ার কারণে কালারটা আরো বেশি লোভনীয় লাগছে। বিশেষ করে চিনি দেওয়ার ব্যাপারটা আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। চিনি দিয়ে আসলে কখনো কোন সবজি ট্রাই করিনি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সবগুলো ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একটা ইউনিক ফলের ইউনিক রেসিপি। ধুন্দল ইউনিক কারণ এই একই রকম ধুন্দল আছে যা তেতো। আমি অনেক বাজারে ধুন্দল বিক্রি হতে দেখেছি। কদিন আগে শিয়ালদহ বাজারেও দেখলাম। তবে আমার বাড়িতে কখনো এটা রান্না করা হয়নি। তাই এর স্বাদও জানি না। আশা করি ভালোই হবে। ধন্যবাদ আপু, ভালো থাকবেন।
এ সব্জিটি খেতে বেশ মজা। চিংড়ি দিয়ে এবং চিংড়ি ছাড়াও এ সব্জিটি রান্না করলে খেতে বেশ মজা লাগে । আর ভাপা ধুন্দলও খেতে দারুন লাগে। একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন।
ধুন্দল ভাপা রেসিপি! ধুন্দল ভাজা খেয়েছি, ঝোল খেয়েছি কিন্তু ভাপা এখনো খাইনি । যাইহোক, আপনি যত্নসহকারে রেসিপিটি করেছেন এবং আপনার উপস্থাপনা দেখে মনে হচ্ছে বেশ স্বাদ হবে। বাসায় একদিন করে খাব সুযোগ পেলে, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার ইউনিক রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ট্রাই করতে পারেন একদিন।
ধুন্দল ভাপা রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে আপু।যদিও এভাবে সরিষা বাটা দিয়ে কখনো খাওয়া হয় নি।সবসময় চিংড়ি মাছ দিয়েই খাওয়া হয়,বেশ ভালো লাগে খেতে।আমরা ধুন্দলকে তরুল ও বলি।ধন্যবাদ আপু।
বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন নামে এ সব্জিটি পরিচিত। চিংড়ি দিয়ে যেমন মজা লাগে তেমনি ভাপাটাও বেশ মজা। ধন্যবাদ আপনার মন্তবযের জন্য।
একেবারেই ভিন্নধর্মী একটি রেসিপি ছিল আমি সবসময় ধুন্দুল রান্না করে খেয়েছি, ভাজি করে খেয়েছি। এটি যে ভাপা করে খাওয়া যায় সেটি আমার জানা ছিল না। ধন্যবাদ আপনাকে ইউনিক এই রেসিপির জন্য। আমি অবশ্যই একবার ট্রাই করে রেসিপিটি।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
মায়ের মুখে শুনেছিলাম বটে যে ধন্দুল নাকি খাওয়াও যায়। আমাদের বাড়িতে তো গা ঘষার খোসা হিসেবে আগে ব্যবহার হত। এই প্রথম কচি ধন্দুল কেমন হয় দেখলাম।রান্না টা বেশ ভালো লাগছে দেখতে। ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপির জন্য।
ধুন্দল একটি উপকারি ও মজার সব্জি । একদিন খেয়ে দেখতে পারেন আশা করি ভাল লাগবে