পরিবেশবান্ধব মিষ্টির ফটোগ্রাফি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
প্রিয় আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। সকলে ভালো থাকুন এই প্রত্যাশা করি।আমিও ভাল আছি। আজ ৩রা ফাল্গুন। বসন্তকাল,১৪৩০ বঙ্গাব্দ।১৬ই ফেব্রুয়ারি,২০২৪ খ্রীস্টাব্দ।
এর আগেও বলেছি, ঢাকা নগরীতে এখন চলছে বিভিন্ন ধরণের মেলা' গতকাল শেষ হয়েছে বানিজ্য মেলা। চলছে একুশে বই মেলা সহ বিভিন্ন মেলা। এত এত মেলার আয়োজন হয় যে,অধিকাংশ মেলায় যাওয়া হয়ে উঠেনা।তবে চেষ্টা করি, বাসার কাছাকাছি এবং যাওয়া আসার সুবিধা আছে সেরকম মেলায় যেতে। অধকাংশ মেলাই হয়ে থাকে দুই-তিন দিনের। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার হয়ে থাকে মেলার ব্যপ্তিকাল।নানা উদ্যোগের-নানা আয়োজনের মেলা। মেলা গুলোতে গেলে নানা আইডিয়া পাওয়া যায়। নিত্যনতুন পণ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এছাড়া নতুন নতুন উদ্যাক্তাদের একসাথে-একছাদের নীচে পাওয়া যায়। তাই মেলা গুলোতে যেতে ভালোই লাগে। আমি চেষ্টা করি মেলা গুলো নিয়ে বিভিন্ন অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথ্রে শেয়ার করতে। তেমনি একটি মেলার একটি পণ্যের ফটোগ্রাফি নিয়ে আমার আজকের ব্লগ। সময় করে মেলাটি নিয়ে আর একদিন লেখার ইচ্ছে আছে।
ঢাকায় শেরে বাংলা নগরের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গত ৮ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্টিত হয়ে গেল সুপণ্য সমাহার পরিবেশবান্ধব ক্ষুদ্র উদ্যোগ মেলা-২০২৪। ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বেশ ভালো সময় কেটেছে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পরিবেশবান্ধব পণ্য দেখে ও কথা বলে। খাবার থেকে প্রয়োজনীয় সবকিছু ছিল মেলায়।মেলা ঘুরতে ঘুরতে একটি মিষ্টির স্টলে চোখ আটকে গেল। এর আগে মেলায় কখনো মিষ্টির স্টল দেখিনি। পরিবেশবান্ধব মিষ্টি খেতে স্টলটি যেয়ে, মিষ্টি খাওয়ার পাশাপাশি কিছু মিষ্টির ফটোগ্রাফি করেছি। সেই মিষ্টি গুলোর ফটোগ্রাফি নিয়ে আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি মিষ্টি মিষ্টি স্বাদ পাবেন।
১ম ফটোগ্রাফি
তিলের লাড্ডুর ফটোগ্রাফি।নতুন মিষ্টি মনে হয়েছে আমার। তিলের খাজা, তিলের বর্ফি,তিলের নাড়ু খাওয়া হয়েছে। কিন্তু তিলের লাড্ডু খাওয়া হয়নি। বেশ লেগেছে খেতে। আমার কাছে ভালো লাগার কারন আমি তিল খেতে পছন্দ করি।
২য় ফটোগ্রাফি
এটা গাজরের সন্দেশ। দেখতে বেশ লোভনীয়। গাজর ও ছানা দিয়ে বানানো বেশ লোভনীয় একটি মিষ্টি। কিন্তু খাওয়া বিক্রেতা জানালেন ভালোই বিক্রি হচ্ছে সন্দেশটি।
৩য় ফটোগ্রাফি
ভারি অদ্ভুত নাম দিলসা লাড্ডু।এতদিন দিল্লিকা লাড্ডুর নাম শুনে এসেছি আর এটা দিলসা লাড্ডু। দেখতে বেশ লোভনীয়।
৪র্থ ফটোগ্রাফি
গুরের সন্দেশ ।এই সন্দেশটি শীতকালেই বেশি তৈরি করা হয়। কারন এই সন্দেশ তৈরিতে যে গুড় ব্যবহার তা খেজুরের গুড়। আর খেজুড়ের গুড় বেশি পাওয়া যায় শীতকালে। আমার কাছে খেতে বেশ ভালো লেগেছে। বেশ ফ্রেশ ছিল। আর মিষ্টিও কম।
৫ম ফটোগ্রাফি
আপেল মিষ্টি। আপেল দিয়ে বানান মিষ্টি। তাই বলল বিক্রেতা। এই মিষ্টিটি দেখতে ভালোই লেগেছে কিন্তু খেয়ে দেখা হয়নি।
৬ষ্ঠ ফটোগ্রাফি
এটা বেশ পরিচিত বালিশ মিস্টি। এক একটি মিস্টি এক কেজি থেকে শুরু। এই মিস্টি ৭ কেজি পর্যন্ত বানান হয়। সাধারনত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য এই মিষ্টি বানানো হয়। যেমন বিয়ে,গায়ে হলুদ।
৭ম ফটোগ্রাফি
আর এই ফটোগ্রাফিতি মিষ্টির স্টলের।পরিবেশবান্ধব মিষ্টি প্রদর্শণ ও বিক্রি।
মিষ্টি বাঙ্গালী হৃদয়জুড়ে আছে। মিষ্টি পছন্দ করেন না , এমন মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল। কোন আনন্দ সংবাদ মানেই মিষ্টিমুখ,দীর্ঘদিনের রেওয়াজ। আশাকরি আজকের বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব মিষ্টি্র ফটোগ্রাফি ব্লগটি আপনাদের ভাল লেগেছে। আমি চেষ্টা করছি নতুন নতুন ব্লগ আর্পনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে। সকলে সুস্থ্য থাকুন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সুস্থ্য রাখুন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার আজকের ব্লগ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | ফটোগ্রাফি |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
ডিভাইস | Redmi Note A5 |
তারিখ | ১৬ ই ফেব্রুয়ারী ২০২৪ইং |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পাড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মিষ্টি খেতে আমার কাছে ভালোই লাগে। আপনার ধারণ করা আপেল মিষ্টি আমার ভীষণ প্রিয়। মিষ্টির ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। তবে বালিশ মিষ্টি নামটি আমি প্রথম শুনলাম মিষ্টি টি দেখতে পেয়ে বেশ ভালোই লাগছে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর মিষ্টির ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
বেশ জনপ্রিয় বালিশ মিষ্টিটি। মিষ্টি আমারও বেশ প্রিয়। ধন্যবাদ আপু।
https://twitter.com/selina_akh/status/1758493692799885323
আমিও মাঝেমধ্যে মেলায় ঘুরতে যাই আপু। বইমেলা কিংবা বাণিজ্য মেলা কিংবা কুটির শিল্প মেলা যা ই হোক না কেনো, আমি চলে যাই ঘুরতে। তবে প্রচন্ড ভিড় হলে আমার নিজেরও আসলে খুব বেশি একটা ভালো লাগে না। আপনার আজকের শেয়ার করা মিষ্টির ফটোগ্রাফি গুলো দেখলাম, অত্যন্ত লোভনীয় ছিল। তবে দাম গুলো এত বেশি মনে হয়েছে আমার কাছে, যেটা বলে বোঝাতে পারবো না। আমার মতে এর অর্ধেক দাম হলে হয়তো সেটা ঠিকঠাক হতো। আমাদের এখানে তিলের লাড্ডু খুব সম্ভবত ২২০ টাকা করে কেজি বিক্রি হয়। আর বাকি গুলোর কথা তো বাদ ই দিলাম, অনেক কমে পাওয়া যায় আমাদের এইখানে।