জেনারেল রাইটিংঃভয়।
সবাইকে বুদ্ধ পূর্ণিমার শুভেচ্ছা।
বাংলা ব্লগের বন্ধুরা, কেমন আছেন? আশাকরি, সবাই ভালো আছেন। ভালো থাকুন এইপ্রত্যাশা করি। আমিও ভালো আছি। মঙ্গলবার ৮ই জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে মে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ।
বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা। আড়াই হাজার বছর আগে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক মহামতি গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধী লাভ ও মৃত্য একই দিনে বৈশাখী পূর্ণিমায় হয়েছিল বলে, বৌদ্ধ ধর্মমতে নাম দেওয়া হয় বুদ্ধ পূর্ণিমা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মত আমাদের দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিরা যথাযথা মর্যদায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনটি পালন করছেন। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে আজ আমাদের দেশে সরকারি ছুটির দিন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বিদের বুদ্ধ পূর্ণিমার মৈত্রিময় শুভেচ্ছা।
প্রিয় বন্ধুরা, আমার বাংলা ব্লগের নিয়মিত ব্লগিংয়ে আজ হাজির হয়েছি একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আমি চেষ্ঠা করে সমসাময়িক ও সচেতনতা মূলক বিষয় নিয়ে প্রতি সপ্তাহে একটি করে জেনারেল রাইটিং শেয়ার করতে। তারেই অংশ হিসেবে আজকের জেনারেল রাইটিং এর বিষয় "ভয়"।
আপনি কি কখনো ভয় পেয়েছেন? জীবনে একবার দুবার ভয় পায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। ভয় কি? এটা কি অভ্যেস গত? পারিবারিক ভাবে পাওয়া না অন্য কিছু? কেউ বলেন। ভয় শারীরিক প্রকাশ আবার কেউ বলেন মানুসিক বিষয়। ভয়ের বিষয়ে একমত সংজ্ঞা তেমন নেই। কারণ একেক জনের একেক রকম ভয়। তাঁরা নিজেরাই যদি ভয়ের কারণ খুঁজে বের করতে পারে তাহলে তো কথাই নেই। এবং ভয়ের কারণটা খুঁজে বের করা খুব জরুরি। যে ব্যক্তি কারণ খুঁজে বের করতে পারবে, সেই ভয়কে করতে পারবে জয়। ভয়ে পড়া মানেই ভীতিকর পরিস্থিতিতে পড়া। অনেকে সাহসের সাথে মোকাবিলা করে , অনেকে এড়িয়ে যায় আবার অনেকে পালিয়ে যায়। তবে ভয় থেকে পালানোর চেষ্টা মানেই ভয় আরো আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে ধরবে। জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবে।ভয়াবহ পরিস্থির সৃষ্টি করবে।কারও কারও ভয় পেয়ে এ্মন অবস্থা হয় যে ডাক্তারের কাছে পর্যন্ত যেতে হয় কাউন্সিলিং এর জন্য। ভয় কিন্তু একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং মনের ব্যাপার তো বটেই। যেমন ধরুন কারো পানিতে,পাহাড়ে, সমুদ্রে, নৌকায়, গাড়ীতে ভয়। আবার কারো সাপে,কুকুড়ে ,তেলাপোকা,মাকড়োশাসহ বিভিন্ন পোকামাকড়ে ভয়। আবার কেউ কেউ একা থাকতেই ভয় পায়। একা কোন কিছু করতে- চলতে ফিরতে ভয় পায়। আসলে ভয়টা একেক জনের একেক রকম। এই ভয় অবশ্যই জয় করতে হবে।
সাধারনত তীব্র ভয় পাওয়ার পর মানুষ হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়েন। চিন্তা করার শক্তি লোপ পায়। কুঁকড়ে যায়। কেউ যদি হরর মুভি একা একা দেখে থাকেন তাহলে উপলব্দি করতে পারবেন। বা অন্ধকারে গভীর রাতে একা রাস্তায় যদি হাটেন তাহলে উপলব্দি করতে পারবেন। বেশি ভয় পেলে জোরে জোরে শ্বাস নিন,চ্যালেঞ্জ নিন। কথা বলতে চেষ্টা করুণ বা উচ্চ স্বরে গান ধরুণ পালানোর চেষ্টা করবেন না দেখবেন ভয় অনেকটা কেটে যাবে। এ সময় অনেকে দোয়া-দরুদ বা মন্ত্র পড়েও ভয় কাটিয়ে থাকেন। ভয় থেকে বাঁচতে, যে মানুষ যে জিনেসে ভয় পায়, তার থেকে রক্ষা পেতে হলে সে বিষয়টি এড়িয়ে না যেয়ে তার সম্পর্কে জানতে হবে। নিজের মনকে প্রস্তুত করতে হবে। ভয় বিষয়ে আমার নিজের একটি উদাহরণ দিয়ে আজকের লেখা শেষ করবো। আমি উঁচুতে উঠতে উঠে,-নীচে তাকালেই হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসেতো,পা কাপতো, মাথা ঘুরতো, মনে হত এক্ষুনি পড়ে যাব। আস্তে আস্তে সে ভয় আমি অনেকটা কাটিয়ে উঠেছি। এখনো চেষ্টা করে যাচ্ছি উচ্চাতা ভয় একদম কাটিয়ে উঠতে। আসুন সবাই চেষ্ঠা করি ভয়কে জয় করতে।
পোস্ট বিবরণ
পোস্ট | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | selina 75 |
তারিখ | ২২শে মে,২০২৪ |
লোকেশন | ঢাকা |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। বর্তমানে গৃহিনী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি।স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা।এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
আপু ভয় নিয়ে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনার লেখাগুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো।এটা সত্যি আমি একা কিংবা কারো সাথে বসেও হরর মুভি দেখি না। পরে ভয় পাওয়ার জন্য। সত্যি ভয়কে জয় করতে হলে যে বিষয়ে ভয় তা সম্বন্ধে আরো বেশী বেশী জানতে হবে।তবেই ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
ভয় না পেয়ে ভয়কে জয় করতে হবে।কিন্তু আমিও একা হরর মুভি দেখতে বসি না।ভয়কে জয় করতে পারিনি তাই। ধন্যবাদ আপু।
https://x.com/selina_akh/status/1793268217462624465
আপু খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আজ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।আপনার লেখাগুলো অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। সত্যি বলেছেন আপু। আমরা যদি ভয়কে আঁকড়ে ধরে থাকি তাহলে ভয় আমাদের আরও পেয়ে বসবে।তাই কিসে ভয় পাই কেন ভয় পাই সে বিষয়গুলো আগে উপলব্ধি করতে হবে। আর সকল ভয়কে জয় করার চেষ্টা করতে হবে। আমি টিভিতে আগে কোন ভয়ের জিনিস দেখতে পারতাম না। কিন্তু এখন দেখার চেষ্টা করি।অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
সুন্দর কিছু কথা লিখেছেন আপু ভয় নিয়ে। আসলে কমবেশি আমরা সবাই ভয় পাই একেক জনের ভয়ের কারণ একেক রকম। ঠিক বলেছেন আপু যে ব্যক্তি ভয়ের কারণ খুঁজে বের করতে পারবে সেই ভায়কে জয়ও করতে পারবেন।অসংখ্য ধন্যবাদ ভয় সম্পর্কে অনেক কিছু কথা আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
ঠিক তাই ভয়ের কারন বের করতে পারলেই ভয়কে জয় করা যায়। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।