মহিষ বাথান গ্রামে কিছুসময়|| ১০% shy-fox এর জন্য

মহিষ বাথান গ্রামে কিছুসময়

Polish_20220207_205641466.jpg





Photo_1643638829133~2.png

IMG_20220207_163018-01.jpeg

বিকেল তিনটার সময় বাসা থেকে বের হয়ে প্রথমে একটি ভ্যানে করে সুখানপুকুর বাজারে যাই। আজকে যাব মহিষ বাথান গ্রামে, যেখানে আছে মাতৃ সরোবর, একটি হাসপাতাল এবং একটি দৃষ্টিনন্দন মন্দির ।এগুলো তৈরি করেছেন বগুড়ার বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: বিপুল চন্দ্র রায়। তার অবদান বলে শেষ করা যাবে না।গন্তব্যে স্থলে পৌঁছার আগেই দূর থেকে সৌন্দর্য চোখে লেগে গেল।

IMG_20220207_160944-01.jpeg

IMG_20220207_163029-01.jpeg

যখন গেটের কাছে পৌছালাম তখন তার সৌন্দর্য দেখে মনটা ভরে গেল। আশেপাশের গ্রামের লোকজন এটাকে শীলাদেবীর ঘাট হিসেবে চেনে কিন্তু এখানে আসার পর বুঝতে পারলাম তাদের জানা টা ভুল। এটা হচ্ছে মাতৃ সরোবর। গেটের পাশে একজন নিরাপত্তারক্ষী ছিল তাকে আমি জিজ্ঞেস করলাম ভিতরে ঢুকতে পারবো, তিনি বললেন ঢুকতে পারবেন।

IMG_20220207_155323-01.jpeg

IMG_20220207_155539-01.jpeg

শুরুতে গেটের বাম পাশে চোখে পরলো জাহাজ আকৃতির একটি ভবন।যেটা আসলে এখানকার অফিস। তারপর ডান দিকে হাটতে থাকলাম।সারিসারি নারিকেল গাছ আছে। পাশে অনেক ফুল গাছ ছিল কিন্তু অতিরিক্ত শীতের কারণে সেগুলো অনেকটাই এখন নেই। তারপর হাঁটতে শুরু করলাম দেখলাম বিশাল একটি হাতির মূর্তি। এখানে যে পুকুরটা তৈরি করা হয়েছে তার অনেকগুলো ঘাট করা হয়েছে, যাতে স্নান করতে তেমন কোনো সমস্যা না হয়।মহিলা এবং পুরুষদের আলাদা স্নান করার ব্যবস্থা রয়েছে।

IMG_20220207_155716-01.jpeg

IMG_20220207_155818-01.jpeg

IMG_20220207_155458-01.jpeg

IMG_20220207_155926-01.jpeg

IMG_20220207_155843-01.jpeg

পুকুরের এক-তৃতীয়াংশ জায়গাজুড়ে পদ্ম ফুল গাছ রয়েছে দেখে মন ভরে যায়। পুকুরের পাশে একটি খাল রয়েছে যেখানে বর্ষাকালে অনেক পানি থাকে। পুকুরের ঠিক মাঝখানে ছোট একটি মন্দির আছে। হাঁটতে হাঁটতে অনেক প্রকার পাখির চোখে পরলো।এখানে মাছরাঙ্গা,কাঠঠোকরা,বক বিভিন্ন রকমের পাখি। পুকুরে স্টিলের শাপলা ফুল তৈরি করা হয়েছে। খুব ইচ্ছে করছিল ভেতরে প্রবেশ করে একটু গোসল করে নেই কিন্তু এখানে এখন গোসল করার অনুমতি নেই। পাশেই একটি ক্যান্টিন তৈরি করা হয়েছে। বৈশাখ মাসের ১০ তারিখে এখানে অনুষ্ঠান যখন হয়,তখন বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করা হয়। এখানে পুকুরে দেশ বিদেশের ২৪ টি নদ-নদীর পানি মিশ্রণ করা হয়েছে।পুকুরে মন্দিরের প্রবেশ পথে দুটি সিংহের মূর্তি আছে। অনেক বসার স্থান করে দেওয়া আছে।

IMG_20220207_161234-01.jpeg

IMG_20220207_161247-01.jpeg

IMG_20220207_160608-01.jpeg

IMG_20220207_161058-01.jpeg

এখানে না আসলে বোঝা যাবেনা এখানকার পরিবেশটা কত সুন্দর এবং মনমুগ্ধকর সৌন্দর্য। সবকিছু মিলে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এখানকার স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে বুঝলাম তারা বিপুল চন্দ্র রায়কে কতটুকু সম্মান করে এবং ভালোবাসে। গ্রামের মানুষের বিপদে আপদে সব সময় পাশে থাকেন।

IMG_20220207_163820-01.jpeg

IMG_20220207_164838-01.jpeg

IMG_20220207_164813-01.jpeg

IMG_20220207_164405-01.jpeg

এখান থেকে বের হয়ে তিন মিনিট হেঁটে পৌঁছে গেলাম নির্মাণাধীন মন্দির এবং হাসপাতাল দেখতে। গেট দিয়ে প্রবেশ করে প্রথমে হাসপাতাল চোখে পড়ল এবং তার ঠিক পাসে নির্মাণাধীন মন্দির। হাসপাতাল ভবনটি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। মন্দিরটি প্রথম দেখাতে আমার মনে হচ্ছিল এটি শাপলা ফুল। কাছে যেতেই সৌন্দর্যে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। মন্দিরের চারপাশে ড্রেন তৈরি করে পানি রাখা হয়েছে।মনে হচ্ছে অনেকটা দ্বীপের মতো চারপাশে পানি। গেটের সামনে যেতে মনে হলো এটা কি কোন মন্দির নাকি কোন প্লেনের মধ্যে প্রবেশ করতেছি। গেট দিয়ে প্রবেশ করতেই ভেতরের সৌন্দর্য আমাকে আকৃষ্ট করল। ভিতরে তখন টাইলস বসানোর কাজ করা হচ্ছে।

IMG_20220207_164150-01.jpeg

IMG_20220207_165006-01.jpeg

IMG_20220207_164956-01.jpeg

IMG_20220207_164147-01.jpeg

IMG_20220207_164209-01.jpeg

IMG_20220207_163942-01.jpeg

আমি সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় উঠে গেলাম সেখানের কাজ মোটামুটি শেষের দিকে। এই মন্দিরে প্রবেশ এবং বাহিরের অনেকগুলো দরজায় রয়েছে, সবগুলো দরজা আনকমন। এরকম দরজা আমি আর কোথাও দেখিনি। আমি অনেক সময় নিয়ে পুরোটা মন্দির চত্বর ঘুরে দেখলাম। সম্পূর্ণ পরিবেশ টা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।

💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖

মোবাইল ক্যামেরা:i99
লোকেশন: বগুড়া
https://w3w.co/keyword.selected.tapas




আমার পরিচয়

আমি মো: সেলিম রেজা। বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।

Sort:  
 3 years ago 

ভালোই ছিল জায়গাটি। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম গ্রাম হবে হয়তো কোন। যাইহোক ফটোগ্রাফির গুলো সুন্দর ছিল সেই সাথে ছিল আপনার সুন্দর উপস্থাপনা। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

 3 years ago 

অনেক সুন্দর জায়গা। ফটোগুলো দারুন হয়েছে।

 3 years ago 
ভাইয়া আপনার আজকের ভ্রমণকৃত এই জায়গাটির প্রতিটি জিনিস খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে। খুব সুন্দর একটি জায়গা আজকে আপনার মাধ্যমে দেখতে পেলাম । ধন্যবাদ আপনাকে এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল

মহিষ বাথান গ্রামে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন দেখছি গ্রামটা অনেক সুন্দর মনে হচ্ছে গ্রামের প্রতিটি ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর ছিল সুন্দর করে উপস্থাপন করা আরো ভালো লেগেছে আমার কাছে ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই অসাধারণ মন্তব্যের জন্য

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60462.58
ETH 2636.31
USDT 1.00
SBD 2.58