বেগুন এবং বরবটি দিয়ে কার্ফু মাছ রান্না 🐟
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুগণ আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন দেশ এবং দেশের বাইরের। আমার মাতৃভাষা ব্লগে আজকে একটি রেসিপি শেয়ার করব। মাছে ভাতে বাঙালি এই কথাটার সাথে আমরা সকলেই পরিচিতl আমরা বাঙালিরা মাছ খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। যেহেতু আমাদের দেশে নদী-নালা-খাল-বিল প্রচুর পরিমাণে তাই কমবেশি সব সময়ই মাছ পাওয়া যায় এবং সব জায়গায়। বর্ষাকালে মাছ ধরা এবং খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বেগুন এবং বরবটি দিয়ে কার্ফু মাছ রান্না।
🐋 বেগুন এবং বরবটি দিয়ে কার্ফু মাছ রান্না। 🐬
আমরা বাঙালিরা দেশি মাছ খুব পছন্দ করি কিন্তু দেশি মাছ সব সময় পাওয়া যায় না। কার্প জাতীয় মাছ সারা বছরই পাওয়া যায়। এখন আমি বেগুন এবং বরবটি দিয়ে কার্ফু মাছ রান্নার প্রক্রিয়াগুলো পর্যায়ক্রমে নিচে তুলে ধরবো।
রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ
উপকরণ:
- কার্ফু মাছ
- বেগুন
- বরবটি
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- আদা
- জিরা বাটা
- ধনিয়া গুড়া
- সয়াবিন তেল
- হলুদ গুড়া
- শুকনা মরিচের গুঁড়া
- লবণ
- ধনিয়া পাতা
ধাপ - ১
প্রথমে আমি একটি মাঝারি সাইজের কার্ফু মাছ কেটে পরিষ্কার করে টুকরো করে নিয়েছি। তারপর কয়েকটি বেগুন এবং কয়েকটি বরবটি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিয়েছে।
ধাপ - ২
এখানে পেঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচ কেটে নিয়েছে।তারপর আদা এবং জিরা পাটায় বেটে নিয়েছি। অন্যান্য মসলাগুলো গুড়া দিব। কয়েকটি ধনিয়া পাতা নিয়েছি।
ধাপ - ৩
কড়াইয়ের মধ্যে প্রথমে তেল দিবো।তেল গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে দিবো কিছুক্ষণ পেঁয়াজ এবং কাঁচা মরিচ ভেজে নেওয়ার পর অল্প পরিমাণ পানি দিব। তারপর সব মসলা দিয়ে দিব এবং কষাতে থাকব। মসলা অবশ্যই ভালোভাবে কষাতে হবে।
ধাপ - ৪
মসলা ভালোভাবে কষানোর পর মাছ দিয়ে দেবো কড়াইয়ের মধ্যে। তারপর মাছ খুব ভালোভাবে কষাতে হবে। মাছ কষানো হয়ে গেলে অন্য একটা পাত্রে মাছগুলো উঠিয়ে রাখবো তার পরে অবশিষ্ট কষানো মসলার মধ্যে এবার বেগুন এবং বরবটি দিয়ে দেব। বেগুন এবং বরবটি কষাতে হবে।
ধাপ - ৫
বেগুন এবং বরবটি কষানোর পরে পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিলাম। অনেকক্ষণ জ্বাল দেওয়ার পরে এবার কষানো মাছ দিয়ে দেবো। তারপর আবার কিছুক্ষণ জ্বাল দিতে থাকব।যারা বেশি ঝাল খেতে পছন্দ করেন, তারা বেশি পানি দিতে পারেন আর যারা ঝাল কম খান তারা পানি দিবেন। রান্নার শেষ পর্যায়ে ধনিয়ার পাতা দিয়ে দিলাম।
তৈরি হয়ে গেল আমার বেগুন এবং বরবটি দিয়ে মাছ রান্না। এই ভাবে মাছ রান্নার প্রক্রিয়া টি অনেক সহজ। এই জান্নাতি রেসিপি তৈরি করতে আমার মা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সবাইকে।




















বেগুন আর বরবটি দিয়ে কার্ফু মাছের অনেক সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে নিয়েছেন। রেসিপি টা দেখতে সত্যি অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। আমার কাছে তো এই মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। এক কথায় এটা অনেক সুস্বাদু একটা মাছ। এই মাছ দিয়ে যে কোন সবজি রান্না করলে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। তাইতো আমার এই মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া এতো সুন্দর একটা মাছের রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। 🎏 🎏
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামতের জন্য
বাহ, এই সুস্বাদু.
রেসিপি ভাগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ.
কারফিউ মাছ আমার কাছে দেখতেও ভালো লাগে খেতেও ভালো লাগে। আমি এই মাছটি মাঝেমাঝেই খাই, তবে কখনো বরবটি দিয়ে রান্না করিনি আমি বেশিরভাগ সময়ই বেগুন ও আলু দিয়ে রান্না করি বেগুন ও আলু দিয়ে রান্না করলে আমার কাছে খুবই মজা লাগে। আপনার রান্নাটিও মনে হচ্ছে খুবই মজা হয়েছে দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে রংটা ।আবার আপনি মাটির চুলায় রান্না করেছেন মাটির চুলায় রান্না করলে যে কোন খাবার মজা লাগে খেতে। খুব সুন্দর ভাবে আপনি ধাপগুলো বর্ণনা করেছেন ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন আপু মাটির চুলার রান্না আসলে অনেক সুস্বাদু হয় এই মাছটা আমারও অনেক প্রিয়
বেগুন আর বরবটি দিয়ে মাছ রান্নাটা আমার সবসময় ই খুব মজা লাগে।তবে এই লম্বা বেগুন গুলো আমাদের বাসায় খুব কম ই খাওয়া হয়। আর কার্ফু মাছটাও আমাদের এদিকটায় খুব একটা উঠেনা।তবে খেয়েছি আমি কয়েকবার,ভালোই খেতে। ধাপগুলো সুন্দর ভাবে দিয়েছেন আপনি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু চট্টগ্রামের দিকে এই মাছগুলো খুব কম পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের আমার কাকীর বাসায় গেলে সামুদ্রিক মাছ বেশি খাওয়া হয়।
কার্ফু মাছের নাম টি আমি এই প্রথম জানলাম ।তবে দেখে মনে হচ্ছে মাছটি খুবই সুস্বাদু হবে ।বেগুনও বরবটি দিয়ে আপনি খুব সুন্দর মাছটি রান্না করেছেন ।তবে বরবটি দিয়ে আমি কখনো মাছ রান্না করিনি ।বরবটি সবসময় ভাজি হিসেবে ব্যবহার করে থাকি ।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আহা! মাছ দেখেই তো মুখের মাঝে কেমন কেমন করতেছে। কিছুতেই জিহ্বাকে সামলাইতে পারতেছিনা। তাই তারাতারি কমেন্ট করে বের হলাম। খুবই সুন্দর হয়েছে।