বাঙালি নদীর পাড়ে|| ১০% shy-fox এর জন্য

বাঙালি নদীর পাড়ে

Polish_20220211_204450147.jpg

Photo_1644654952519~2.png
🗻🗻🗻🗻🗻🗻🗻🗻🗻🗻🗻🗻🗻🗻

মাঝে মাঝে মনে একটা প্রশ্ন উঁকি দেয় প্রকৃতি তুমি কেন এত সুন্দর। তুমি এত সুন্দর তাই তো তোমার প্রেমে পড়ে বারবার ছুটে যাই, তোমার সৌন্দর্যের কাছে। যত দেখি তোমাকে ততই ভালো লাগে। আমি ভালোবাসি সমগ্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। প্রাকৃতিক প্রেমের কারণে ঘোরাঘুরি এখন আমার নেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে । ইচ্ছে করে প্রতিদিন নতুন নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াই। কিন্তু ব‍্যস্ততার কারণে অনেক জায়গায় ঘুরতে পারি না।

IMG_20220211_174858-01.jpeg

IMG_20220211_174721-01.jpeg

IMG_20220211_173922-01.jpeg

Photo_1644654952519~2.png

খুব ইচ্ছে ছিল বাঙালি নদীটাকে খুব কাছ থেকে দেখার। বাঙালি নদী ১৮৩ কি: মি দীর্ঘ একটি নদী। এই নদী বগুড়া,গাইবান্ধা এবং সিরাজগঞ্জ জেলা জুড়ে বিস্তৃত । সেই পরিকল্পনা করেই সকাল সারে আটটার সময় সোনাতলা থেকে লোকাল ট্রেন ধরে বেরিয়ে পড়লাম। সাড়ে নয়টার দিকে আমাদের লোকাল ট্রেন গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে পৌছালো।

IMG_20220211_173705-01.jpeg

IMG_20220211_173502-01.jpeg

Photo_1644654952519~2.png

সেখান থেকে চলে গেলাম এক আত্মীয়র বাড়িতে। সারাদিন সেখানে থাকার পর বিকেল চারটার পরে মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম বাঙালি নদীর উদ্দেশ্যে।গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে অল্প কিছুদূরে। হেঁটে যাওয়া যায় এখানে রেল সেতু এবং সড়ক সেতু পাশাপাশি অবস্থিত। দুই সেতুর দূরত্ব ২০০ মিটারের মতন হবে। প্রথম দেখাতে অনেক ভালো লাগলো নদটি। মাঝে মাঝে নৌকা চোখে পড়ছে,কেউ নদীর পাড়ে ধানচাষ করতেছে।প্রথমে সড়ক সেতুর উপরে উঠলাম।। এই সেতুটি অনেক লম্বা উপর থেকে নিচের দিকে তাকালাম, দেখলাম অনেক নিচে পানি একটু ভয়ও লাগে। এই সেতুটির একটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম ব্রিজের কাজ অত্যন্ত নিম্নমানের হয়েছে । মনে হচ্ছে যে কোন মুহূর্তে ভেঙে পড়বে। সেতুর ঠিক পাশেই খেয়াল করলাম অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা বালু উত্তোলন করতেছে। এটা ব্রিজের জন্য অনেক হুমকিস্বরূপ। ব্রিজের উপরে রাস্তার কার্পেটিং গুলো অল্পদিনে উঠে যাচ্ছে। ব্রিজে কয়েকটি ছবি তোলার পর এবার আস্তে আস্তে ব্রিজ থেকে নেমে হাটতে থাকলাম দেখলাম।

IMG_20220211_175238-01.jpeg

IMG_20220211_174454-01.jpeg

Photo_1644654952519~2.png

কৃষকরা ধান লাগাচ্ছে। নদীর পাড় ঘেঁষে হাঁটতে হাঁটতে চোখে পড়ল নৌকা। নৌকার কয়েকটি ছবি তুলে রাখলাম।এবার হাটতে হাটতে গেলাম রেল ব্রিজের কাছে।অনেক ভাল লাগল আস্তে আস্তে ব্রিজের উপরে উঠে গেলাম। ব্রিজের মাঝখানে দাড়িয়ে চার পাশের দৃশ্যগুলো দেখতে লাগলাম। কি অপূর্ব দৃশ্য ।এত সুন্দর নদীটা আমরা কেন ধ্বংস করে দিচ্ছি।নদীপাড়ের মানুষগুলোকে কেন এভাবে ভিটেমাটি ছাড়া করছি। বালু উত্তোলন করার কারণেই এই নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। দুটি সেতুর জন্য হুমকি।

IMG_20220211_175644-01.jpeg

IMG_20220211_175358-01.jpeg

Photo_1644654952519~2.png

রেল সেতু থেকে নেমে এসে একটু দক্ষিণ দিকে যেয়ে নদীর কাছাকাছি নেমে গেলাম । একজন জেলে মাছ ধরতেছে তার কাছে জিজ্ঞেস করলাম কি মাছ ধরছেন কয়েকটি মাছের নাম বললো। একটি মাছ আমাকে দেখালো, আমি সেই মাছের ছবি তুলে রাখলাম।তার আশেপাশে কয়েকটি নৌকা ছিল। হঠাৎ লক্ষ্য করলাম অনেক বিশালাকৃতির একটি বাইচের নৌকা খুব ইচ্ছে ছিল নৌকায় উঠার কিন্তু উঠতে পারিনি। কয়কটি হাঁস পানিতে সাঁতার কাটতেছে সেটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। নদীর একটা বিষয় আমার খুব ভালো লেগেছে। এখন শীতকাল শুষ্ক মৌসুম তারপরও নদীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি রয়েছে এবং মাছও মোটামুটি ভালই পাওয়া যায়।

IMG_20220211_175651-01.jpeg

Photo_1644654952519~2.png

বিকেল হলেই অনেক দর্শনার্থী এই জায়গায় এসে সময় কাটায়।বিশেষ করে রেলওয় ব্রিজের উপরে ওঠে তারা আশেপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করে। আমাদের যেতে একটু দেরি হয়ে গেছে আমরা যখন গিয়েছি তখন সূর্য প্রায় অস্ত যাচ্ছে ইচ্ছে ছিল আরো অনেক সময় এখানে কাটানোর কিন্তু সে সুযোগ আর হয়ে উঠলো না। শেষদিকে ভাবলাম ব্রিজের উপর দিয়ে যখন ট্রেন যাবে,একটা ছবি অন্তত তুলে রাখি। ঠিক যখন সন্ধ্যা ছয়টা তখন পদ্মরাগ ট্রেনটি মহিমাগঞ্জ স্টেশনে প্রবেশ করবে।

IMG_20220211_181228.jpg

Photo_1644654952519~2.png

এই ব্রিজ পার হয়ে স্টেশনে প্রবেশ করতে হয়। ট্রেন ব্রীজের উপরে উঠলে ছবি তুলে রাখলাম। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার কারণে ছবিটি অতটা পরিষ্কার আসলো না।তারপরও স্মৃতির পাতায় বন্দি করে রাখলাম হয়তো জানিনা এখানে কখনো আসা হবে কিনা তবে সবকিছু মিলে আমার অনেক ভালো লেগেছে।

IMG_20220211_181231.jpg

Photo_1644654952519~2.png

নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে। বর্ষাকালে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আরো অনেক বেশী চোখে পড়বে। তখন পানি থাকবে বেশি, নৌকার সংখ্যাও অনেক দেখা যাবে। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের কারণে এই নদীর সৌন্দর্য হারাতে বসেছে। হয়তো একসময় ধ্বংসের মুখে চলে যাবে নদী।নদীপাড়ের মানুষজন অনেক অসহায় হয়ে পড়বে।

Photo_1644654952519~2.png

💕💕💕💕💕💕💕💕💕💕💕💕💕

মোবাইল ক্যামেরা:i99
লোকেশন: গাইবান্ধা
https://w3w.co/persuader.argument.mistreat




আমার পরিচয়

আমি মো: সেলিম রেজা। বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করি। ফটোগ্রাফি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। আমি লেখালেখি, বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি।

Sort:  
 2 years ago 

ভীষণ ভালো ছিল ছবি গুলো। বাঙালি নদীর নাম প্রথম শুনলাম 😍 নদী এবং নদীকে ঘিরে কর্মকাণ্ড সবকিছু সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছো। ভালো লাগলো ♥️ এগিয়ে যাও দোয়া রইল 🥀

তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বন্ধু তোমার জন্য অনেক শুভকামনা রইল

 2 years ago 

বাঙালি নদীর পাড়ের অসাধারণ চিত্র দেখে মনে হচ্ছে আজ বিকেলে গিয়ে ঘুরে আসি। কারণ এটি আমার পার্শ্ববর্তী জেলার কিন্তু এখনও দেখা হয়ে ওঠেনি। আপনার ফটোগ্রাফি আমার মন ছুঁয়ে গেছে এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য সময় পেলে একবার ঘুরে আসবেন

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া, প্রকৃতির এই সৌন্দর্যের কারণেই আমরা প্রকৃতির প্রেমে পড়ি। আপনি অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। তার সাথে নদীর পাড়ের অনেক কিছু বর্ণনা করেছেন। নৌকার ফটোগ্রাফি গুলো বেশি ভালো লেগেছে। প্রকৃতির এরকম সৌন্দর্য আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ। খুবই ভালো লেগেছে আপনার এই মুহূর্তটা।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু অসাধারণ মন্তব্যের জন্য

 2 years ago 

মাঝে মাঝে মনে একটা প্রশ্ন উঁকি দেয় প্রকৃতি তুমি কেন এত সুন্দর

তুমি সুন্দর তাই বলেই তো তোমার কাছে বার বার আসি,তোমায় যতো দেখি ততোই মন ফ্রেশ হয়ে যায়। তুমি চীর সুন্দর তোমার সৌন্দর্য কখনো শেষ হওয়ার নায়।যখন মন খারাপ হয় তখনী নদীর কাছে ছুটে যাই।বেশ ভালো কিছু ফটোগ্রাফি ও করছেন খুবই ভালো লাগলো।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য

আপনার মন্তব্যটি আমার অনেক ভালো লেগেছে ভাই। যখন মন খারাপ থাকে ইচ্ছে করে নদীর কাছে ছুটে যাই। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য

ওয়াও ফটোগ্রাফি। প্রতিটি ফটোগ্রাফ অনেক সুন্দর হয়েছে। প্রকৃতির প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক সুন্দর লাগে আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে ভালো লেগেছে তবে বেশি ভালো লেগেছে নৌকার ফটোগ্রাফি গুলা অসাধারণ আলোচনা ছিল শুভকামনা রইল আপনার জন্য

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য

 2 years ago 

নদীর নাম আবার বাঙালি হই আজকে প্রথম শুনলাম। ভাইয়া আপনার কাঠানো মূহুর্ত টা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর একটি সময় কাঠিয়েন বাঙলি নদীর পাড়ে। জায়গা টা বেশ সুন্দর। অনেক সুন্দর একটি পরিবেশ। সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। আপনাক অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 
ভাইয়া বাঙালি নদীর দৃশ্য আমারো খুবই ভালো লাগে। আবার শ্বশুরবাড়ি উত্তরাঞ্চলে। তার নানা বাড়ি মধুপুরে হওয়ায় সেখান থেকে বাঙালির নদীর ঢেউ গুলো খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর জায়গার ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই। শুনে খুব ভালো লাগলো যে ভাই আপনি বাঙালি নদী দেখেছেন।শুভকামনা ভাই আপনার জন্য

 2 years ago 

নদীর পারের অনেক সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম নদীর নামটি প্রথম শুনলাম। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন আপনার প্রশংসা করতে হয় এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার জন্য শুভকামনা রইল

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.12
JST 0.025
BTC 55258.26
ETH 2459.89
USDT 1.00
SBD 2.19