মসুর ডাল এবং পোলাও চাউল দিয়ে||🥘 ভুনা খিচুড়ি🍱||
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুগণ আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন দেশ এবং দেশের বাইরের। আমার মাতৃভাষা ব্লগে আজকে একটি রেসিপি শেয়ার করব। বাঙালির জনপ্রিয় একটি খাবার হচ্ছে খিচুড়ি। খিচুড়ি বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে রান্না করা হয়ে থাকে। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মসুর ডাল এবং পোলাও চাউল দিয়ে ভুনা খিচুড়ি।
ভুনা খিচুড়ি
বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। তাছাড়া ভুনাখিচুরি আমরা সকলেই কম বেশি পছন্দ করি। ভুনা খিচুড়ি সবজি, ডালএবং মাংস দিয়ে রান্না করা যায়। আজকে আমি আপনাদের দেখাবো মসুর ডাল এবং পোলাও চাউল দিয়ে ভুনা খিচুড়ি কিভাবে রান্না করতে হয়। এই ভুনা খিচুড়ি রান্না করার প্রক্রিয়া গুলো আমি নিচে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরব।
🥣রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ🌰
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পোলাও চাল | ২ কাপ |
মসুর ডাল | ১ কাপ |
আদা বাটা | হাফ চা চামচ |
রসুন | হাফ চা চামচ |
পেঁয়াজ | পেঁয়াজ বাটা এবং পেঁয়াজ কুচি পরিমাণমতো |
দারুচিনি | দুই থেকে তিন টুকরো |
সাদা এলাচ | ৪টি |
সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
লবণ | পরিমাণমতো |
শুকনা মরিচের গুঁড়া | পরিমাণমতো |
হলুদ গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
জিরা গুড়া | পরিমাণমতো |
ধনিয়া গুড়া | পরিমাণমতো |
কাঁচা মরিচ | ৪টি |
তেজপাতা | ২/৩ পিচ |
পানি | ৬কাপ |
ধাপ:০১
এখানে প্রথমে আমি আদাবাটা, পেঁয়াজ বাটা, রসুন বাটা, জিরা বাটা, পেঁয়াজ কুচি এবং চারটা কাঁচামরিচ নিয়েছি, ধনিয়া গুড়া দিব । তারপর কয়েকটি তেজপাতা, কয়েক টুকরো দারুচিনি এবং চারটি সাদা এলাচ নিয়েছি।
ধাপ:০২
এখানে আমি দুই কাপ চা চাউল, একা মসুর ডাল নিয়েছি। তারপর খুব ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি। ধুয়ে নেওয়ার পর প্লাস্টিকের একটি বাটিতে রেখে দিয়েছি, অবশ্যই প্লাস্টিকের বাটিটি নেটযুক্ত হতে হবে। যাতে পানি গুলো আস্তে আস্তে ঝড়ে পড়ে যায়। আমি যেহেতু খিচুড়িতে গরম পানি দিব।তাই পানি গরম করে নিয়েছি। যে কয় কাপ চাউল নিব তার ডাবল কাপ পানি দিয়ে নিতে হবে। আমি যেহেতু সব মিলিয়ে তিনকাপ চাউল এবং ডাল নিয়েছি তাই ৬ কাপ পানি দিয়েছি। আপনারা যদি পাঁচ কাপ চাউল নেন তাহলে ১০ কাপ পানি দিতে হবে।
ধাপ:০৩
এ পর্যায়ে আমি কড়াইয়ে প্রথমে তেল দিয়ে নিয়েছি। আমি রান্নার জন্য ননস্টিক কড়াই ব্যবহার করেছি। তেল গরম হওয়ার পর প্রথমে তেজপাতা, দারুচিনি এবং সাদা এলাচ দিয়েছি। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নেওয়ার পর পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিছি। পেঁয়াজ গুলো মোটামুটি ভেজে নেওয়ার পর, এবার আদা বাটা এবং পেঁয়াজ বাটা দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে তাহলে আর কাঁচা গন্ধ থাকবে না।
ধাপ:০৪
পেঁয়াজ গুলো ভালো হবে ভাজা হয়ে গেলে অন্যান্য সব মসলা দিয়ে দিব। অন্যান্য সব মসলা দিয়ে অল্প পরিমাণ পানি দিয়ে ভালোভাবে কষাতে হবে। রান্নার স্বাদ নির্ভর করে এই মসলা কষানো উপরে। মসলার পানি যখন শুকিয়ে আসবে এবং তেল যখন ভেসে উঠবে তখন বুঝবেন মসলা কষানো হয়ে গেছে চুলার হিট অবশ্যই কমিয়ে রাখবেন।
ধাপ:০৫
এখানে মসলাগুলো খুব ভালোভাবে কষানো পরে চাউল এবং ডাল দিয়ে দিলাম।তারপর ভালোভাবে ভেজে নিলাম।ভেজে নেওয়ার পর গরম করে রাখা পানি দিয়ে দিলাম । পানি দেওয়ার পর দেখব লবণ ঠিক আছে কিনা। তার পর ঢাকনা দিয়ে ঢেকে চুলার হিট বাড়িয়ে দেব এবং রান্না করতে থাকবো।
ধাপ:০৬
যখন খিচুড়ির পানি প্রায় শুকিয়ে আসবে তখন চুলার হিট কমিয়ে দিতে হবে। কয়েকটি কাঁচামরিচ দিয়ে দিতে হবে এখন। খিচুড়ি একটু নেড়েচেড়ে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে এবং হাত দিয়ে দেখতে হবে চাল সিদ্ধ হয়েছে কিনা।যদি সিদ্ধ না হয়ে থাকে তাহলে ১০থেকে ১২ মিনিট দমে রাখলে চাল সিদ্ধ হয়ে যাবে এবং খিচুড়ি রান্না হয়ে যাবে।
তৈরি হয়ে গেল আমার মসুর ডাল এবং পোলাও চাল দিয়ে ভুনা খিচুড়ি। রান্না করাটা তুলনামূলক সহজ। ইচ্ছা করলে বাসায় চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এই রান্নাটা আমি নিজ হাতে বাসায় তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
বাঙালিদের পছন্দের খাবারের মধ্যে খিচুড়ি অন্যতম।এমন বাঙালী খুঁজে পাওয়া যাবে না যে তার খিচুড়ি পছন্দ করে না।মসুর ডাল দিয়ে খিচুড়ি রেসিপি সুন্দর হয়েছে।দেখেতো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
অসাধারণ ভাবে আপনি মুসুরির ডাল দিয়ে খিচুড়ি ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনার ভুনাখেচুরি টি অসাধারণ হয়েছে। নিশ্চয় খেতে অনেক মজা এবং সুস্বাদু হবে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তা রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্যে এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল
এসব খাবার কেনো যে দেখান,, এই সব খাবার দেখলেই আমার পেটের ভেতরের সব কিছু খাওয়ার জন্য গুতা দেয়🤭🤭 । খিচুড়ি আমার একটা প্রিয় খাবার। সেটা যদি আবার ভুনা হয় তাহলে কথাই নেই।
অনেক সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। সাথে সাথে আমার খুদাটাকেও বাড়িয়ে দিলেন।।
শুভ কামনা রইল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার দাওয়াত রইল আমার বাসায় আসলে কোন একদিন খিচুড়ি রান্না করে খাওয়াবো
ওয়াও ভাইয়া,আপনার ভুনা খিচুড়ি দেখে আমার প্রচন্ড রকমের খেতে ইচ্ছে করছে। অনেকদিন ধরে ভুনা খিচুড়ি খাওয়া হয় না। ভাইয়া, ভুনা খিচুড়ি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। আচারের সাথে ভুনা খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে। ভুনা খিচুড়ি তৈরির প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা সহকারে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে।ধন্যবাদ ভাইয়া,এতো সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু আচার দিয়ে খিচুড়ি খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে আপনার জন্য শুভকামনা রইল
একা একাই খেয়ে নিলেন এতো মজার খাবারটি। ভাইয়া এই ভুনা খিচুড়ি টি আমার অনেক বেশি পছন্দ। আপনার রেসিপি দেখে ইচ্ছা করছে এখনি খেয়ে ফেলি। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন আমাদের সাথে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু না আপনার জন্য ফ্রিজে বাটিতে রেখে দিয়েছি। শুভকামনা আপনার জন্য
আপনার ভুনা খিচুড়িটা দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে। ভুনা খিচুড়ি কালার টা খুবই সুন্দর হয়েছে। দেখে তো আমার খেতে ইচ্ছে করছে। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার পোষ্টগুলো বেশিরভাগ কোয়ালিটি সম্পন্ন হয় শুভকামনা আপনার জন্য
মসুর ডাল দিয়ে ভুনা খিচুড়ি অনেক লোভনীয় হয়েছে ।দেখতে অনেক ভালো লাগছে ।আপনি নতুন হওয়ার কারণেও আপনি খুব ভালোভাবে বিষয়টি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে এবং আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও কী মজার ও লোভনীয় ভোনা খিচুড়ি রেসিপি।মন চাইছে একটু টেস্ট করি কিন্তু পারছি না । খিচুড়ি আর ডিম ভাজি হলে পেট পুরে খেতে পারি। চিন্তা করতেই জিহ্বায় জল চলে আসে। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য
ওয়াও😋😋😋
মসুর ডাল দিয়ে খিচুড়ি অনেক অনেক লোভণীয় লাগছে ভাইয়া।
অনেক সুন্দর করে প্রতিটি ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু