🥟ভাজা পুলি পিঠা 🥞রেসিপি 🥞
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুগণ আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন দেশ এবং দেশের বাইরের। আমার মাতৃভাষা ব্লগে আজকে একটি রেসিপি শেয়ার করব।আজকে আমি আপনাদের সাথে ভাজা পুলি পিঠা শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ভাজা পুলি পিঠা
আমাদের বাঙ্গালীদের কাছেপিঠে অত্যন্ত একটি জনপ্রিয় খাবার।🥟 বিশেষ করে শীতকালের পিঠা খাওয়ার হিড়িক পড়ে যায় কয়েক গুণ। আজকে আমি আপনাদের সাথে যে পিঠা রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি,এটি হচ্ছে ভাজা পুলি পিঠা। পুলি পিঠা আরো এক ধরনের হয় সেটা হলো দুধ পুলি পিঠা। এই পিঠা মাটির চুলায় তৈরি করা হয়েছে। এই পিঠা তৈরীর প্রক্রিয়া আমি নিচে পর্যায়ক্রমে তুলে ধরবো।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- চাউলের গুড়া
- নারিকেল
- গুড়
- চিনি
- লবণ
- তিল
- সয়াবিন তেল
- পানি
ধাপ:প্রথম
প্রথমে একটি পাকা নারিকেল ভেঙ্গে পানি বের করে নিয়েছি। তারপর একটা কোরানি দিয়ে ভালোভাবে নারকেল কুড়িয়ে নিয়েছি। নারকেল যত বেশি পাকা হবে পিঠা খেতে ততবেশি সুস্বাদু হবে।
ধাপ:দ্বিতীয়
তিল পাটায় বেটে নিতে হবে। তারপর নারিকেল, গুড় এবং চিনি কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিতে হবে, কোন পানি দেওয়ার দরকার নেই কারণ কিছুক্ষণ জ্বাল দেওয়ার পর নারিকেল এবং গুড় থেকে পানি বের হবে। কিছুক্ষণ ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে দিতে হবে।যখন মিশ্রণটি একটু ঘন হয়ে আসবে তখন নামিয়ে ফেলতে হবে। মিষ্টির পরিমাণ কমবেশি হতে পারে যাদের মিষ্টি বেশি খাওয়ার অভ্যাস তারা বেশি দিতে পারেন আর যাদের কম খাওয়ার অভ্যাস তারা কম দিতে পারেন।
ধাপ:তৃতীয়
এ পর্যায়ে একটি পাতিলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে নিতে হবে এবং অবশ্যই লবণ দিতে হবে। তারপর পানি ভালভাবে গরম করে নিতে হবে। এবার ফুটন্ত পানির মধ্যে চাউলের গুড়ো দিয়ে দিতে হবে। চুলায় থাকা অবস্থায় ভালোভাবে নেড়ে দিতে হবে তারপর আটার মিশ্রণটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পাতিল নামিয়ে ফেলতে হবে। ঠান্ডা পানি দিয়ে কোন প্রকার আটার মিশ্রণ তৈরি করবেন না। তাহলে পিঠা অনেক শক্ত হয়ে যাবে। খেতে ভালো লাগবে না।
ধাপ: চতুর্থ
এবার আটার মিশ্রণটি পাতিল থেকে একটি পাত্রে নামিয়ে নিতে হবে তারপর হাত দিয়ে খুব ভালোভাবে ডলে নিতে হবে। তারপর প্রথমে রুটি বানিয়ে নিতে হবে। রুটি তৈরি করে নেওয়ার পরে একটা স্টিলের গ্লাস দিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে।
ধাপ: পঞ্চম
গ্লাস দিয়ে কেটে রাখা রুটি টুকরোগুলোর মধ্যে নারিকেল এবং গুড়ের মিশ্রণটি অল্প অল্প পরিমান দিতে হবে।তারপর রুটির টুকরো টি ভাজ করে নিতে হবে এবং দুই আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিয়ে দিয়ে জোড়া লাগিয়ে দিতে হবে। এভাবেই সবগুলো টুকুরোর ভেতরে মিশ্রণ দিয়ে পিঠা তৈরি করতে হবে।
ধাপ: ষষ্ঠ
এবার কড়াইয়ের মধ্যে প্রথমে তেল দিয়ে নিতে হবে।তেল গরম হওয়ার পর পিঠা দিয়ে দিতে হবে। তারপর উল্টিয়ে উল্টিয়ে ভেজে নিতে হবে পিঠাগুলো। চুলার জ্বাল টা একটু কমিয়ে রাখতে হবে। আস্তে আস্তে জাল দিলে পিঠা খুব ভালো হবে ভাজা হয়ে যাবে। ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে ফেলবো।এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে ভাজা পুলি পিঠা।
তৈরি হয়ে গেল আমার ভাজা পুলি পিঠা রেসিপি। এটি তৈরি করতে আমার মা আমাকে সহযোগিতা করেছে। এখন যেহেতু শীত চলে এসেছে তাই কিছুদিন পরপরই পিঠা তৈরি করা হবে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সবাইকে
ধন্যবাদান্তে @emranhasan আমাকে এত সুন্দর একটা স্বচ্ছ কমিউনিটিতে নিয়ে আসার জন্য। আমি অনেক গর্বিত যে এরকম একটা কমিউনিটিতে সুযোগ পেয়েছি। ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার বন্ধু ইমরান হাসান এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি কে।
পিঠা দেখলেই তো জিভে পানি চলে আসে, আপনার পিঠাগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। তিল যোগ করেছেন এই পিঠায়, তিল দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি,মনে হচ্ছে অনেক মজাই হবে।কিন্তু আমি এখানে একটি জিনিস বুঝি নাই, এখানে কি পিঠাটি ডুবোতেলে ভাজতে হবে? না হালকা তেলে ভাজতে হবে? বোঝা যাচ্ছে না আপনি কতটুকু তেল দিয়েছেন।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনি ডুবোতেলে ভাজতে পারেন। হালকা তেলেও ভাজতে পারেন। আমাদের বাসার সবাই হালকা তেলে ভাজা টা বেশি পছন্দ করে। তবে ডুবোতেলে ভাজলে পিঠা অনেক মুচমুচে হয়।
আপনার পুলি পিঠা দেখে আমি সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেছি। এই পুলি পিঠে আমার খুবই পছন্দ। খেতে খুব ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে এটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
এই শীতের পিঠা কার না ভালো লাগে। প্রতিটি বাড়িতে এখন পিঠা পুলি উৎসব চলবে। আপনার পুলি পিঠা টি অসাধারণ হয়েছে। দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। খেতেও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য
সত্যিই এটি অনেক মজার ভাজা পুলি পিঠা। এটি সাধারণত খেয়ে থাকে শীতকাল আসলে এবং অনেক সুন্দরভাবে আপনি প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। দেখার মত ছিল এবং রান্না ধরন খুবই ভালো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ শীতকাল আসলে সবার আগে পিঠার কথাই মনে হয়
ভাইয়া, ভাজা পুলি পিঠা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তবে আমার পিঠার স্বাদ সম্বন্ধে আইডিয়া খুবই কম।কারণ আমি পিঠা তেমন খায়না তৈরি করে। তাই বলতে পারি না তবে আপনার পিঠা গুলো খুবই লোভনীয় লাগছে।পিঠা তৈরি প্রতিটি ধাপ বর্ণনাসহ আপনি সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া, এতো সুস্বাদু পিঠা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু। বাসায় একবার তৈরি করে দেখেন অনেক ভালো লাগবে। শীতকালে প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই কমবেশি পিঠা তৈরি করা হয়। শীতের পিঠাপুলি বলে কথা
শীতের সিজনে পিঠা বানানো বাঙালির অনেক পুরনো একটি ঐতিহ্য। অনেক মজাদার হয়েছে মনে হচ্ছে দেখে। আপনি খুবই সুন্দরভাবে পুরো ব্যাপারটা উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা রইল।
আপনি ঠিকই বলেছেন শীতকালের পিঠা তৈরি আমাদের বাঙ্গালীদের অনেক পুরনো একটা ঐতিহ্য। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মতামতের জন্য
শীতের পুলি পিঠা খেতে ভালোই লাগে 😋
শীতকাল এলেই পিঠা পুলি খেতে মনটা কেমন আনচান করে। মাঝে মাঝে আমাদের দাওয়াত দিতে পারো বন্ধু। তোমার রেসিপি খুব ভালো ছিল আমিও চেষ্টা করবো বানানোর জন্য 💌
অনেক অনেক শুভকামনা রইল তোমার জন্য 🥀 খুব ভালো কাজ করো এই দোয়া রইল।
পুলি পিঠা আমার খুবই ভালো লাগে। নারকেল দিয়ে তেলে ভাজা এই পিঠা আমার কাছে মনে হয় সবাই পছন্দ করে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পুলি পিঠা তৈরির রেসিপি টা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা বাঙালিরা পিঠা পছন্দ করিনা এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া সত্যিই মুশকিল।
সেলিম রেজা ভাই ভাজা পুলি পিঠা রেসিপি টা অসাধারন হয়েছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই
ভাজা পুলি পিঠা খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো খেতে ইচ্ছা করছে ভাইয়া, এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকুন