২০১ গম্বুজ মসজিদের 🌷সৌন্দর্য উপভোগ করা||১০% @shy-fox এর জন্য
আসসালামুয়ালাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা আশা করি সকলেই অনেক ভাল আছেন আমিও অনেক ভালো আছি। এখন ডিসেম্বর মাসে শীতকাল আবহাওয়া টা অনেক চমৎকার। আমার এক বন্ধু এসেছিল আমাদের বাড়িতে।আমি আমার বন্ধুকে নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ দেখতে যাব।
আমাদের বাড়ি থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে এই মসজিদটির অবস্থান। আমি এর আগেও কয়েকবার গিয়েছি সেখানে এখনো কিছু কিছু নির্মাণাধীন রয়েছে। এ মসজিদ দেখার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক দর্শনার্থী আসে প্রতিদিন বিশেষ করে শুক্রবার দিন প্রচুর লোকজন এখানে আসে। মসজিদটির সর্বমোট গম্বুজের সংখ্যা ২০১ টি।
মাঝখানে বিশাল আকৃতির একটি বড় গম্বুজ রয়েছে। মসজিদের সৌন্দর্য নিজ চোখে না দেখলে কখনো বোজা যাবেনা এটা আসলে কত সুন্দর। এই মসজিদ তৈরি করতে যে টাইলস গুলো ব্যবহার করা হয়েছে এর বেশির ভাগ গুলো দেশের বাহির থেকে আনা হয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আজকে আমি আপনাদের সাথে মসজিদের ঘুরতে যাওয়ার বিষয়গুলো শেয়ার করব।
সকাল ৯:৩০ মিনিটে মোটর সাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হলাম। কিছুদুর যাওয়ার পর একটা পেট্রলপাম্প থেকে পেট্রোল নিলাম, তারপর আবার চলা শুরু করলাম।
সকালবেলা তখন প্রচন্ড শীত আর এই সময়ে মোটরসাইকেল চালালে এমনিতেই অনেক বেশি ঠান্ডা লাগে। তারপর স্বাভাবিক গতিতেই মোটরসাইকেল চালিয়ে আমাদের গন্তব্য স্থান ২০১ গম্বুজ মসজিদে পৌছালাম।
২০১ এই মসজিদটি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলায় অবস্থিত। মসজিদে পৌঁছানোর পর প্রথমে আমরা নাস্তা করে নিলাম যেহেতু মোটরসাইকেলে এমনিতেই অনেক ঠান্ডা লেগেছে তাই চা খেয়ে নিলাম এবং কিছুক্ষণ রোদে দাঁড়িয়ে থাকলাম।
মসজিদ সংলগ্ন সামনে যে ফাঁকা জায়গা আছে সেখানে মোটরসাইকেল রাখা নিষেধ, তাই আমরা মসজিদের সামনে যেখানে পার্কিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে মোটরসাইকেল পার্কিং করে রাখলাম।
মোটরসাইকেল রাখার জন্য ২০ টাকা দিতে হলো। তারপর আমরা মসজিদের কাছে গেলাম জুতা বাহিরে রেখে সিঁড়ি দিয়ে আস্তে আস্তে দোতলায় উঠে গেলাম।
ভিতরে প্রবেশ করে সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে লাগলাম টাইলস গুলো এত সুন্দর দেখতে সত্যি অসাধারণ।
প্রতিটা গম্বুজের উপরে এবং ভেতরে দুই দিকেই কাজ করা মনে হচ্ছে স্বর্ণ দিয়ে কাজ করা হয়েছে। তারপরে ভিতর কিছুক্ষণ ঘুরে ঘুরে কয়েকটা ছবি তুললাম।
যেখানে ইমাম নামাজ পড়ায় সেই জায়গার কয়েকটা ছবি তুললাম। তারপর মিনারের ভিতরে সিঁড়ি দিয়ে মসজিদের ছাদে উঠে গেলাম।
ছাদে উঠে গম্বুজগুলো দেখতে লাগলাম মাঝখানে বড় একটি গম্বুজ আছে, তার চারপাশে ছোট ছোট গম্বুজ।
মসজিদের পাশে ছোট একটি নদী আছে বর্ষাকালে এখানে অনেক পানি থাকে। এই নদীটির নাম ঝিনাই নদী। মসজিদের সামনে বিশাল আকৃতির একটি মার্কেট গড়ে উঠেছে বর্তমানে একটি নির্মাণাধীন রয়েছে। প্রায় এক ঘন্টার মতন মসজিদের চারদিকে ঘুরে ঘুরে দেখলাম।
মসজিদকেন্দ্রিক অনেক দোকানপাট ও গড়ে উঠেছে। মসজিদ দেখে আসার সময় হঠাৎ করে রাস্তায় চোখে পড়ল অনেক পুরাতন একটি মসজিদ সেটি একটি ছবি তুলে রাখলাম এই মসজিদটি সম্ভবত পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
২০১ গম্বুজ মসজিদ থেকে এই পুরাতন মসজিদের দূরত্ব মাত্র ১০০ মিটার। তারপর এই মসজিদটির কয়েকটি ছবি তুলে রাখলাম। আমরা আশেপাশে আর কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
আমি বাংলাদেশের যতগুলো মসজিদ দেখেছি আমার কাছে এই মসজিদের সৌন্দর্য সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে।বর্তমানে এখানে দর্শনার্থীর ভিড় এতটা বেশি বিশেষ করে শুক্রবারে চাপ সামলানো এখানে অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে। আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে যদি কখনো এখানে আপনারা আসেন। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
লোকেশন: গোপালপুর,টাঙ্গাইল
https://w3w.co/knock.seabirds.framers
ভীষণ চমৎকার এই গম্বুজ মসজিদ টি দেখতে অসাধারণ লাগছে মসজিদের কালার অনেক জাঁকজমকপূর্ণ আমার ভীষণ ভালো লেগেছে মসজিদটি মসজিদটির ফটো দেখে সত্যিকারে দেখতে ইচ্ছে করছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি মসজিদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর একটা দিন অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া। এই জায়গাটা সম্পর্কে আমি অনেক ভিডিও দেখেছি ইউটিউবে। ভিডিও দেখার পরে আমার এই জায়গাটি ভ্রমণের ইচ্ছা রয়েছে অনেক বেশি। আশাকরি সময় এবং সুযোগ সঠিকভাবে করতে পারলে অবশ্যই এই জায়গাটাই আমি ভ্রমণ করতে যাব।
ধন্যবাদ আপনাকে