SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 30]
This post is made for recovering lost SBD : 1470
Recovered so far : 950.834 SBD
গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ২৯
Copyright Free Image Source : PixaBay
সেই ভয়ঙ্কর মহাশ্মশানে প্রতি পদক্ষেপে কমলাদেবীর শরীর শিউরে শিউরে উঠতে লাগলো । তা সত্ত্বেও অসীম সাহসে বুক বেঁধে চন্ডের পিছু পিছু অবশেষে তিনি কালীমন্দিরের চাতালে এসে পৌঁছলেন । মন্দিরের চাতালের দু'পাশে দু'টি বড় মশাল জ্বালানো হয়েছে । তারই মৃদু আলোয় কমলাদেবী দেখলেন মন্দিরের ভেতরে পুজোয় বসেছে অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী শ্মশানের সেই কাপালিক । তার মাথার চুল জট পাকিয়ে চূড়ো করে বাঁধা, কপালে সাদা ছাই লেপা, খালি গা, খালি পা, সারা গায়ে শ্মশানের চিতা ভস্ম মাখা । পরনে বাঘছাল ।
কাপালিক একাই শ্মশান-কালীর পুজো করছে । দুর্বোধ্য সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ গম গম করছে পুরো মন্দির । তাঁদের পদশব্দে কাপালিক ঘাড় ঘুরিয়ে তাঁদের দিকপানে একবার তাকালো । মন্দিরের বড় ঘীয়ের প্রদীপের আলো পড়েছে কাপালিকের মুখের এক পাশে । সারা মুখে বড় বড় দাড়িগোঁফ । মন্দিরের চাতালের মশালের আলো এসে কাপালিকের দু'চোখে পড়াতে এই আঁধারে মনে হচ্ছে চোখ দু'টি যেনো ক্ষুধিত বাঘের চোখের মতো জ্বলছে । এত দূর থেকে কমলাদেবী টের পেলেন না যে কাপালিকের ওষ্ঠের দুই প্রান্তে ফুটে উঠেছে পৈশাচিক নিষ্ঠুর একটা হাসি ।
একটুক্ষণ তাঁদের দিকে তাকিয়ে থেকে কাপালিক আবার পুজোয় মন দিলো । আর চন্ড মন্দিরের চাতালের একটা পরিষ্কার জায়গায় কমলাদেবীকে বসবার জায়গা করে দিলো । সুদীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে আসাতে কমলাদেবী ভয়ানক পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন, তাই আর তিলমাত্র দেরি না করে ধপ করে বসে পড়লেন । আহ ! এতক্ষণ পরে একটু শান্তি লাগছে । ন'মাসের গর্ভবতী না হলে তাঁর এতটা কষ্ট লাগতো না আজ । এখন একটু বিশ্রাম নিতে পেরে যা শান্তি লাগছে মনে তা বলার নয় । তবে তেষ্টায় এখনো বুক ধড়ফড় করছে । একটু জল পাওয়া গেলে জীবনটা বাঁচতো তাঁর এমনই মনে হচ্ছে ।
জলের কথাটা চন্ডকে বলতেই সে একটুখানি মুখ কাঁচুমাচু করে বললো, "আসলে রানীমা আমরা তো সাধারণ মানুষদের মতো নই ঠিক । আমাদের জল খাওয়ার অভ্যাস নেই । আমরা তেষ্টা পেলে কারণবারি পান করি । কারণবারি, ভাং, হাঁড়িয়া, তাড়ি এসব ভিন্ন আমরা তেষ্টা নিবারণে আর কিছুই পান করি না । বাবা অবশ্য তেষ্টায় রক্ত পান অব্দি করেন । তা তিনি সাক্ষাৎ কাঁচাখেগো দেবতা, তেনার কথা ভিন্ন ।"
কাপালিক জলের তেষ্টা রক্ত দিয়ে মেটায় শুনে কমলাদেবীর বুকের রক্ত হিম হওয়ার জোগাড় ।
কিন্তু এখন কি করা যায় ? এমন তেষ্টা পেয়েছে যে বুকের ছাতি ফেটে যাওয়ার উপক্রম তাঁর। শেষমেশ বাধ্য হয়ে চন্ডের কাছে কারণবারি চেয়ে বসলেন কমলাদেবী । শুনে চন্ড জিভ টিভ কেটে একাকার করে বললো, "ছিঃ ছিঃ ! রানীমা কারণবারি মানে হলো গিয়ে মদ, তা আপনাকে কীভাবে দিই, বলুন ? তবে, ভাঙের শরবত করে দিতে পারি । জোগাড়যন্তর সবই আছে । অনুমতি করেন তো এক্ষুনি বানিয়ে দেই ?"
কমলাদেবী আর দ্বিরুক্তি না করে ঘাড় কাত করে তৎক্ষণাৎ অনুমতি দিলেন । চন্ড সুরুৎ করে আঁধারে মিশে গেলো । আর কমলাদেবী বসে বসে চারপাশে তাকিয়ে দেখতে লাগলেন সব । তিনি যেখানে বসে আছেন তার থেকে মাত্র হাত দশেক দূরেই রয়েছে প্রকান্ড একটা হাঁড়িকাঠ । হাঁড়িকাঠের আকার দেখে কমলাদেবীর বুকের মধ্যে হাতুড়ি পিটতে লাগলো । কী বিশাল হাঁড়ি কাঠ ! বাবাগো । যেনো মোষ বলি হবে এতো বড় !
হাঁড়িকাঠের সর্বাঙ্গে লাল টকটকে সিঁদুর লেপা । হাঁড়িকাঠ যেখানে পোঁতা রয়েছে তার মাটি হালকা করে কুপিয়ে সেখানেও সিঁদুর আর আলতা ছড়ানো রয়েছে । আজকে কী পুজোতে বলি হবে ? কি বলি হবে ? পাঁঠা না মোষ ?
[চলবে]
yes
你好,可以关注下妹妹么!
কি ভয়ংকর বর্ণনা শরীর শিউরে উঠছে। কমলাদেবী ধারনাও করতে পারছেন না কি ঘটতে চলেছে।কমলাদেবী কি নিজেকে বাঁচাতে পরবেন। পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
你好,可以关注下妹妹么!
আমারতো মনে হচ্ছে কমলাদেবীই বলি হবে। প্রথম প্রথম কমলাদেবীকে খারাপ লাগলেও এখন কেন যেন মায়া হচ্ছে তার জন্য। বেচারি বুঝতেও পারছে না কি বিপদে পরেছে।
你好,可以关注下妹妹么!
ঠিক যেমনটি প্রতিটি পর্বে হয়ে আসছে, আজকেও তেমনটা হলো। একদম শেষে এসে হুট করে মোর ঘুরে যাওয়ার মতো। হিংস্র শেয়ালের পর সামনে আসলো হাঁড়িকাঠ, নতুন আশংকা জাগ্রত হলো আবার। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
你好,可以关注下妹妹么!
কমলাদেবী তো আর বুঝতে পারছে না পূজা তে পাঁঠা কিংবা মহিষ বলি হবে না,বরং সে নিজেই বলি হবে। কাপালিকের ব্যাপারে বিস্তারিত জেনেই তো ভয় লাগছে। কমলাদেবী আর বাঁচতে পারবে না সেখান থেকে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
你好,可以关注下妹妹么!
হাঁড়িকাঠ এর কথা শুনে এবার তো মনে হচ্ছে কমলাদেবীর চ্যাপ্টার ক্লোজ হতে চললো!বাপরে কি ভয়ংকর ব্যাপার!
তার মানে কি, কমলাদেবী কে বলি দেওয়া হবে। ভাবতেই যেন, গা হাত পা শিউরে উঠছে। অপেক্ষায় থাকলাম ভাই পরের পর্বের জন্য।