SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 18]
This post is made for recovering lost SBD : 1470
Recovered so far : 395.514 SBD
গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ১৭
Copyright Free Image Source : PixaBay
একটানা কিছুক্ষণ কথা বলে মেয়েটি একটু থামলো । রমেশবাবু মন্ত্রমুগ্ধের মতো মেয়েটির কথা শুনে যাচ্ছেন । কিছুক্ষণ, নতমুখে একটু চুপ করে থেকে মেয়েটি আবার কথা বলা শুরু করলো ।
"আশ্বিনের মাঝামাঝি কালীপুজোর আগেই ভূপতিবাবু হঠাৎ করেই বিয়ে করে ফেললেন । সেই কলকাতার বারবণিতা-কেই । বিয়ের আগের দিনই জমিদারবাবুর পত্নী পিতৃগৃহে চলে গেলেন । সতীনের ঘর তিনি করতে পারবেন না, তাই চিরকালের জন্য বাপের বাড়িতে চলে যাচ্ছেন । চলে যাওয়ার আগে এমনটাই তিনি বলে গেলেন ।"
"ভূপতি বাবু তখন এসব গ্রাহ্যের মধ্যেই আনছেন না । নববধূকে নিয়ে তিনি মশগুল । তাঁর স্ত্রী যে ছোট ছোট দু'টি ছেলে মেয়ের হাত ধরে বাপের বাড়ি চলে গিয়েছেন তাঁরই চোখের সামনে দিয়ে তাতে তাঁর কোনো তাপ উত্তাপ নেই । অথচ ভূপতিবাবু চিরকাল তাঁর ছোট ছোট বাচ্চা দুটিকে অসম্ভব ভালোবাসতেন । তাঁরা চোখের আড়াল হলেই অস্থির হয়ে উঠতেন । সেই জমিদারবাবু সারাক্ষণ শুধু নববধূকে নিয়েই মেতে থাকলেন । জমিদারবাবুর এ হেন পরিবর্তন দেখে আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবাই যেমন অবাক হলেন, তেমনই খুবই ব্যথিত হলেন । এত অধঃপতন জমিদারবাবুর ! ছি ছিঃ !"
"সবাই ভাবলেন বিয়ের কয়েকদিনের মধ্যেই হয়তো ভূপতিবাবুর নতুন বৌয়ের প্রতি মোহ কেটে যাবে, তিনি তাঁর প্রথমা পত্নীর পিতৃগৃহে গিয়ে স্ত্রীর মানভঞ্জন করে তাঁকে ও বাচ্চা দু'টিকে পিত্রালয় থেকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসবেন । কিন্তু, সবার ধারণা ভুল প্রমাণিত করে দিয়ে প্রায় মাস তিনেক ভূপতিবাবু নতুন বৌকে নিয়েই মত্ত থাকলেন । জমিদারকার্য অব্দি শিকেয় উঠলো । জমিদারবাড়ির সবাই বেশ বিরক্ত । আর ভূপতিবাবুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী ? তাঁর মর্মবেদনা ক্রমে ক্রমে দূর হয়ে সেখানে আশ্রয় নিলো এক অপরিসীম ঘৃণা আর প্রতিশোধস্পৃহা ।"
"প্রথম প্রথম তিনিও ভেবেছিলেন তাঁর স্বামী কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁকে বাপের বাড়ি থেকে নিতে আসবেন । বাচ্চা দু'টিকে চোখের আড়াল করে তো তিনি এক দন্ডও থাকতে পারেন না । কিন্তু, তাঁর আশায় আশায় শুধু দিন কেটে গেলো, ভূপতিবাবু এলেন না । ক্রমে মাস ঘুরে আরেকটি মাস এসে গেলো । তথাপি ভূপতিবাবুর কোনো খোঁজ পাওয়া গেলো না । ভূপতিবাবুর প্রথম পক্ষের শ্যালক নিজেও জমিদার । ভূপতিবাবুর স্ত্রী অবশেষে ভাইয়ের কাছে এসে কেঁদে ফেললেন ।"
"শ্যালক আগে থেকেই ভূপতিবাবুর কর্মকান্ডে ভয়ানক বিরক্ত ছিলেন । বড় দিদির কান্না দেখে সে বিরক্তি অপরিসীম রাগে পরিণত হলো । তিনি ভূপতিবাবুকে একটা উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য পথ খুঁজতে লাগলেন । এবং প্রায় মাস দুই পরে একটা উপায় খুঁজে পেলেন । বোনকে ডেকে বললেন সেই উপায়ের কথা । ভূপতিবাবুর স্ত্রী সব শুনে শিউরে উঠলেন । তীব্র আতঙ্কে হৃদয়ে রক্ত চলকে উঠলো, মুখ পাংশুবর্ণ ধারণ করলো । আর দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে তিনি ধপ করে মেঝের ওপর বসে পড়লেন ।"
[চলবে]
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
গতকাল আর আজকের পর্বটা যেনো শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না।এরপরের কাহিনীটা পড়ার জন্যে একেবারে মন উসখুস করছে।জলদি লিখে ফেলেন দাদা।
মানে ভয়ানক কিছু হতে চলেছে সামনে ভূপতিবাবুর সাথে, ঘনটার মাঝে ঘটনার সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে উত্তেজনা, ঘটনা শুনার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
আমার তো মনে হচ্ছে প্রথম স্ত্রী এবং তার জমিদার ভাই, ভূপতিবাবু ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। আর দ্বিতীয় স্ত্রী হচ্ছে মহুয়া। গল্পটি যতই পড়ছি ততই যেনো আগ্রহ বাড়ছে। টানটান উত্তেজনা কাজ করছে দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
তারমানে এখন বিষয়টা আমি কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি, হয়তো শ্যালক সেই জমিদারের নতুন বউকে মেরে ফেলে। তারপরেও কিছুটা চিন্তিত থেকেই গেলাম ভাই। অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের জন্য।
এই পর্বে তো আবার আরো উত্তেজনা রয়ে গেল। তার শ্যালক তাকে নিয়ে কি পরিকল্পনা করেছিল যে সেটা তার স্ত্রী শোনার পরে উঠলো সেটা জানার আগ্রহ রয়েই গেল।
জমিদারের শ্যালক কি তাহলে জমিদারের প্রথম স্ত্রীকে মেরে ফেলার প্ল্যান করছে নাকি। খুব ভয়ংকর প্লান পরিকল্পনা করছে তাহলে। জমিদারের প্রথম স্ত্রী তার ভাইয়ের এরকম পরিকল্পনায় রাজি হবে মনে হচ্ছে। বেশ ভালো লাগছে দাদা গল্পটির নতুন কাহিনীও।