SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 17]
This post is made for recovering lost SBD : 1470
Recovered so far : 353.835 SBD
গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ১৬
Copyright Free Image Source : PixaBay
কথা শুরু করলো মেয়েটি । রমেশবাবু অবাক বিস্ময়ে শুনতে লাগলেন তার কথা ।
"সে আজ অনেকদিন আগেকার কথা । এই বাড়িটা ছিল আমাদের জমিদার বাবুর । এই গায়ের জমিদার ভূপতি নাথ । বড় ভালো লোক ছিলেন তিনি । তবে সজ্জন লোক হলেও তাঁর চরিত্রে একটা মস্ত দোষ ছিল । মেয়ে মানুষের প্রতি আসক্ত ছিলেন তিনি অতি মাত্রায় । আর সেটাই তাঁর কাল হলো ।"
"ভাদ্রের শেষ । আর মাত্র কিছুদিন পরেই দুর্গাপুজো । জমিদার বাড়িতে সাজো সাজো রব । এখন থেকেই আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে । জমিদারবাবু কলকাতায় গেলেন ক'দিনের জন্য । যখন ফিরলেন তখন দেখা গেলো তাঁর সাথে এক পরমাসুন্দরী মেয়ে । মেয়েটি জমিদারবাবুর কোলকাতাস্থিত কোনো এক বারবণিতা-টণিতা হবে - এমনটাই ভাবলো সবাই ।"
"কিন্তু, সবাইকে অবাক করে দিয়ে জমিদারবাবু ঘোষণা করলেন যে মেয়েটিকে তিনি পুজোর পরপরই বিয়ে করবেন । বাড়ির সবার মাথায় যেন বজ্রপাত হলো । কারণ, সে যুগে সব বড়মানুষেরই বাঁধা মেয়ে মানুষ থাকতো, আর সেটাই ছিল আভিজাত্যের প্রতীক । কিন্তু, কোনো বাবুই তাঁর কোনো বারবণিতাকে বিয়ে করে ভদ্র পত্নীর মর্যাদা দিয়েছেন এমনটা কখনো শোনা যায়নি ।"
"অথচ এমন অসম্ভব ঘটনা ঘটাতে চলেছেন জমিদারবাবু । এ কী করে সম্ভব ? বারবণিতা কি করে ভদ্র বাড়ির বউ হবে ? জমিদারবাবুর পত্নীর মাথায় বাজ পড়লো । তিনি খুব করে জমিদারবাবুকে বোঝালেন যে এই কাজ করা তাঁর মোটেও উচিত হবে না । অজ্ঞাতকুলশীল, চরিত্রহীন একটা রক্ষিতার জন্য ভূপতি বাবুর চরিত্র কালিমালিপ্ত হবে । সমাজচ্যুত হবেন তিনি ।"
"কিন্তু, ভবি ভোলাবার নয় । ভূপতি বাবু কারো কথায় কান দিলেন না । মেয়েটিকে তিনি ভদ্রপত্নী করার জন্য একেবারে উঠে পড়ে লাগলেন । কোনো রকমে বাড়িতে পুজো মিটে গেলেই ভূপতিবাবু বিবাহের উদ্যোগ করলেন । সবার প্রথমে তিনি গ্রামের শীর্ষ ব্রাহ্মণশ্রেণী ও মাতব্বশ্রেণীর মানুষদের একদিন বৈঠকখানা ঘরে ডাকলেন । প্রচুর উৎকোচের বিনিময়ে তিনি তাঁদের জয় করতে পারলেন । ফলশ্রুতিতে গ্রামের ব্রাহ্মণ ও মাতব্বরদের মধ্যে কেউই এই বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ালো না ।"
"নির্বিঘ্নে এবং মহাসমারোহে বিবাহের কাজ সম্পন্ন হলো । আর তারপরে সূচনা হলো এক অতি ভয়ঙ্কর ঘটনার । মানুষ যে কত নিচে নামতে পারে, কতটা হৃদয়হীন আর নিষ্ঠুর হতে পারে তা আসলে আমরা কল্পনাও করতে পারি না । আর এই নীচতা, হৃদয়হীনতা, নিষ্ঠুরতা থেকেই জন্ম নেয় পৃথিবীর সব চাইতে নিষ্ঠুরতম ইচ্ছা - প্রতিশোধ স্পৃহা। "
"আর সেটাই হলো অবশেষে। "
[চলবে]
গল্পের মোড় ভিন্ন দিকে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। এবার হয়তো জমিদারবাড়ির ইতিহাস জানতে পারবো। সেই সাথে জমিদারের নিষ্ঠুরতার কাহিনী। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
এবার তো মনে হচ্ছে অন্য কিছুর মাঝে আবার চলে গেলাম, আসল কাহিনী তাহলে শুরু হবে এখন। পুরনো ইতিহাস নতুনভাবে সামনে আসবে, অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের।
মহুয়া আপন ভেবে রমেশ বাবুকে সবকিছু বলছে তাহলে। এবার তাহলে এই বাড়ির ইতিহাস জানতে পারবো। তাহলে কি মহুয়া জমিদার বাবুর সেই রক্ষিতা নাকি। যাইহোক সেটা হয়তোবা ধীরে ধীরে জানতে পারবো। গল্পটি পড়ে আসলেই খুব ভালো লাগছে দাদা। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
গল্পের এই পর্বটা যেন আরো বেশি টানটান উত্তেজনা বয়ে নিয়ে এসেছে। বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে আরো বেশি ভয়ংকর ঘটনার সূচনা হলো তবে কি ঘটেছিল সেটা জানার ইচ্ছে রয়ে গেল তাই পরবর্তী পর্ব পড়ার আগ্রহটা আরো বেড়ে গেল অপেক্ষায় রইলাম দাদা।
গল্পের মোড় এবার অন্যদিকে ঘুরেছে তার মানে, মহুয়া হয়তো তার পূর্বের জীবনের ঘটনা বলছে রমেশকে, বেশ দারুণ। অপেক্ষায় থাকলাম ভাই পরের পর্বের জন্য।
গল্পটি এখন দেখছি নতুন দিকে মোড় নিল। এই জমিদার বাবু দেখছি শেষমেশ মেয়েটিকে বিয়ে করেই ছাড়লো। জমিদার বাবুর আগের স্ত্রী কি তাহলে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠবে। পরবর্তী কাহিনী জানার অপেক্ষায় রইলাম দাদা।