SBD recovery case #1 : beneficiary rme [round 12]
This post is made for recovering lost SBD : 1470
Recovered so far : 155.294 SBD
গল্প (রক্ত তৃষা) - পর্ব ১১
Copyright Free Image Source : PixaBay
ধাতস্থ হতে কয়েক সেকেন্ড মাত্র টাইম লাগলো রমেশবাবুর । বাঁচার তাগিদে ব্রেন কাজ করছে বিদ্যুৎগতিতে । অদৃশ্য কোনো শক্তি বলয়ে সুরক্ষিত রয়েছে বৈঠকখানা ঘরের দরজা । লহমায় বুঝে গেলেন রমেশবাবু । পিশাচিনীর অশুভ জাদুজালে বন্দী তিনি । কথাটা ভাবতেই বুকটা ধড়াস করে উঠলো । হাত পা এলিয়ে দিয়ে দরজার সামনে মেঝেতেই বসে পড়লেন রমেশবাবু মাথায় হাত দিয়ে ।
ঠিক এই মুহূর্তেই ঘাড়ের পেছনে কার উষ্ণ নিঃশ্বাস পেয়ে বোঁ করে ঘাড় ঘুরিয়ে পেছনে তাকাতেই দেখলেন একটা ছায়ামূর্তি তাঁর দিকে ঝুঁকে উবু হয়ে দাঁড়িয়েছে । চোখদুটো জ্বলছে জ্বলন্ত অঙ্গারের মতো, ধিকি ধিকি । মাথার চুলগুলো হাওয়ার দাপটে শনের মতো উড়ছে ।
বুড়োটা ! কখন জানি বেতের চেয়ার ছেড়ে উঠে এসেছে । বুড়োটা তাহলে তখন ঘুমোচ্ছিলো না । এখন কী করবেন রমেশবাবু ? ভয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেলো তাঁর । গলা শুকিয়ে কাঠ । চক্ষুদ্বয় বিস্ফারিত । ঘন ঘন ঢোক গিলতে লাগলেন শুধু ।
বুড়োই প্রথম কথা বলে উঠলো - "বাবু না ? ... হুঁ বাবুই তো ! হ্যাঁ গো বাবু কি হয়েছে আপনার ? এখানে বসে যে ? আপনি তো দোতলায় ছিলেন, মহুয়ার ঘরে । কোনো কিছু দরকার আপনার বাবু ?"
এক নিঃশ্বাসে অনেকগুলো প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো বুড়োটা রমেশবাবুর দিকে । রমেশবাবু শুকনো মুখে শুধু ঘাড় নাড়লেন । তারপর ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালেন । কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে মাথা খেলালেন । বুড়োটাকে বললেন -
"আসলে হয়েছে কী আমার স্যুটকেসটা নিতে ভুলে গিয়েছিলুম । বৈঠকখানা ঘরের কোথায় জানি রেখেছিলাম । অন্ধকার ঘর, তাই খুঁজতে খুঁজতে এখানে এসে কিসে জানি হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়েছি ।"
অন্ধকারে ভালো দেখা যায় না, তবু মনে হলো বুড়োটা যেন মুচকি একটু হাসলো । ব্যাঙ্গের হাসিই মনে হলো । তারপরে, ঘুরে দাঁড়িয়ে কাঁপা কাঁপা হাত তুলে অঙ্গুলি সংকেত করলো টিপয়ের ঠিক ডান পাশে ।
-"ওই তো বাবু, আপনার সুটকেস । টেবিলের পাশেই রেখেছিলেন আপনি নিজে । পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে । আলোর পাশে না খুঁজে অন্ধকারে আপনার সুটকেস খুঁজছেন বাবু ? অন্ধকারে খুঁজলে কি পাওয়া যায় ? যান সুটকেস নিয়ে আপনার ঘরে যান । মহুয়া রাতের খাবার করছে । শেষ হলে আপনাকে ডাকবে । যান ।"
রমেশবাবু প্রত্যুত্তরে কিছুই বলতে পারলেন না । মুখে কোনও কথা যোগালো না তাঁর ।
মাথা নিচু করে সুটকেসের দিকে এগোলেন । ভাঙা বুক চিরে শুধু একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো । মুক্তি মিললো না । আশার আলো ক্রমশঃ নিভে আসছে । তবু যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষন আশ । নতুন করে প্ল্যান ঠাওরাতে হবে আবার । আগে মাথা ঠান্ডা হোক ।
সুটকেস নিয়ে যখন তিনি সিঁড়ির দিকে হাঁটা লাগালেন তখন ক্ষণিকের জন্য একবার বুড়োর পানে তাকালেন । কী দেখতে পেলেন সেখানে ? বুড়োর চোখ দু'টো জিঘাংসায় জ্বলছে, কুঁচকানো ঠোঁটের দু'পাশে উঁকি দিচ্ছে একজোড়া অতি ভয়ঙ্কর ঝকঝকে সাদা শ্বদন্ত । রক্ত লোলুপ !
শিউরে উঠলেন রমেশবাবু । সারা শরীর কেঁপে উঠলো ভয়ঙ্কর ভাবে । হায় ঈশ্বর ! বাঁচার আর কোনো আশা নেই !
[চলবে]
রমেশ বাবুর তো বাঁচার কোনো উপায় দেখছি না। বুড়ো আর মহুয়া যেভাবে বন্দী করেছে রমেশ বাবুকে,রমেশ বাবু আর পালাতে পারবে না মনে হচ্ছে। তবুও দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম দাদা। গল্পটি পড়ার সময় মনের মধ্যে অন্য রকম উত্তেজনা কাজ করে। যাইহোক এতো সুন্দর গল্প আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।
মনে হচ্ছে রমেশ বাবুর বেঘোরে প্রাণ-টা যাবে। যা অবস্থা বেচারা হার্ট আ্যটাকে না মরে যান। পরের পর্বে কি হয় সেটার অপেক্ষায়
গল্প পড়ে একদম গা শিউরে উঠলো। বাস্তবে এরকম অবস্থার সাথী হলে যে কারো শরীর কাঁপা শুরু করবে যেমনটা রমেশ বাবুর হয়েছিল।
মনে হচ্ছে রমেশবাবু জান নিয়ে ফিরতে পারবেন না। নিজেকে বাচাঁনোর সব পথ মনে হচ্ছে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।দেখা যাক নিজেকে বাচাঁতে পারেন কিনা রমেশ বাবু। পরের পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
আমার মনে হচ্ছে বুড়োটা হয়তো বুঝতে পারেনি যে রমেশবাবু একটু হলেও টের পেয়েছেন।আর বুড়োটা মনে মনে ওই রক্ত চুষে নেওয়ার আনন্দে আত্মহারা। দারুণ দারুণ দাদা।
উত্তেজনা একদম ভরপুর, শুধু অপেক্ষা করছি কিভাবে রমেশ মুক্তি পাবে সেটা ভেবে। ইশ, রমেশ যদি বেঁচে যেত।
আহারে রমেশবাবুর জন্য খুব খারাপ লাগছে। এত কষ্ট করেও লাভ হলো না। বুড়ো মনে হচ্ছে সবই বুঝতে পেরেছে। কি যে হয় রমেশবাবুর? বাঁচার উপায় তো খুঁজেই পাচ্ছি না।