বেলের জুস।
আসসালামু আলাইকুম।আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি আপনারা কেমন আছেন?
আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। তবে এই রেসিপি আমাদের প্রত্যেকের শরীর সুস্থ রাখার জন্য অনেক উপকারী।আজ একটু বাইরে গিয়েছিলাম নিজের কিছু টুকটাক প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য।নিউ মার্কেট থেকে কেনাকাটা শেষ হওয়ার পর যখন বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছিলাম ঠিক তখন দেখি আমার সামনে এক ভাই তার নিজের গাছের কিছু বেল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিক্রি করার জন্য।বেলের দাম জিজ্ঞাসা করতেই ভাইটি আমাকে বলল আপা বেল গুলো অনেক ভাল হবে এগুলো আমার নিজের গাছের বেল । এমনিতে বেল গুলা দেখতে অনেক সতেজ ও টাটকা দেখাচ্ছিল।এই রমজানে অনেক ধরনের জুস তো খেলাম কিন্তু 🍹বেলের জুস🍹 খাওয়া হয়নি। তাই ভাবলাম বেল গুলো কিনে ফেলি।বেল অন্যান্য ফলের থেকে অনেক উপকারী এবং শরীরের জন্য অনেক স্বাস্থ্য সম্মত।তাই বেল এবং অন্যান্য শপিং শেষ করে বাসায় পৌঁছলাম।বাসায় পৌঁছে নিজেকে আরও অনেক কাজ সামলিয়ে নিতে হলো।তাই কাজ শেষে মনে হচ্ছিল শরীরের চার্জ কমে যাচ্ছিল আর মনে হচ্ছিল আমার জান এখনি বেরিয়ে যাবে।একটু পানি পেলে হয়তবা ভাল লাগত কিন্তু রোজা রেখেছি কিভাবে পানি খাব।এদিকে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি তখন বিকাল ৬.০৭মিনিট তাই বেলের শরবত তৈরি করে ইফতারের জন্য বসে পড়লাম। তার কিছুক্ষন পর ইফতারের সময় হলো আর এই জুস দিয়ে ইফতার করছিলাম তখন মনে হচ্ছিল শরীরে কি যেন একটি শক্তির আবির্ভাব ঘটলো।আর শারীরিক ভাবে অনেক ভালো লাগছিল এবং নিজেকে অনেক সতেজ মনে হচ্ছিল।আর কথা না বাড়িয়ে চলেন এবার রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তা নিয়ে আলাপ করা যাক।
উপকরণ সমূহঃ-🛒
১। বেল।
২। চিনি।
↩️প্রস্তুত প্রণালী↪️
🍹প্রথম প্রসেস🍹
প্রথমে বেল টিকে ফাটিয়ে নিলাম।
🍹দ্বিতীয় প্রসেস🍹
এরপর ফাটানো বেল থেকে মাঝখানের নরম অংশটি উঠিয়ে একটি বাটিতে নিলাম।
🍹তৃতীয় প্রসেস🍹
এবার নরম অংশটিকে বাটির মধ্যে হাতের সাহায্যে সুন্দর করে মিশ্রন তৈরী করে নিলাম এবং হালকা একটু পানি দিয়ে নিলাম।
🍹চতুর্থ প্রসেস🍹
এরপর এই মিশ্রণের মাঝে দুই টেবিল-চামুচ চিনি দিয়ে নাড়াচাড়া করলাম।
🍹পঞ্চম প্রসেস🍹
এবার এই মিশ্রণটি কে সুন্দর ভাবে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিলাম আর এই ভাবেই হয়ে গেল আমার 🍹বেলের জুস🍹 রেসিপি।আর এই🍹বেলের জুস🍹রেসিপি পরিবেশনের জন্য রেডি করে তার একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম আমাদের দিয়েছেন যেখানে নিজের মতামত স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারি। তাই এই কমিটির একজন সদস্য হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি।
বিষয়ঃ- বেলের জুস।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
সুস্বাদু বেলের শরবত দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। বেলের শরবত আমার খুবই প্রিয়। আপনি খুবই সুন্দরভাবে বেলের শরবত তৈরি করলেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
রেসিপিটি আপনার পছন্দের শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে বেলের জুস বানানোর প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বেলের জুস আমার ভীষণ প্রিয়। সেই সাথে অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি জুস। আপনার বেলের জুস বানানোর প্রক্রিয়া আমার খুব ভালো লেগেছে। এত সুন্দর জুস উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
তবে বর্তমানে বাজারের বেলগুলো এরকম সতেজ হয় না l।আর ভেজালও মিশ্রিত থাকে। ইফতারের আগে খুবই কম সময়ে নিয়ে বেলের শরবত বানিয়েছেন। আপনার বানানো বেলের শরবত রেসিপি অনেক সুন্দর ছিল।বেলের শরবত রেসিপি সম্পন্ন করার পদ্ধতি গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপু মনি আমি সেই দুই সপ্তাহ থেকে বেলের জুস বানাবো বলে ঠিক করেছি কিন্তু বানাইতেই পারতেছি না, আপনার বেলের জুস দেখে মনে হচ্ছে কালকেই বানাবো, যাই হোক আপু মনি আপনি অনেক সুন্দর করে বেলের জুস তৈরি করেছেন, ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপনা করেছেন শুভকামনা রইলো আপনার জন্য আপু মনি।
আপনার জন্যও শুভ কামনা রইলো।
আসলে প্রচণ্ড গরমে আমরা যখন ক্লান্ত হয়ে যাই মনে হচ্ছে তৃষ্ণায় বুকটা ফেটে যাচ্ছে। এরকম তৃষ্ণার্ত অবস্থায় এক গ্লাস ঠাণ্ডা বেলের শরবত খেলে নিমিষেই শরীর মন চাঙ্গা হয়ে যায়। খুব দ্রুত শরীরের মধ্যে এনার্জি চলে আসে। বেল অত্যন্ত পুষ্টিগুনসম্পন্ন একটি ফল। আপনি খুব চমৎকারভাবে বেলের শরবত রেসিপি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন। রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
গাছের পাকা বেলের শরবত খেতেই একটা আলাদা মজা এবং তার সুঘ্রাণও আছে।
জি ভাই দুটিই ছিল।
আমার খুব পছন্দের জুস এর মধ্যে একটি হলো বেলের জুস। বেল এর স্বাদ ও গুন এর তুলনা হয়না। এই গরমে বেল এর জুস আমাদের জন্য খুবই উপকারী। ঠান্ডা ঠান্ডা এক গ্লাস বেল এর জুস খেলে প্রশান্তি মেলে।
আপনার বেল এর জুস তৈরীর প্রক্রিয়া আপনি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই জুসটি আপনার পছন্দের শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
এই গরমের মধ্যে এমন এক গ্লাস জুস খেলে আর কোন কিছুর দরকার হয় না। আপনি খুব সুন্দরভাবে বেলের জুস বানিয়েছেন। বেলের জুস খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমিও মাঝে মাঝে এভাবে তৈরী করে খাই। আপনার জুস বানানোর প্রক্রিয়া খুবই সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বেলের জুস দেখে মনটা খুব ভরে গেল । আসলে যে গরম পড়তেছে এই রকম এক গ্লাস বেলের জুস খেতে পারলে কলিকাতার শীতল হতো। আপনার প্রস্তুত প্রণালী বেশ অসাধারণ হয়েছে। দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ ভাই।
বেলের জুস খুবই মজাদার একটি রেসিপি,অনেক দিন ধরে খাওয়া হয় নায়। আগে আমাদের বেল গাছ ছিল যদিও এখনো আছে কিন্তু এখন আর বেল ধরে না। বেলের জুস খুবই সুন্দর করে বানিয়ে আমাদের মাঝে হাজির করছেন। ইফতারিতে এক গ্লাস জুস খেলে আর কিছুর দরকার হয় না।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য
বাসাই বেলের গাছ থাকলে তো কোন সমস্যাই নেই।