ছোট গল্প ||| রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছ পর্ব-০২ ||| Original story by @saymaakter.
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা রাখি সকলেই সবার পরিবার নিয়ে সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আপনাদের ভালবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে ছোট গল্প নিয়ে হাজির হতে চলেছি।জানিনা আমার গল্পগুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে, তবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে গল্প লেখার আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে।তাই আজকে আপনাদের মাঝে "রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছ পর্ব-০২" নিয়ে হাজির হলাম।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে গল্পে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
ঠিক সেদিন হঠাৎ সকালে ছোট্ট বাচ্চা কুলে নিয়ে একটি মহিলাকে আসতে দেখা গিয়েছিল এবং সে অনেক করুণা সহকারে বলতে লাগলো যে আমার এই পৃথিবীতে কেউ নাই আমার স্বামী আমাকে রেখে চলে গেছে। এই বাচ্চা আর আমি এই পৃথিবীতে বড়ই একা। আমাকে যদি আপনারা একটি কাজ দিতেন তাহলে আপনাদের মাঝে আমি সারা জীবনের জন্য থাকতাম। আমার কোন পিছুটান নেই আমাকে আপনারা একটু দয়া করুন। আপনারা আমাকে পরীক্ষা করে দেখেন আমি মানুষ হিসেবে কেমন আমাকে কিছু দিন সময় দেন। তারপর সেই অসহায় মহিলাকে দেখে শানু ও তার স্ত্রীর অনেক মায়া হল। ঠিক আছে তুমি আমাদের বাসায় সারা জীবনের জন্য এই ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে থাকতে পারো। তবে তোমাকে কোথাও যাওয়া যাবে না, এখানে আজীবন থাকবা যতদিন আমরা বেঁচে আছি।
সে রীতিমতো রাজি হয়ে গেল এবং তার জন্য একটি অন্য আলাদা রুমের ব্যবস্থা করা হলো।ধীরে ধীরে সেই মহিলাটির সন্তান এবং শানুর পরিবারের সাথে মিশে গেছে। সেই মহিলাটির নাম ছিল সালেহা।মিয়া বাড়িতে সে রীতিমতো অবস্থান করল।মিয়া বাড়ির পাশে রাস্তার সাইডে একটি শ্যাওলা গাছ ছিল। শ্যাওলা গাছ গুলোর পাতা ছোট ছোট থাকে এবং অনেক ঝোপঝাপ।সেই গাছের ভিতরে যদি কেউ লুকিয়েও থাকে তাহলে কেউ বুঝতে পারবে না এখানে একটি মানুষ আছে। শ্যাওলা গাছগুলো এমনই হয় চার দিকটা পাতা দিয়ে অনেক ঘেরাও থাকে।
একদিন দুপুরের দিকে সালেহাকে বলা হলো যে শুটকি ভাঁজতে এবং শুকনা মরিচ ভেঁজে নিয়ে আসতে তখন সালেহা রীতিমতো সেই কাজগুলো করল। বাসার সেই কাজ করে হঠাৎ রাস্তার সাইডে শ্যাওলা গাছের নিচে চুল ছেড়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।ঠিক তখনই রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছে একটি ঘটনা ঘটলো। গাছ থেকে কে যেন তাকে ডাকছে। আর সেই গাছের দিকে ও তাকিয়ে হাসছে এবং ইশারা করে কি যেন কথা বলছে।
অনেকক্ষণ সেই গাছের নিচে বসে থাকার পর তাকে যখন বাসায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন চারদিকে খোঁজাখুঁজি করে গাছের নিচে পাওয়া গেল এবং তাকে বাসায় ডাকলো। সালেহা বাসায় আসার পর বলল। তোমরা তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও আমার আবার অনেক জায়গায় যেতে হবে তাড়া আছে।আমাকে ডাকছে আর মাথা চুলকাচ্ছে চোখগুলো পিটপিট করছে।পাগলের মত শুধু হাসছে। তার এই বচনভঙ্গি গুলো মিয়া বাড়ির পরিবারকে অনেক অবাক করছিল। দুপুর গড়িয়ে যখন সন্ধা নেমে এলো। তখন সে এক রুমে থেকে শুধু আবোল তাবোল বলছিল এবং নিজের চুল নিজেই ছির ছিল।
হঠাৎ সেই পরিবারের বড় ছেলে সালেহা কে যখন পানি আনতে বলল। তখন সালেহা বলল বেশি কথা বললে তোকে খেয়ে ফেলবো। বেশি কথা বলিস না আমাকে ঘরের মধ্যে আটকায় রাখিস না আমাকে ছেড়ে দে আমি চলে যাব। আমি অনেক দূর থেকে এসেছি। এই গাছের মধ্যে আমি বাস করি। আমি এখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম ও চুল ছেড়ে আমার কাজে বাধা দিয়েছে তাই আমি ওর কাছে চলে এসেছি। আসলে মূলত সেই শ্যাওলা গাছে হয়তো কিছু একটি ছিল এবং বাস করত। সেটা মিয়া বাড়ির পরিবারের কেউ জানতো না। আর গাছটি দেখলেই অনেক ভয়ংকর লাগতো এজন্য এই গাছের আশেপাশে বা সাইডে কেউ আসতো না। সালেহা জানতো না যে এই কাজটি ভয়ংকর তাই সেদিন ঠিক দুপুর বেলা এই গাছের নিচে গিয়েছিলা।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।*
আপু আপনার এমন ভয়ঙ্কর গল্প পড়ে গা ছমছম করে উঠলো। তবে গল্পটা পড়ে বেশ ভালো লাগলো। শ্যাওলা গাছ কখনও দেখেছি কিনা মনে নেই। ভরদুপুর বেলা সাহেলা এভাবে চুল ছেড়ে দাঁড়ানো ঠিক হয়নি। তারজন্যই তাদের সমস্যা হয়েছে। যাই হোক এরপর কি হলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
জি আপু ভর দুপুরে শ্যাওলা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকাটাই সমস্যা ছিল।