অনুভূতির গল্প ||| উবারে চলে পরিবার-১।

in আমার বাংলা ব্লগ11 months ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলে আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।পৃথিবীর সবচাইতে বড় সুখ সেটি যদি সুস্থ থাকা যায় এবং পরিবারসহ অনেক আনন্দ ঘন পরিবেশে জীবন অতিবাহিত করা যায়।আমি আপনাদের দোয়ায় পরিবারসহ ভালো আছি,তবে একটু আমি নিজে অসুস্থ।

আপনাদের সঙ্গে সব সময় কবিতা,রেসিপি,ডাই পোস্ট এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন নিয়ে পোস্ট করে আসছি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার ব্যতিক্রমধর্মী একটি অনুভূতির কথা শেয়ার করতে যাচ্ছি।এই অনুভূতিটি আসলে আমার মাথায় একদিনে আসেনি বিভিন্ন সময় চোখের সামনে এই দৃশ্যগুলো দেখার পর আস্তে আস্তে আমার মাথায় এই বিষয়টি ধরল যে এটি নিয়ে কিছু লেখার দরকার।

আমরা সবাই টাকার পিছনে ছুটে চলেছি,সেটি যেভাবেই হোক টাকা ইনকাম করতে হবে লক্ষ্য আমাদের একটি সেটি হল টাকা উপার্জন।উপার্জন বিভিন্ন পথেই করা যায় আর যে যে পথে উপার্জন করে তার কাছে সেই পথটি অনেক বড় একটি পথ।আর আমি কোন উপার্জনের পথ থেকে ছোট ভাবছি না বা কাউকে ছোট করে দেখছি না।

আমার মোটামুটি চার থেকে পাঁচ বছর আগের স্মৃতি হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠলো।আজ থেকে পাঁচ বছর আগে আমি মোটর সাইকেলে খ্যাপ দেওয়ার দৃশ্য দেখেছিলাম অর্থাৎ মোটরসাইকেলে ভাড়া মাড়া।তখন কার দৃশ্যটি ছিল এমন সেই মোটরসাইকেলের সিট কভারের ওপরে একটি টাওয়াল দেওয়া থাকতো।টাওয়াল দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল যাতে যাত্রীরা বুঝতে পারে এই মোটরসাইকেলটি খ্যাপ দেয়।যাত্রীরা অতি সহজেই বুঝে নিতে পারত এই মোটরসাইকেলটি দিয়ে সে তার গন্তব্যস্থলে টাকার বিনিময়ে পৌঁছাতে পারবে কম সময়ে।

তখনকার সময় এই মোটরসাইকেল ড্রাইভারদেরকে নিয়ে কিন্তু সবাই অনেক হাসি ঠাট্টা এবং আনন্দ করত।সবাই মনে করত এটি কোন ধরনের ইনকামের পথ আর এত নিচু একটি কাজ মোটরসাইকেল নিয়ে করতে পারে এটি ভাবাই যায় না।কারণ ওই লোকজনদের ধারণা ছিল শুধু ভ্যান রিক্সাওয়ালারাই এই কাজটি করতে পারে কিন্তু তাদের মাথায় এটি কখনো ধরত না যে কোটি টাকার বাস দিয়েও সেও কিন্তু এই খ্যাপি মারে।কিন্তু ওই বাস মালিকদের কে নিয়ে আমরা কিন্তু কখনো হাসি ঠাট্টা করি না বা আনন্দ উল্লাস করি না বা তাদেরকে ছোট ভাবি না।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি তবে এই অনুভূতির গল্পটি আমি বেশ কয়েকটি পর্ব আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব।যদি আপনাদের কাছ থেকে ভালো উৎস এবং সহযোগিতা পাই।

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।

বিষয়ঃ- অনুভূতির গল্প "উবারে চলে পরিবার-১"।

কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।

আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 11 months ago 

আসলে কোন কাজ ছোট নয়, তবে আমরা ছোট করে দেখি। এর প্রধান কারণ হলো আমাদের মন মানসিকতা। যাইহোক যারা বাইক শেয়ার করে উপার্জন করে আমার মনে হয় এটা স্মার্ট একটা পেশা।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

 11 months ago 

খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার এই পোস্ট পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। সত্যি বলতে আপনার এই পোস্ট আমার কাছে একদম বাস্তববাদী একটা পোস্ট মনে হয়েছে বর্তমান সময়ে উবার ড্রাইভ যারা করে তারা নিজেদেরকে এখন আর ছোট মনে করে না আবার এখনকার মানুষ এই কাজকে খুবই ছোট কাজ মনে করে না। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয় যে মানুষ যে কাজই করুক না কেন সেই কাজকে সম্মান করা উচিত। কাজ তো কাজই সেটা হোক ছোট কিংবা বড়। এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।

Posted using SteemPro Mobile

 11 months ago 

আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই।

 11 months ago 

এই বিষয়গুলো আমাদের মানসিকতার ব্যাপার আপু। কেননা আমরা প্রত্যেকটা জিনিসকেই ছোট চোখে দেখে ফেলি প্রথমের দিকে। কিন্তু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে পরবর্তীতে সেই জিনিসটাই আমাদের অনেক উপকারে আসে। আপনি একবার ভেবে দেখুন তো ঢাকা শহরের যে অবস্থা তাতে যদি এই ধরনের মোটরসাইকেল রাইড না থাকতো তাহলে কি আমরা সহজে আমাদের গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে পারতাম। আর টাকা উপার্জন করাটা যে কতটা কঠিন সেটা যে উপার্জন করে সেই ভালোভাবে জানে।

 11 months ago 

আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59824.84
ETH 2666.86
USDT 1.00
SBD 2.48