কাঁচা মিঠা আমের জুস || 10% beneficiary shy-fox || 5% beneficiary abb-school.
আসসালামু আলাইকুম । বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা যে যেখানে আছেন,যেভাবে আছেন,আশা রাখছি বিধাতার রহমতে সবার পরিবারকে নিয়ে ভালই আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালই আছি।
আজ দিনটা কেমন যেন একটা ভ্যাপসা আবহাওয়া প্রচন্ড গরম শুধু অস্থির অনুভব হচ্ছে । অতিরিক্ত গরমে কোন কাজে মন বসছে না আর কোন কাজ করেও শান্তি পাচ্ছিনা। কোন খাবার খেতেও ভালো লাগছেনা। ভাবলাম যদি একটু কাঁচা আমের জুস করে খাওয়া যায় তাহলে কেমন লাগবে? হয়তোবা একটু সতেজতা আসতে পারে এবং অসস্থি ভাব চলে যেতে পারে, যেই ভাবা সেই কাজ।ঝটপট করে ফেললাম "কাঁচা মিঠা আমের জুস"।আর এই আমগুলো মূলত কেমিক্যাল ছাড়া আমার নিজের বাগানের কাঁচা মিঠা আম দিয়ে এই জুস বানিয়েছি।আর যে কোন টাটকা জিনিস এর স্বাদই আলাদা ।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই "কাঁচা মিঠা আমের জুস"কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রক্রিয়াটি নিচে দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ🛒
১। আম।
২। লেবু।
৩। কাঁচা মরিচ।
৪। বিট লবন।
৫। চিনি।
৬। পানি।
৭। লবণ।
আমের খোসা সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিয়েছি এবং পানিতে আমগুলো ধুম নিয়েছি যাতে সুন্দর করে জুস তৈরি করতে পারি।
আমগুলো কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি যাতে সুন্দর ভাবে জুস তৈরি করা যায়।
লেবু সুন্দর করে ধুয়ে নিয়ে কেটে নিয়েছি কারণ জুসের ভিতরে লেবু দিলে জুসের আলাদা একটি ফ্লেভার আসবে।
এইবার দুটি কাঁচা মরিচের বোটা ফেলে ধুয়ে নিয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
এরপর ব্লেন্ডারের মধ্যে আমের টুকরোগুলো, কাঁচা মরিচের কুঁচি, লেবু টুকরো, লবণ, পরিমাণ মতো চিনি এবং সঙ্গে একটু হালকা বিট লবণ দিয়েছি।
সকল উপকরণ ব্লেন্ডার এর মধ্যে দেওয়ার পর হালকা একটু পানি দিয়ে নিয়েছি যাতে সুন্দর ভাবে ব্লান্ড করতে পারি।
এবার সব উপকরণ একসাথে ব্লান্ড করে নিয়েছি আর এভাবে হয়ে গেল আমার " কাঁচা মিঠা আমের জুস" রেসিপি।এবার এই "কাঁচা মিঠা আমের জুস" রেসিপি পরিবেশনের জন্য একটু ডেকোরেশন করে নিয়ে তার একটি ছবি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়। 📎
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি। যেকোনো বিষয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি নিরপেক্ষতা বজায় রাখে।এই জন্য এই কমিউনিটির একজন সদস্য হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি।
বিষয়ঃ- কাঁচা মিঠা আমের জুস।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
মনোযোগের সহিত আমার রেসিপিটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ.......
কাঁচা আমের জুস খেতে আমি খুবই পছন্দ করি।এইতো কিছুদিন আগে আমিও কাঁচা আমের জুস তৈরি করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছিলাম। আপনার তৈরি কাঁচা আমের জুস দেখে মনে হচ্ছে খুব স্বাদ হয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে কাঁচা আমের জুস বানানোর একটি পদ্ধতি উপস্থাপন করার জন্য।
কাঁচা আমের জুস আমার ও অনেক ভালো লাগে এবং যে জিনিসটি আমার ভালো লাগে সেটা আমি আমার বাংলা ব্লগে তুলে ধরে আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি খুব অসাধারণ ভাবে কাঁচামিঠা আমের শরবত বানিয়েছেন। গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা করার জন্য এরকম এক গ্লাস জুস ই যথেষ্ট। আপনি অসাধারণ ভাবে তৈরি করা আমি শিখে নিয়েছি। এভাবে যারা পারে না তারাও শিখে নিতে পারবে। বানানোর প্রক্রিয়া এবং উপস্থাপনা বেশ ভালো ছিল আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু ।
আপনার কাঁচামিঠা আমের জুস খুবই চমৎকার হয়েছে ।আজ বেশ গরম পড়েছে ।আমিও কাঁচামিঠা আমের জুস তৈরি করেছি। এই জুসটি খেতে বেশ ভালোই লাগে ।গরমের সময় তো এটি খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে ।ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে এত সুন্দর মজার একটি জুসের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য।
এই গরমে আমের জুস খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমের জুস তৈরি করেছেন। কাঁচামিঠা আমের জুসের রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই মজার রেসিপি তৈরি করে সকলের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেইসাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য।
কাঁচামিঠা আমের জুস আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কাঁচা মিঠা আম এমনিতেই খেতে অনেক মজা। আপনি সেটাকে জুস বানিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জুস তৈরীর ধাপগুল আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য।
কাঁচা আমের টক-ঝাল জুস আমরা অনেক দেখেছি, কিন্তু এমন ভাবে উপস্থাপন পূর্বে দেখা যায়নি, আপনি আম কেটে সেটাকে দিয়ে পরিবেশন করেছেন, আপনার পরিবেশন করার ধরণটা ইউনিক ছিল আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
আমার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে এজন্য আমার কষ্ট করাটা সার্থক।
জিবে জল আসার মতো একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু আপনি অসাধারন হয়েছে খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়্র প্রতিটা ধাপ উপস্থাপনা করেছেন শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য আপু।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
কাঁচা আমের জুস দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে আপু। যেন গলাটা শুকিয়ে গেছে। এত অসাধারন একটি শরবত তৈরি করে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
উৎসাহ বাড়িয়ে দিয়ে কাজের প্রতি আকর্ষণ করানোর জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
শরবত দেখে আমার দাত শিরশির করে উঠলো। আমি কখনও এমন শরবত খাই নি। তবে বানানোর প্রসেস দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছি একদিন খেয়ে দেখবো কেমন লাগে। তবে একটি কথা বেশী টক শরবত শরীরের জন্য ক্ষতিকর । তবে চিনি দিয়েছেন দেখে মনে হলো ততটা টক হবে না। ভালই তৈরী করেছেন । ট্রাই করবো নিশ্চই। ভাল থাকবেন আপু।
অবশ্যই বাসায় ট্রাই করবেন ভাই, ভালো লাগবে খেতে ধন্যবাদ আপনাকে।
একটু আগেই এই জুসটা খেলাম। আমার অত্যন্ত পছন্দের এই কাঁচা আমের জুস। তবে এই জুসে চিনি, লবণ, মরিচ এর পরিমান পারফেক্ট না হলে খেতে খুব একটা ভালো হয় না।
ঠিক বলেছেন ভাই, এই জুসে চিনি, লবণ, মরিচ পারফেক্ট না হলে খেতে তেমন মজা লাগেনা। অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।