ফটোগ্রাফি পোস্ট | শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মেলার কিছু ফটোগ্রাফি-১।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের বাংলার এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে একটু ব্যতিক্রম ধরনের পোস্ট নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছি।আমার বাংলা ব্লগে মূলত আমরা ইউনিক কিছু পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে থাকি। তাইতো আমি আজ আপনাদের মাঝে "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মেলার কিছু ফটোগ্রাফি-১" নিয়ে হাজির হয়েছি।কিছুদিন আগে ছেলের পরীক্ষা চলছিল। তখনই একটি নোটিশ স্কুলে দেওয়া হল বিজ্ঞান প্রযুক্তির মেলা হবে।আর মেলার অনুষ্ঠানটি বাচ্চাদের পরীক্ষার শেষে হবে।
এখানে এই স্কুলের বাচ্চারা শুধু মেলায় তাদের যে কোন ক্রিটিভিটি গুলো ইচ্ছা করলে তুলে ধরতে পারবে।যে কোনো ছাত্র ছাত্রী এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় ব্যতিক্রম কিছু তুলে ধরতে পারলে তার জন্য শ্রেষ্ঠ পুরস্কারও রয়েছে।
তবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা শুধু এখানে অংশ গ্রহণ করতে পারবে। আমার ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে ছোট মানুষ তাই তেমন অভিজ্ঞতা নেই তার কিন্তু দেখার আগ্রহ ও জানার আগ্রহ ছিল প্রচুর।
তাইতো মেলা শুরু হওয়ার আগেই আমাকে বলেছিল আমি কিন্তু মেলার দিন বাসায় দেরি করে যাব কারণ পুরো মেলা ঘুরে ঘুরে দেখব ভিডিও করব এবং ছবি উঠাবো। রীতিমতো পরীক্ষা শেষ হয়ে মেলার দিনও চলে আসছে।
তাই ছেলের কথা আর ফেলতে পারলাম না ছেলের সঙ্গে আমিও পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে দেখলাম এবং প্রতিটি প্রজেক্ট এবং বাচ্চাদের কাছ থেকে সেই প্রজেক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত শুনলাম।বাচ্চাদের এত জ্ঞান ও ধারণা ছিল প্রত্যেকটি বিষয়ে যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। প্রত্যেকটি প্রজেক্ট ওরা এত নিখুঁতভাবে তৈরি করেছে যা আসলেই প্রশংসার দাবিদার।
তবে এই মেলায় অংশ গ্রহণ করেছে বেশিরভাগ তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণী ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রী। স্কুল ক্যাম্পাসের ভিতরে বাইরের কোন লোকজনের ঢোকার ব্যবস্থা নেই। স্কুলের বাচ্চাদের হাতে একটি করে কার্ড দেওয়া হয়েছিল এবং সেই কার্ড অনুযায়ী তাদের অভিভাবকেরা ঢুকতে পেরেছিল। এক কথায় বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজের নিয়ম-কানুন ও শৃঙ্খলা অতুলনীয়।
এই স্কুলে যেমন লেখাপড়া হয় তেমনি অন্য বিষয়েও অনেক ধারণা থাকতে হয়।বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা ছেলে স্কুল শেষ হওয়ার পর ছেলেকে নিয়ে ঘুরলাম। ছেলেও অনেক আনন্দ পেয়েছে আমারও ভালো লেগেছে।বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্রছাত্রীরা তাদের মেধা দিয়ে এত সুন্দর ভাবে সবকিছু তৈরি করেছে যা দেখে তাদের শিক্ষকরাই হতবাক হয়ে গেছে।
ছাত্র-ছাত্রীরা এত নিখুঁতভাবে সবকিছু আয়োজন করেছে এজন্য প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে একটি করে সার্টিফিকেট ও একটি মেডেল প্রদান করা হয়েছে। সকাল ৯টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত সেই ছাত্র ছাত্রীরা সেখানে অবস্থানরত ছিল।তাদের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ সবকিছুর ব্যবস্থা করেছেন।সেই "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মেলার কিছু ফটোগ্রাফি-১" আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি।
চলুন আর কথা না বাড়িবে আজকের মত এখানে শেষ করছি এরপর আবারো পরবর্তীপর্ব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব খুব শীঘ্রই।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ফটোগ্রাফি পোস্ট "শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মেলার কিছু ফটোগ্রাফি-১" ।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আমাদের এখানে বিজ্ঞান মেলা হয়। আমরাও একবার প্রথম স্থান অধিকার করেছিলাম বিজ্ঞান মেলায়। ওখানে গেলে বোঝা যায় যে মানুষ কতটা দক্ষতার অধিকারী। কত সামান্য জিনিস দিয়ে কত সুন্দর দক্ষতা সম্পন্ন জিনিস তৈরি করে । প্রথম ফটোগ্রাফিতে আমার কাছে অনেক ইউনিক ও ভালো লেগেছে। কি সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করেছে। আসলে প্রশংসা না করে পারলাম না। ভীষণমুক্ত নদী ও নদীর তীরবর্তী অঞ্চল কি সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।আদর্শ রাস্তাটি আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি ছিল অসাধারণ
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এরকম প্রজেক্ট নিয়ে মেলা হলে বাচ্চাদের ভিতরে ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ পায়। বাচ্চারা তো খুব সুন্দর সুন্দর বৈজ্ঞানিক জিনিস তৈরি করেছে। ছোট ছোট বাচ্চারা এত সুন্দর জিনিস তৈরি করলে দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনিও খুব চমৎকার করে সব জিনিসের ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।