ছোট গল্প |||| একজন করিম মিয়া পর্ব-০৩ ।
হ্যালো বন্ধুরা সকলে কেমন আছেন? আশা রাখি সকলেই ভাল আছেন আর আমিও আপনাদের দোয়ায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার করুণাই ভালো আছি।
Source
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার গল্পের তৃতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হতে চলেছি। সকলের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গেছে। তাই আপনাদের মাঝে করিম মিয়ার পরবর্তী কাহিনীটি লেখার চেষ্টা করছি।আশা করি এই পর্বটিও আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে করিম মিয়ার পরবর্তী জীবন কাহিনী পড়া যাক।
করিম মিয়া এই সোনার বল টি পেয়ে অনেক আনন্দে সময় পার করছে। করিম মিয়া তার স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে স্ত্রীর হ শখ শুনতে চায় তখন তার স্ত্রী বলে আমার খুব শখ একটি অনেক বড় দালান কোটা থাকবে আর সেই দালান কোটায় আমাদের মহারাজাকে নিয়ে আমরা অনেক আনন্দর মধ্য দিয়ে সময় কাটাবো।করিম মিয়া তার স্ত্রীর এই শখের কথা শুনে অনেক আনন্দিত কারণ করিম মিয়ারও শখ এরকম একটি দালানকোটা থাকবে যেখানে অনেক আনন্দে পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করবে এবং পাড়া-প্রতিবেশী তাকে অনেক ধনী বলে আখ্যায়িত করবে।তখন করিম মিয়া তার মা-বোনকে বলে যে আমরা এরকম একটি দালানকোটা করতে চাই। তখন করিম মিয়ার মা বলে দালান কোটা যে করবি বাবা এত টাকা পয়সা কোথায় পাবি তুই।
আর আমার তো এমন কোন সম্বল নেই যেটা বিক্রি করে তোকে আমি দিতে পারবো।তখন করিম মিয়া বলে টাকা পয়সা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই মা। আমি গায়ে গতরে খেঠেই একটি দালান কোটা করবো তুমি শুধু আমার জন্য দোয়া কর।তখন করিম মিয়ার মা দুই নয়নের পানি ছেড়ে দিয়ে বলে হে আল্লাহ তুমি আমার ছেলের মনের আশা পূর্ণ করে দাও। আর আমার ছেলে যেন অনেক বড় দালান কোটার একটি মালিক হতে পারে সেই টাকা পয়সা তার কামাই করার শক্তি ও ধৈর্য দাও।
এবার করিম মিয়া সেই সোনার বল থেকে একটু একটু করে সোনা নিয়ে বাজারে বিক্রি করে টাকা নিয়ে আসে। এভাবে দিনের পর দিন সে সোনার বল থেকে সোনা কেটে কেটে বিক্রি করে এবং টাকা জমানোর কাজটি তার স্ত্রী করে।এভাবে সে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে বিক্রি করে এবং বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন কথা বলে যে এই সোনা তার বিভিন্ন ভাবে সংগ্রহে ছিল।হঠাৎ একদিন তার স্ত্রী বলে এখন আমাদের অনেক টাকা সংগ্রহ হয়ে গেছে ইচ্ছা করলে তুমি এখন দালানকোটার কাজ শুরু করতে পারো।এই কথা শুনে করিম মিয়া দালান কোটা তৈরির কাজ করবে ভেবে গ্রামের মন্ডল সাহেবের সঙ্গে একটু পরামর্শ করার জন্য বসে এবং বলে আমি একটি অনেক বড় দালান কোটা করতে চাই তখন মন্ডল সাহেব করিম মিয়াকে বলে তুমি দালানকোটা তৈরি করার এতো টাকা পয়সা কোথায় পাবে?তখন করিম মিয়া বলে মন্ডল সাহেব টাকা-পয়সা নিয়ে ভাবনার কিছু নেই আল্লাহ চাইলে আমি টাকা পয়সা ব্যবস্থা করতে পারবো ইন-সা-আল্লাহ।
এবার করিম মিয়া ইট বালু সিমেন্ট কেনার ব্যবস্থা করে এবং ইট বালু সেমেন্ট কেনার জন্য কিছু লোকজনকে টাকা-পয়সা দিয়ে দিলে।এবার শুরু হল করিম মিয়ার স্বপ্নপূরণের দিন। আর এই দালানকোটা তৈরীর জন্য শহর থেকে মিস্ত্রি নিয়ে আসা হলো।যাতে দালান কোঠাটি অনেক সুন্দর এবং দর্শনীয় হয়। আর আশে পাশের দশ গ্রাম থেকে যেন লোক জন তার দালান কোটা দেখার জন্য আসে।এজন্য একজন ইঞ্জিনিয়ার কে নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে করিম মিয়া বলল তুমি এমন একটি দালানকোটা তৈরি করে দাও আমাকে যেন অত্র এলাকায় এরকম দালান কোটা আর কেউ করেনি।তখন ইঞ্জিনিয়ার করিম মিয়াকে বলল ঠিক আছে।
আপনার দালানকোটা ব্যতিক্রম একটি করে দিব তবে সময় লাগবে একটু বেশি এবং মিস্ত্রি খরচ ও আনুষঙ্গিক খরচ হবে একটু বেশি।তখন করিম মিয়া বলে টাকা পয়সা নিয়ে ভাবার দরকার নেই।টাকা পয়সা যেভাবে হোক আমি আপনাকে ব্যবস্থা করে দিব কিন্তু আমার স্বপ্নটি পূর্ণ করে দিতে হবে আপনাকে।এবার করিম মিয়ার দালান কোটার কাজ শুরু হল।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "একজন করিম মিয়া পর্ব-০৩'।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
করিম মিয়ার এই গল্পটার আগের পর্ব আমার পড়া হয়েছিল। করিম মিয়া তো দেখছি এখন বড় একটা দালানকোটা করার চিন্তা ভাবনা করেছে। যদিও সবাই তাকে জিজ্ঞেস করছিল এত টাকা কোথায় পাবে। কিন্তু তার কাছে যে এরকম একটা জিনিস রয়েছে সেটা তো কেউ জানত না। যাইহোক সবশেষে তাহলে করিম মিয়ার দালানকোটার কাজ শুরু হয়েছে। একেবারে শেষ পর্যায়ে কি হয় এটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
করিম মিয়া দেখছি স্বর্ণের বলটা পাওয়ার পর অনেক বেশি বড়লোক হয়ে গিয়েছে, যদিও এই ব্যাপারটা কেউই জানে না। তবে লোকটার বুদ্ধি রয়েছে এটা বলতে হয়। কারণ সেই বলটা একসাথে বিক্রি না করে, একটু একটু করে বিক্রি করে টাকা জমাচ্ছে। আর দালানকোটা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালো করেছে। এখন সে নিজের জন্য একটা দালানকোঠা করতে পারবে কিনা এটাই দেখার অপেক্ষা। আশা করছি পরবর্তী পরবর্তী পর্ব শীঘ্রই সবার মাঝে ভাগ করে নিবেন আপনি।
মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
যদিও এই গল্পের আমি আগের পর্বগুলো পড়িনি তবে এই পর্ব পড়ে বেশ ভালো লাগলো। সময় পেলে আগের পর্বগুলো পড়ে নিব। এরপর বাড়ি বানানোর কাজ শুরু হওয়ার পর কি হল জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি আপু।
অবশ্যই আপু খুব তাড়াতাড়ি পরবর্তী পর্ব আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব।