ছোট গল্প ||| রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছ পর্ব-০৬ ||| Original story by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আমার বালা বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সুন্দরভাবে জীবন অতিবাহিত করছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ও মহান সৃষ্টিকর্তা রহমতে পরিবারসহ সুস্থ আছি।
আমি আজকে আবারো আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প "রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছ পর্ব-০৬" নিয়ে হাজির হলাম।আগের পর্বগুলোতে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগার কারণেই গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় আজকের পর্বটি লেখলাম।জানি না এই পর্বটি আপনাদের কাছে কেমন লাগবে? তবে আশা রাখি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।এভাবে সব সময় আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেলে কাজ করার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে যায়।তাই আশা করব সকলে গল্পটি পড়ে আপনাদের সুচিন্তিত মতামত দিয়ে কাজ করাতে সহযোগিতা করবেন।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে গল্পে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
কিন্তু এ কি অবস্থা হয়ে গেল। সালেহা ঘর থেকে বের না হতেই শূন্যের উপর দিয়ে কোথায় চলে গেল। ঘরের গেট থেকে সামান্য একটু নেমে আর সালেহাকে খুঁজে পাওয়া গেল না। তখন পরিবারের সবাই বের হলো সালেহা কে খোঁজার জন্য। চারদিকের তন্নবিতন্ন করে খুঁজতে লাগলো। কোথাও পাওয়া গেল না ছালেহাকে।বড় বড় লাঠি টর্চ লাইট নিয়ে চারদিকে সবাই সবাইকে সতর্ক করলো পাইলে যেন একটা খবর দেয়।যখন কেউ সালেহাতে পাচ্ছিল না তখন নিরাশ হয়ে সবাই ঘরে ফিরছিল সেই শ্যামলা গাছের নিচ দিয়ে।তখন গাছ থেকে কেমন একটা গানের আওয়াজ পাওয়া গেল। চারদিকে সব ছেলে মানুষগুলো একত্রে হল।
সবাই সেই শ্যামলা গাছের দিকে টার্গেট করে ছিল সেই শ্যামলা গাছে কিছু একটা আছে। রাত তখন প্রায় একটার মত। চার দিকটা অন্ধকার আশেপাশে কোন লোকজন নেই এই ব্যক্তিগুলো ছাড়া। সেই পাঁচ ছয় জন মিলে শ্যামলা গাছের টর্চ ধরে দেখে সালেহা গাছের একদম উপরের মাথায় শূন্যের উপরে দাঁড়িয়ে আছে। হাত পা দিয়ে কোন গাছের ডাল জড়িয়ে ধরেনি।তারা সবাই ভয় পেয়ে গেল তার এই ভয়ংকর অবস্থা দেখে। সবথেকে ভয় তাদের মনে এত উঁচু ডালে ও এইভাবে দাঁড়িয়ে আছে হঠাৎ যদি পড়ে যায় তাহলে তো হাত পা ভেঙ্গে যাবে। যখন ভূত তার ওপর থেকে ভর করা ছাড়বে তখন তো সে পড়ে যাবে। তাই সবাই রীতিমতো গাছের পাতা খর দিয়ে চার সাইডটা একটু উঁচু করে দিল যেন পড়ে গেলেও ব্যথা না পায়।
তাদের কাজ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই। সালেহা গাছের সেই উঁচু জায়গা থেকে পড়ে গেল। তারপর সালেহাকে ধরাধরি করে সবাই বাড়ির ভেতরে নিয়ে আসে। তাকে রাতে খাবার খাওয়াইয়া তাকে ওষুধ খাওয়ায় দেওয়া হয়। পরদিন সকালে সালেহা কোমরের ব্যথা সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না শুধু বলছিল আমার কি হইছে কোমরে ব্যথা করছে কেন।এরপর ডাক্তার দেখিয়ে সালেহাকে ঔষধ খাওয়ানো হয়।বড় বাঁচা বেঁচে গেছে সালেহা। এভাবেই চলতে থাকে সালেহার জীবন।
এক বছর দুই বছর তিন চার বছর চলে যাওয়ার পর সালেহার আর কখনো সেই ভূত ভর করতে পারেনি। কারণ তাকে সেই পরিবারের সবাই কিছু রক্ষাকবজ দিয়েছিল।সালেহা কে সব সময় চোখে চোখে রাখত যে তার গলার সেই তাবিজটি যেন খুলে না রাখে। সেই পরিবারের গৃহকর্তা যখনই সালেহা তাবিজ খুলতো তখনই সাথে সাথে ওর গলায় তাবিজ আবার বেধে দিত।আর এজন্যই হয়তো সালেহা সেই অত্যাচারে ভূতের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
এরকম ভৌতিক গল্প গুলো পড়তে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। আর সুযোগ পেলেই কিন্তু পড়া হয়। যদিও আগের সব পর্বগুলো পড়া হয়নি আজকের পর্বটা পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু।ছেলেগুলো মিলে বেশ ভালোই বুদ্ধি করেছে।খড় বিছিয়ে দিয়েছিল যাতে সালেহা পড়ে গেলেও ব্যাথা না পায়।যাই হোক খুব মজা লাগলো আপনার আজকের লেখা গল্পটি পড়ে ।
আমার গল্পটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
এই ধরনের ভূতুরে গল্প পড়তে যেমন ভয় লাগে তেমন আবার অনেক বেশি ভালো লাগে। আজ আপনি খুবই সুন্দরভাবে গল্পটি উপস্থাপন করেছেন।যা পড়ে ভীষণ ভয়ও পেলাম এবং দারুন ভাবে গল্পটি উপভোগ করলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমার গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।