আমার অনুভূতি ||| শ্রদ্ধাবোধ ও মানবতা।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ ও বাংলার এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি নতুন পোস্ট নিয়ে।আপনারা জানেন আমার কবিতা লিখতে অনেক ভালো লাগে এবং কবিতার পাশাপাশি কিছু বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।কিন্তু আজ কোন গল্প শেয়ার করবো না। আজ সমাজে মানুষগুলোর শ্রদ্ধা ও মানবতা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তার কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
প্রথমে শ্রদ্ধার কথায় আসা যাক।আজকাল শ্রদ্ধা,মর্যাদা ও সাম্মান করতে অনেকেই ভুলে যায়।আমরা নিজেকে নিয়ে খুব গৌরবে থাকি এবং নিজেকে অনেক বড় মনে করি যার কারণে এই সমস্যা।মন বলে একটি ব্যাপার আছে। এই মন থেকে আপনি যার সাথে যেমন আচরণ করবেন ঠিক সেই ব্যবহারটি আপনার জন্য অপেক্ষা করবে অন্য একটি দিনের জন্য।আজকাল এমন একটি সময় আমাদের দেখতে হচ্ছে যেখানে বড়দের শ্রদ্ধাবোধ বড়দের সম্মান করা এখনকার সময়ে বেশিরভাগ মানুষ ভুলেই গেছে।অথচ একটি সময় ছিল যে একটি বড় মানুষ পাশ দিয়ে হেঁটে গেলে তাকে কত সম্মানের চোখে দেখা হতো এবং শ্রদ্ধা করা হতো।বরং সেই সম্মানী ব্যক্তিটিকে সম্মান করবে তো দূরের কথা তার প্রতিটি কথায় প্রতিবাদ করে তাকে কিভাবে ছোট করা যায় সেই চেষ্টায় করে এখনকার যুগে।
আসলে সমাজে মানুষ আজ কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে কি বা করছে যদি একটু ঠান্ডা মস্তিষ্কে চিন্তা করত তাহলে একটু হলেও অনুধাবন করতে পারবে যে আমি কার সঙ্গে কেমন আচরণ করছি আমার দ্বারা কার সম্মানহানি হচ্ছে।কাকে আমি অপমান করছি। এই পরিস্থিতিতে আমিও একদিন পড়তে পারি। এই সামান্য বিবেক টুকু যার মাথায় কাজ করবে সে বড়দের সম্মান শ্রদ্ধা করতে পিছ পা হবে না। তবে হয়তোবা দুই একজনের জন্য এখনো এই দুনিয়াটা টিকে আছে। আমাদের সমাজে বেশির ভাগ মানুষ নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
তবে সবার উচিত বড়দের শ্রদ্ধা করা ও সম্মান দেওয়া। আমাদের মানবতা আজ ঘরের দোয়ার থেকে হয়তো বা চলে গেছে।কারণ এই মানবতা যার মাঝে আছে সে কখনো অন্যায় অবিচার কাজে লিপ্ত হতে পারবে না। কিন্তু সমাজে প্রতিটি ক্ষেত্রে চলছে অবিচারের পদক্ষেপ। আমরা সবাই চাই সুষ্ঠু সুশৃংখল একটি আদর্শ সমাজ কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আজ পেয়ে যাচ্ছি অবিচার বিশৃঙ্খলাময় একটি মানবতার সমাজ।
এমনও কিছু আছে যা খেয়াল করলে দেখা যায় আপনার পার্শ্ববর্তী না খেয়ে আছে তার ঘরে রান্নার চাল টুকু নেই কিন্তু আপনি দিব্যি তিন বেলা খাচ্ছেন এবং খাবার নষ্ট করছেন কিন্তু তাদের কোন খবর রাখছেন না। তাহলে আমাদের মানবতা কতটুকু। আমরা যে সমাজে বসবাস করছি আমাদের পরিবার, সংসার,কিন্তু পার্শ্ববর্তী যে পরিবারটি থাকে তারও খোঁজ খবর নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। নিজেই শুধু সুখে থাকলাম এটাকে প্রকৃত সুখ বলে না।অন্যের কষ্টটা নিজের মাঝে শেয়ার করে এবং ভাগাভাগি করে সেটার সমাধান দেওয়াই প্রকৃত সুখ।এতে থাকবেন আপনি সুখী ও পরিপূর্ণ,তেমনি পাশের ব্যক্তিটিও হবে পরিপূর্ণ।
আজ যাচ্ছি অন্য কোন দিন হাজির হব আবার নতুন কোন ব্লগ নিয়ে।সে পর্যন্ত আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- আমার অনুভূতি "শ্রদ্ধাবোধ ও মানবতা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আসলে আপু বিশ্ব রাষ্ট্র ব্যবস্থা বলেন আর সমাজের কথা বলেন, মানবতা কোথাও নেই। যার কারণে এরকম দুর্দশা এবং এরকম অমানবিক কর্মকাণ্ড ঘটছে। নিজেরা দিব্যি সুখে আছি কিন্তু আশেপাশের লোক খাচ্ছে কিনা, সে কি শীতের জামা কাপড় কিনতে পেরেছে কিনা, এরকম চিন্তা ভাবনা আসলে আমাদের কারোই নেই। এ কারণেই আমরা আসলে মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পেরেছি কিনা সেটা সন্দেহ থেকে যায়। শুধু নিজে সুখে থাকার মধ্যে সার্থকতা নেই বরং অন্যকে সুখে রাখার মাঝেও সার্থকতা ও মানবতার পরিচয় ঘটে। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে সুন্দর একটি বিষয় শেয়ার করার জন্য।
গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপু শ্রদ্ধাবোধ এবং মানবতাবোধ এই দুটি শব্দ দিনদিন হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের সমাজ থেকে। একসময় দেখতাম দূর থেকে মুরুব্বিদের দেখলে মাথা নিচু করে সালাম দিয়ে চলে যেতো ছোটরা। তারপর মুরুব্বিরা যেনো না দেখে, সেজন্য আড়াল করে সিগারেট খেতো। আর এখন তো এসবের কিছুই দেখা যায় না। আরও বলে যে নিজের টাকা দিয়ে কিনে সিগারেট খাচ্ছি, কে কি বলবে আমাকে। আর মানবতাবোধ তো তো দেখাই যায় না এখন। একজন মানুষ বিপদে পরলে আগে দেখতাম সবাই এগিয়ে যেতো, আর এখন উপকার করা তো দূরে থাকুক, লাইভ ভিডিও করা শুরু করে। সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে সেটা বলা ই যায়। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।