আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪১ || শেয়ার করো তোমার ইউনিক পকোড়া রেসিপি || কলার মোচার পাকোড়া।
হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা।আশা করছি সবাই ভালো আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ৪১ || শেয়ার করো তোমার ইউনিক পকোড়া রেসিপি তে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি।এবারের প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল পাকোড়া। বর্তমান সময়টা বৃষ্টি চলছে। আকাশেরও মন খারাপ মেঘে ঢেকে আছে পুরো নীলটি।কখনো প্রচন্ড হেসে আনন্দের উচ্ছ্বাস জানাচ্ছে সবাইকে। আবার কখনো প্রচন্ড অভিমানে তার দু'চোখ ঝরাচ্ছে। এইতো প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু আর যাই বলেন না কেন বৃষ্টির দিন কিন্তু খারাপ লাগে না। বৃষ্টি আমার অনেক ভালো লাগে ভিজতে ও দেখতে। আর বৃষ্টির দিন খিচুড়ি ও ভাঁজাপোড়া খাবার অতুলনীয়।
এবার আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতায় পকোড়া প্রতিযোগিতায় অনেক নতুন কিছু রেসিপি দেখতে পাবো এবং শিখে নিতে পারবো।আমার বাংলা ব্লগের প্রতিযোগিতায় আমি প্রায়ই অংশগ্রহণ করে থাকি। কারণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করতে পারলে ভালো লাগে না।তাইতো অনেক ব্যস্তর মাঝেও চেষ্টা করি আমার বাংলা ব্লগের সকল নিয়ম মেনে চলতে। আমি আজ আপনাদের মাঝে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার রেসিপির নাম "কলার মোচার পাকোড়া"। তবে কলার মোচা সম্পর্কে আমার তেমন অভিজ্ঞতা ছিল না। সেদিন কলার মোচার ভিটামিন ও গুনাগুন সম্পর্কে জেনে মনে হল এতদিন এই কলার মোচা মিস করেছি।তাইতো এই ভিটামিন যুক্ত ঝাল ঝাল মুচমুচে "কলার মোচার পকোড়া" আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হয়েছি । চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১। কলার মোচা।
২। ডিম।
৩। বেসন।
৪। পেঁয়াজ।
৫। কাঁচা মরিচ।
৬। রসুন।
৭। আদা বাটা।
৮। জিরা গুড়ো।
৯। হলুদ গুঁড়ো।
১০। গোলমরিচের গুঁড়ো।
১১। লবণ।
১২। তৈল।
প্রথমে কলার মোচা থেকে ফুলগুলো বের করে নিয়েছি।
এবার সেই মোচার ফুলগুলোর ভিতরের বড় লম্বা স্পিকটি ফেলে দিয়েছি এবং সাদা অংশটি ফেলে দিয়েছি। কারণ এ দুটি অংশ সিদ্ধ হতে চায় না।
এবার কলার মোচার ফুলগুলো একটি একটি করে পাপড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়েছি এবং লাস্টের কচি মোচাটুকু সম্পূর্ণ নিয়েছি।
এবার কলার মোচা গুলো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
প্রেসার কুকারে কলার মোচা গুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি।
সিদ্ধ করা মোচাগুলো একটি ছাঁকনিতে পানি ঝড়িয়ে নিয়েছি।
সিদ্ধ করা মোচা গুলো হাতের সাহায্যে চটকিয়ে নরম করে নিয়েছি।
কাঁচা মরিচের বোটা ছাড়িয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে রসুন বেটে নিয়েছি।
আদা পেস্ট করে নিয়েছি।
এবার চটকিয়ে নেওয়া কলার মোচর ভিতরে পেঁয়াজের কুৃঁচি, মরিচ কুঁচি, জিরা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, রসুন বাটা, আদা বাটা , গোলমরিচের গুঁড়ো, বেসন, ডিম এবং লবণ দিয়ে সমস্ত উপকরণ ভালো করে মেখে নিয়েছি।
এবার কড়াইয়ে তৈল দিয়ে হালকা আচে আমার কলার মোচার পাকোড়া গুলো মুচমুচে করে ভেঁজে নিলাম। তবে অনেক সময় ধরে ভেঁজে নিতে হবে এবং হালকা আচে।এভাবে কিছুক্ষণ ভেঁজে নেওয়ার পর হয় গেল আমার "কলার মোচার পকোড়া" রেসিপি।এবার এই "কলার মোচার পাকোড়া" রেসিপিটি পরিবেশনের জন্য রেডি করে তার একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "কলার মোচার পাকোড়া"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
প্রথমেই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি খুবই ইউনিক পাকোড়া রেসিপি নিয়ে এই প্রতিযোগিতা টিকে অংশগ্রহণ করেছেন। পাকোড়া যদি গরম গরম খাওয়া যায় তখন অনেক বেশি ভালো লাগে খেতে। কলার মোচার পাকোড়ার নাম আজকে প্রথমবার শুনেছি। আর এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নতুন নতুন পাকোড়া দেখতে পাবো খুব ভালো লাগবে।
অনেক সুন্দর গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আশা করি অনেক মজার মজার পাকোড়া রেসিপি দেখতে পাবো এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই খুব সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে আপনি প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করলেন। কলার মোচার পাকোড়া কখনো তৈরি করা খাওয়া হয়নি। আশা করি আপনার তৈরি করা কলার মোচার পাকোড়া অনেক মজার হবে। ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ইউনিক পোকোড়া রেসিপি দেখেই অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি করলেন।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি ভাই খেতে অনেক মজাদার এবং টেস্টি ছিল।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অভিনন্দন আপনাকে। কলার মোচার পাকোড়া কখনো খাইনি সম্পুর্ন ইউনিক আইডিয়া ছিলো। তবে পুষ্টিকর খাবার বটে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ মজা হবে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপু কলার মোচা দিয়ে যে পাকোড়া তৈরি করা যায় তাতো জানা ছিল না। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য খুব ইউনিক পাকোড়া রেসিপি বাছাই করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আর তাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ যেন সফল হয় এই প্রত্যাশা করছি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
কলার মোচার উপকারিতা কিন্তু অনেক বেশি রয়েছে। আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। আর এই প্রতিযোগিতা উপলক্ষে খুবই ইউনিট পাকোড়া রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন। অনেক বেশি সুন্দর ছিল আপনার তৈরি করা কলার মোছার এই ইউনিট পাকোড়া রেসিপিটা। আমার তো মনে হচ্ছে খেতেও অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। এই পাকোড়া আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি, যার কারণে একটু বেশি ভালো লোভ লেগে গিয়েছে। উপস্থাপনা দেখে নতুন একটা রেসিপি শিখে নিতে পারলাম।
আপনি সবসময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন যেটা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। জি আপু পাকোড়াটি অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু ছিল।
বর্ষাকালীন সময়ে বৃষ্টি না হলে বর্ষাকালীন সৌন্দর্যের দৃশ্য ফুটে উঠে না । সেজন্য প্রকৃতির এই ক্রমবর্ধমান সৌন্দর্য সবসময় ফুটে উঠুক সেটাই প্রত্যাশা করি ।তাছাড়া আপনি কলার মোচা দিয়ে দারুন পকোড়া রেসিপি করেছেন। আসলে যে কোন ধরনের রেসিপি তৈরি করলে সেই ধরনের রেসিপি দেখতে এবং খেতে দুটোই অনেক ভালো লাগে সে অনুভূতি থাকে অন্যরকম।
খুব সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
কলার মোচার পাকোড়া খেতে আমার অনেক ভালো লাগে আপু। আপনার রেসিপিটা দেখে জিভে একেবারে জল চলে এসেছে। রেসিপিটা দেখে লোভ তো সামলাতেই পারছিনা। এত সুন্দর একটি রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমার রেসিপি আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
প্রথমেই আপনাকে কনটেস্ট ৪১ এর জন্য শুভকামনা জানাই আপু।খুব সুন্দর এবং ইউনিক একটি রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে।কলার মোচার পাকোড়া বেশ সুন্দর লাগছে দেখতে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপু।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
প্রথমে আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন। আপনার পাকুড়া রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। প্রতিটি ধাপ অনেক দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা শহিত তৈরি করেছেন।শেয়ার করো তোমার ইউনিক পকোড়া রেসিপি শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার রেসিপিটি আপনার ভাল লেগেছে একটি আমার জন্য বড় পাওয়া।