ছোট গল্প |||| বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর্ব শেষ পর্ব।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যদের কে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা।আমি মনে করি আমার পরিবারের সকল সদস্য তাদের পরিবার নিয়ে অনেক সুন্দর এবং কোয়ালিটি ফুল সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে পরিবারসহ অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি।

IMG_20230829_230415.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার ছোট্ট গল্পের শেষ অংশ নিয়ে হাজির হতে চলেছি।জানিনা প্রথম পর্ব আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তবে আপনাদের সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমার কাছে গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গেছে। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে গল্পের শেষ অংশটিতে কি ঘটেছে সে বিষয়টি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা যাক।

এ পৃথিবীতে যদি কেউ সঠিকভাবে ভালোবাসে সেটা একমাত্র বাবা মায়ের ভালোবাসাই।এদিকে মিশু ও তার মা-বাবা সকলে মিলে গেলো তার আন্টির বাসায় ঘুরতে।আন্টির বাসায় পৌঁছেই মিশু হৃদয় কে ফোন দিল।যেন ঠিকভাবে থাকে এবং খাওয়া-দাওয়া করে । একদিন আন্টির বাসায় থাকা অবস্থায় হৃদয় তার আন্টিকে বললো আন্টি আমি পড়ালেখার কারণে যেতে পারলাম না। আন্টি তুমি মন খারাপ করোনা। আমি মানুষের মতো মানুষ হয়ে তোমাদেরকে নিয়ে সব জায়গায় ঘুরবো।পরের দিন আবারো ফোন দিল হৃদয় তার মা বোনের সঙ্গে কথা বললো।

কিন্তু তৃতীয় দিন আর হৃদয়ের ফোনে ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এভাবে মিশু তারপরের দিনও ফোন দিল হৃদয়কে পাওয়া গেল না।ওরা ভেবেছিল হয়তো হৃদয় পড়ালেখায় ব্যস্ত যার কারণে ফোনটি সাইলেন্ট করে রেখেছে। আশেপাশের লোকজনও দেখতে পেল যে হৃদয় বাসা থেকে বের হচ্ছে না। তারপর মিশু ও তার মায়ের মন আর টিকলো না তারা আবার বাসায় ফিরলো। বাসায় এসে নক করছে কিন্তু বাসার কেউ খুলছে না ভিতর থেকে লাগানো।

হৃদয় হৃদয় বলে চিৎকার করছে কিন্তু হৃদয় কিছুতেই শুনতে পাচ্ছে না। সেখানেই মিশুর মা সেন্সলেস হয়ে গিয়েছে। তারপর আশেপাশের অনেক লোকজন এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকলো এবং কোথাও হৃদয় কে দেখতে পেল না।বাথরুমের দরজা ছিল ভিতর থেকে লাগানো।সবাই মিলে সেই বাথরুমের দরজাটা ভেঙে ফেললো।ভেঙ্গে দেখল সেখানে হৃদয়ের লাশ।দু-তিন দিন হল সেই লাশটি বাথরুমে ছিল।

তার বোন বাবা-মা দেখে চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো। হৃদয়ের মা ও বোন বারবার সেন্সলেস হয়ে যাচ্ছিল। হৃদয়ের বাবা ও মা বারবার আকুতি কণ্ঠে বলতে লাগলো আমি কেন ঘুরতে গেলাম আমার ছেলেকে একা রেখে।মূলত হৃদয়ের ব্রেন স্ট্রোক করেছিলো।কেউ কোথাও গেলে কাউকে একা রাখা ঠিক না বা একা থাকা ঠিক না। আমাদের জীবনে মৃত্যু চিরস্থায়ী সত্য। এটা আমাদের মনে প্রাণে বিশ্বাস করতে হবে এবং কার মৃত্যু কখন আসবে আমরা কেউ বলতে পারি না।

তবে এই মৃত্যুর স্বাদ আমাদের সবাইকে গ্রহণ করতে হবে একদিন না একদিন। কারণ আমরা এসেছি একা,যাবো একা মাত্র কদিনের জন্য এই দুনিয়ায় এসেছি। জানিনা আমার এই গল্পটি আপনাদের কেমন লাগলো তা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।আজ যাচ্ছি আবার আসবো নতুন কোন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।

বিষয়ঃ- আমার অভিজ্ঞতার আলোকে "বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর্ব শেষ পর্ব"।

কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।

আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt1rDaeRdtDvsXGmDbuRg1s1soomTEddbTFxfMMYzob4oRFK8fTZQyYP8LbQ4tbMTAd2enV3Wq9Ze3N8TTU2.png

RGgukq5E6HBM2jscGd4Sszpv94XxHH2uqxMY9z21vaqHt2Y5TDdsq2jxH6K8XrRyaAuAAmuFrnZjeEavWhQce5ZGYR7NQ9oPEQ69EvowoXEixWtToLKBj9CMJTmEfWv.png

Logo.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjMLWAPDc8TQfbQMpevJaRM8b853ASfY3Fy59zPDyE89RAL2BFqLiv9bv5yE4...PPf9WUWkTPCzmfjeHWX7j87gNvY36XYQpYX3R6mhKmC2eWKFyzdMBMYmXsTy6WjxNHTpR6e3HVLQajeKf55MBmP5XCLxiWnEgJA6cyp4NQD5MEsACG9iJKFfbj.gif

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1Wagp...Lv2At2mGmrfEMg6f1U32Fbx5AMXoYvtwxPoGN64iEBA4Rv1YhRRuUftAwRmKthwLZXLSTwWxtFD7Sj1QyBBErTgPny6vsjAKSJvXy9ovR9TDNhx7vqPZQ8nKqg.png

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbaqqWL4b5UwttE.png

Sort:  
 last year 

প্রথম পর্ব পড়ে ধারণা করেছিলাম হৃদয়ের সাথে খারাপ কিছু ঘটেছে মনে হচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা আমি নিজেও দেখেছিলাম বাস্তবে। বাসায় একা ছিলো এবং স্ট্রোক করে মারা যাওয়ার ২দিন পর বাসা থেকে লাশ বের করা হয়। এই ধরনের ঘটনা শুনলে মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। আসলেই বাসায় একা থাকা ঠিক না। যাইহোক হৃদয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

 last year 

জি ভাই সবাইকে সতর্ক করার জন্য এই গল্পটি লেখা যাতে একা একা কেউ কখনো বাসায় না থাকে।

 last year 

আপু এর আগের পর্বগুলো পড়া হয়নি কিন্তু শেষ পর্ব পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন কাউকে একা রেখে যাওয়া কখনো ঠিক না। কারণ কখন কার জীবনে কোন বিপদ ঘটে যায় কেউ জানেনা। যদি হৃদয়ের বাবা মা তাকে একা রেখে না যেতো তাহলে হয়তো তাকে হাসপাতালে নিতে পারতো। হয়তো হৃদয়ের ভাগ্যে এভাবেই মৃত্যু লেখা ছিল। দুই দিনের এই পৃথিবী ছেড়ে সবাইকেই একদিন যেতে হবে।

 last year 

এটি ঠিক বলেছেন আপু, যার ভাগ্যে যেটি লেখা আছে সেটি ঘটবেই।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59378.58
ETH 2646.25
USDT 1.00
SBD 2.46