ভয়ানক ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ক্যান্সার দিবস।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও আপুদের জানাই আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।
আমরা সবাই জানি ৪ঠা ফেব্রুয়ারি আজ ক্যান্সার দিবস।তাই ঐ সকল যোদ্ধাদের নিয়ে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।আজকে স্মরণ করতে চাই পৃথিবীর ঐ সকল মা-বাবা, ভাই-বোন এবং আত্মীয়স্বজনদের যাদের চোখের মনি,ভালোবাসার মানুষ তাদের চোখের সামনেই এই মরণব্যাধীর সাথে লড়াই করছে ক্যান্সার নামক মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে নিভু নিভু প্রদীপ হয়ে জ্বলছে।
আমরা মানুষ আর মানুষ সামাজিক জীব।আর একজন ভালো মানুষ হয়ে আমাদের সমাজে বসবাস করা উচিৎ। সামাজিক নিয়ম-নীতি মেনে সুন্দর ভাবে ও সুশৃংখলভাবে এই ভুবনে টিকে থাকতে হয়। আমাদের এই ভুবনে পথচলা সবার দীর্ঘস্থায়ী নয়। একদিন না একদিন এই ভুবন থেকে চিরতরে বিদায় নিতে হয়। এই ভুবনে আমরা যেমন একা এসেছি,ঠিক তেমনি একাই যেতে হবে সবকিছু ছেড়ে যেমন একটি সত্য কথা।
তেমনি আমাদের সমাজে আমরা সবাই যে কটা দিন বেঁচে থাকবো ভালো এবং সুস্থ থাকতে চাই কিন্তু যে কটা দিন বেঁচে আছি সবাই কমবেশি সবার জীবনে সমস্যার সম্মুখীন হই। কিছু সমস্যা ক্ষণস্থায়ী যেটা ডাক্তার দেখানোর পর ভালো হয়ে যায় বা সুস্থ হই কিন্তু কিছু সমস্যা আমাদের অনেকের জীবনে আছে যা কিনা যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয়। মনে হয় এই বুঝি চলে গেল আমার জীবনটা। যে জীবনের কোনো গ্যারান্টি নেই বাঁচার আশা থেকে মরীচিকা যোগাযোগ যে রোগ সেটি হচ্ছে ক্যান্সার।আজ ক্যান্সার দিবস।
এই পৃথিবীতে যারা এই মরণব্যাধি রোগ এর সাথে যুদ্ধ চালিয়ে জীবন কাটাচ্ছে তাদের জন্য আমার হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা উজার করে দিলাম। কথায় আছে যার হয় ক্যান্সার তার নেই এনসার।এই দিনে সব যোদ্ধারা তাদের মত বিনিময় করেন।এই যোদ্ধারা এমন ভাবে দিন যাপন করেন যা কি না নিজের চোখে না দেখলে বোঝা যায় না। তারা তাদের জীবনের প্রদীপটা জ্বেলে রাখতে চায় কিন্তু বিধাতার নিয়মে ভাগ্যে যা আছে তা তারা তাদের নিয়তির লিখন হিসেবে মেনে নেয়।
তারা যোদ্ধা, তারা সবাই তাজা গোলাপ,তারা সাহসী, তারা রজনীগন্ধা, তারা প্রদীপের শিখা, তারা জ্বলুক অনেক জলন্ত আগুন হয়ে তারা যেন নিভু নিভু প্রদীপ হয়ে না জ্বেলে মা-বাবা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজন এর মনের কষ্টের কারণ না হয়। বিধাতা এই ভুবনে তাদের ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ না করেও টিকে রাখতে পারেন। একজন মানুষ হয়ে আমরা যদি আরেকজনের কষ্টের কথা একটু অনুভব করি স্নেহময়ী মন দিয়ে তাহলেই বুঝতে পারবো সেই মানুষটি কত কষ্টে বা সুখে আছে।
আমরা আমাদের শরীরের কোন এক জায়গায় সমস্যা হলে কেমন ফিল করি? কখন সেই সমস্যার সমাধান মিলবে তার জন্য অস্থির ও মরিয়া হয়ে পড়ি কিন্তু যারা এই মরনব্যাধী রোগে আক্রান্ত হয়ে রাতের পর রাত, দিনের পর দিন যাপন করছে তাদের কষ্টের কথা আর কি বলি।তবে বিধাতার কাছে আমার আকুল মিনতি বিধাতা যেন এই যোদ্ধাদের ক্যান্সারের ছোবল ও ভয়ানক থাবা থেকে অব্যাহতি দেয়।
আসুন আমরা সবাই তাদের জন্য দোয়া করি, সবাই মিলে ভালো থাকি।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন নতুন রেসিপি এবং নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করতে পারলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম আমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন যেখানে আমি আমার সকল প্রতিভা স্বাধীনভাবে উপস্থাপন করতে পারি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একজন সদস্য হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি।আজকে আমি আপনাদের মাঝে "ভয়ানক ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ক্যান্সার দিবস" উপস্থাপন করলাম।
আমার ফ্রেন্ডলিস্টের এক ছোট ভাই ক্যান্সারে আক্রান্ত। গতকালকে তার পোস্ট দেখেই মনে পরে গেল চৌঠা ফেব্রুয়ারি ক্যান্সার দিবস। একটা কথাই বলতে চাই সৃষ্টিকর্তা সব ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের ক্ষমা করুক এবং মরণব্যাধি ক্যান্সার থেকে মুক্তি দিক।
আপনার দোয়া আল্লাহ কবুল করুক আমিন।
আমি জানি এর যত্নতা করো বেশি। কতো রাত হাস্পাতাল কাটালাম মাকে নিয়ে। এমন খারাপ একটা রোগ সৃষ্টিকর্তা কাউকে যেনো না দেয়েই দোয়া করি সব সময়। ক্যান্সার এর সব চাইতে খারাপ দিক হচ্ছে আজীবন এই রোগ থেকেই যায়।
জ্বি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন দোয়া করি আল্লাহ তা'আলা যেন আপনার মাকে সুস্থ রাখে, ভালো রাখে।
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল বোন আমার।