রেসিপি পোস্ট ||| মজাদার টক ঝাল মিষ্টি আমড়া মাখা।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টি কর্তার রহমতে ভালো আছি।আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত আপনাদের মাঝে নতুন নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হতে আজও তার ব্যতিক্রম নই।যখন নতুন কিছু তৈরি করি তখনই মনে হয় কখন আমার বাংলা ব্লগে নিয়ে হাজির হবো আর সবার সাথে সেই পোস্টটি শেয়ার করতে পারার আনন্দটাই অন্য রকম।
আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।টক খেতে সবাই ভালোবাসে। এই টক ফলের সাথে যদি ঝাল মিষ্টিও যোগ করা হয় তাহলে কিন্তু মন্দ হয় না।আমি আজ আপনাদের মাঝে আমড়া মাখা নিয়ে হাজির হয়েছি। এভাবে আমড়া মেখে খেতে খুব স্বাদ। একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। আমড়াতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। বর্তমান সময়ে অনেকেই ঠান্ডা জনিত সমস্যায় ভুগছে। ভিটামিন সি খেলে ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আমড়াতে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ও আয়রন রয়েছে। যা আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।তবে নিয়ম করে যদি বাচ্চাদের এই আমড়ার প্রতি আকৃষ্ট করি তাহলে বাচ্চাদের ক্যালসিয়াম ও আইরনের ঘাটতি পূরণ করতে পারবো।আমড়া ফল নানান রকমের রেসিপি তৈরি করে আমরা খেতে পারি মূলত রেসিপিগুলো হচ্ছে আমড়ার আচার, আমড়ার জেলি, আমড়ার খাটা, আমড়ার মোরব্বা,ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের রেসিপি। তবে আমড়া দিয়ে যে রেসিপি তৈরি করি না কেন খেতে কিন্তু অনেক স্বাদ।যদিও ঠান্ডা জনিত সমস্যা আমার পরিবারেও রয়েছে তাই তাদেরকে চেষ্টা করছি ঔষধ এর পাশাপাশি ভিটামিন সি জাতীয় ফল খাওয়াতে।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমড়া মাখা রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১। আমড়া।
২। কাঁচা মরিচ।
৩। শুকনা মরিচ।
৪। চিনি।
৫। সরিষার তৈল।
৬। লবন।
৭। বিট লবণ।
প্রথমে আমড়া গুলো ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার সেই আমড়া গুলোর গা থেকে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
খোসা ছাড়ানো আমড়া গ্রেটারে ভালো করে গ্রেট করে নিয়েছি।
কাঁচা মরিচ কুঁচি করে নিয়েছি।
এবার কুঁচি করে নেওয়া আমড়া গুলোর উপরে আমড়া বিচি দিয়ে চিনি ও শুকনা মরিচ দিয়ে মেখে নিয়েছি।
এবার সেই কুঁচি করা আমড়ার সঙ্গে কাঁচামরিচ লবণ ও বিট লবণ অ্যাড করে আবারও কিছুক্ষণ মেখে নিয়েছি।আর এভাবে হয়ে গেল আমার *"মজাদার টক ঝাল মিষ্টি আমড়া মাখা" ।এবার এই "মজাদার টক ঝাল মিষ্টি আমড়া মাখা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
আমড়া ফালি করে মাখিয়ে খেয়েছি কিন্তু এভাবে আমড়া মাখা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার এমন আমড়া মাখা দেখে জিভে জল চলে আসলো। একদিন অবশ্যই এভাবে আমড়া মাখা খেয়ে দেখবো। আপনার কাছ থেকে নতুন রেসিপি শিখে নিলাম। ধন্যবাদ লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু এভাবে আমড়া মাখা খেয়ে দেখেন অনেক মজা লাগবে।
একেবারে মুখরোচক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আমড়া মাখা দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না। অনেকদিন আগে আমড়া মাখা খেয়েছিলাম। টক ঝাল মিষ্টি আমড়া মাখা আমার খুবই পছন্দ। এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করতে হবে। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।
এক কথায় অসাধারণ আপু জিভে জল চলে আসলো দেখে। গতকালকে আমিও এভাবে ঝাল ঝাল করে তৈরি করে খেয়েছিলাম বেশ ভালো লাগছিল। আজকে তো আপনার টক ঝাল আচার মাখা দেখে আবার খেয়ে নিতে ইচ্ছে করছে। যদি থাকে তাহলে আমার জন্য এক প্লেট পাঠিয়ে দেন আপু।
আসলে আপু আমড়া মাখাটা কিন্তু আমার অনেক ভালো লেগেছিল আর এটি দেখলে যে কারো জিভে জলা আসারি কথা।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে এই রেসিপি এর নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে । আর আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে লোভ আর সামলাতে পারছি না। তাছাড়া আপনি আমড়া কুরে নিয়েছেন এতে করে এই আমড়া মাখা রেসিপিটি খেতে বেশী স্বাদ হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য আপু।
জি ভাই এভাবে আমড়া মাখা খেতে অনেক মজা ও সুস্বাদু লাগে।
আমড়া মাখা এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি আপু। আমড়া মাখা দেখেই জিভে জল চলে এসেছে। এই ধরনের খাবারগুলো খেতে অনেক ভালো লাগে। দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আপু আপনি অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। দারুন হয়েছে আপু।
একবার এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখেন আপু অনেক মজাদার ও টেস্টি।
🌞 Ah, what a beautiful day! 🌈 These stunning visuals 📸 are sure to brighten up anyone's day! 💡 Let's dive in and explore the amazing world presented here... 🔍 Who can tell me more about this captivating scene? 🤔 Do you have any thoughts or insights to share? 🤝 Let's engage, discuss, and learn from each other! 💬
By the way, don't forget to cast your vote for our esteemed witness xpilar.witness by visiting https://steemitwallet.com/~witnesses. Your support means the world to us! ❤️ With your help, we can continue building a stronger, more vibrant Steem community together! 🌟
ওয়াও অসাধারণ অপু অসাধারণ আপনি আজকে জিভে জল আসার মত একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে সত্যি সত্যি জিভে জল চলে এসেছে। আমাদের বাড়িতে একটা আমড়া গাছ আছে তবে আমড়া খেয়েছি ফালি করে এবং আসতো করে। তবে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার মজাদার টক ঝাল মিষ্টি আমড়া মাখা দেখে শিখে নিলাম এবার বাড়ি যেয়ে খাব। সবশেষে জিব্বায় জল চলে আসে এরকম একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। তবে দু একটি শব্দ মনে হয় একটু সমস্যা আছে দেখে নিবেন ভাই।
ঠিক বলেছেন আপু আমড়ায় ভিটামি সি ও আয়রনে ভরপুর। আমরা মাখা খেতে ভীষণ পছন্দের আমার।টক স্বাদের ফলটি সবার পছন্দের। আপনি দারুণ লোভনীয় করে আমড়া মাখা করেছেন এবং আমড়া মাখা পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎস দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
এভাবে তো কখনো আমড়া খাওয়া হয়নি, এভাবে তো আম খেয়েছিলাম। তাছাড়া আমড়া দেখলে কামড় দিয়েই খেয়ে ফেলি। এভাবে রেসিপি করার মত ধৈর্য লাগে। যেটা আমার কোন সময় হবে কি না জানি না। তবে আপনার রেসিপিটা আমার পছন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ।
এইভাবে আমড়া মেখে খেয়ে দেখেন ভাই অনেক মজা।
টক ঝাল মিষ্টি আমড়া মাখানোর লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনি যেভাবে রেসিপিটা তৈরি করেছেন তা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। এমন রেসিপি দেখলে জিভে জল চলে আসবে এটাই স্বাভাবিক।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ভাই।