রেসিপি পোস্ট ||| তরমুজের মজাদার পুডিং।
আসসালামু আলাইকুম।সবাইকে রমজান মোবারক। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার মেহেরবানীতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজ স্কুলের সামনে দেখি অনেক তরমুজ আলা তরমুজ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং সবাই তরমুজগুলো কিনছে।রীতিমত সবাই বলছিল ভাইয়ের এই তরমুজগুলো খুব মিষ্টি কাল নিয়েছিলাম এজন্য আজ আবারো আসছি তরমুজ নিতে। তাই যখন স্কুলের গার্জিয়ানরা তরমুজ নিচ্ছিল তখন আমি আর মিস করলাম না। আমিও তাদের তালে তাল মিলিয়ে একটা তরমুজ বাসায় নিয়ে আসলাম। বাসায় তরমুজ নিয়ে আসার পর দেখি আমার হাজব্যান্ড ও আরেকটি তরমুজ নিয়ে এসেছে । তাই চিন্তায় পড়ে গেলাম দুটো তরমুজ একসঙ্গে কি করব।আর তরমুজ ফ্রিজে রাখলেও নষ্ট হয়ে যায়। ভাবলাম খাবার নষ্ট করা ঠিক না। তাইতো ইফতারির অন্যান্য ভাঁজা পোড়া আইটেম কমিয়ে দিয়ে তরমুজের আইটেম বাড়িয়ে দিয়েছি। কিছু জুস তৈরি করলাম এবং তরমুজের পুডিং বানিয়ে ফেললাম। তবে তরমুজের পুটিংটি খেতে বেশ দারুন লেগেছিল। রমজান মাসে এরকম ডেজার্ট বানিয়ে খেলে পরিপূর্ণ তৃপ্তি আসে।আমি আজ আপনাদের মাঝে "তরমুজের মজাদার পুডিং" হাজির হয়েছি।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "তরমুজের মজাদার পুডিং" কিভাবে তৈরি করেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।তরমুজ।
২।চিনি।
৩।আগার আগার
৪।কিসমিস।
প্রথমে তরমুজের খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এবার সেই তরমুজগুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি।
কেটে নেওয়া তরমুজগুলো কাটিং মেশিন দিয়ে জুস করে নিয়েছি।
এবার সেই জুসগুলো একটি ছাকনা দিয়ে ছেকে নিয়েছি।
একটি বাটিতে এক চামুচ আগার আগার নরমাল পানি দিয়ে মিক্সড করে নিয়েছি।
এবার একটি সাসপেনে তরমুজের রস ও চিনি দিয়ে কিছুক্ষণ জাল করে নিয়েছি।
তরমুজের রস যখন বলক উঠেছে তখন তার ভিতরে আগার আগারের মিশ্রনটি দিয়ে অনেকক্ষণ নেড়েছি।
আগার আগার দিয়ে তরমুজের রস যখন বলক উঠেছে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
অন্য একটি বাটির নিচে কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি এবং গরম সেই মিশ্রণটি তার ভিতরে ঢেলে দিয়েছি । কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি ঠান্ডা হওয়ার জন্য। এরপর এক ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিয়েছি। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "তরমুজের মজাদার পুডিং" রেসিপি।এবার এই "তরমুজের মজাদার পুডিং" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "তরমুজের মজাদার পুডিং"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
স্কুলের সামন থেকে কিনে আনা তরমুজ নষ্ট না করে। ইফতারে ভাজা পোড়া কমিয়ে দিয়ে তরমুজের শরবত ও পুডিং বানিয়ে ইফতারি করেন জেনে ভালো লাগলো।আপনি চমৎকার সুন্দর ও লোভনীয় করে তরমুজ রেসিপি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে।ধাপে ধাপে পুডিং তৈরি প্রনালী চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
বরাবরই সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
আপু খুব ভালো কাজ করেছেন খাবার জিনিস নষ্ট না করে তা দিয়ে খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। তরমুজ বেশিদিন রেখে খাওয়া যায় না। আমিও যখন বেশি করে নিয়ে আসি তখন এই পদ্ধতি অবলম্বন করি। আমার কাছেও তরমুজের পুডিং ও জুস খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার পুডিং দেখে তো লোভ লেগে গিয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে কাজে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
আজকে আবার ভিন্ন ধরনের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন। তরমুজ দিয়ে খুব সুন্দর করে পুডিং রেসিপি করেছেন। যেটা আগে কখনো দেখা হয়নি খুবই সুন্দর হয়েছে। এই ধরনের ভিন্ন রেসিপি গুলো খেতে অনেক টেস্টি হয়। ভিন্ন রকমের স্বাদ পাওয়া যায়। আপনার পুডিং রেসিপি তৈরি দেখে অনেক ভালো লাগলো।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
পুডিং খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। তবে তরমুজের পুডিং কখনো খাওয়া হয়নি। এই রেসিপিটা আমার কাছে একদম ইউনিক মনে হয়েছে। দেখতে তো অনেক লোভনীয় লাগছে। আশা করি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। সুন্দর একটি রেসিপি সাথে পরিচিত করে দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই পুডিংটি খেতে অনেক মজাদার ও টেস্টি ছিল এবং ভিন্ন একটি সাধ পেয়েছি।
আপনার রেসিপিটি দেখে খুব ভালো লেগেছে আপু। এই গরমের দিনে রমজান মাসে তরমুজ খাবারের কোন বিকল্প হয় না। তরমুজ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে সারাদিন রোজা রেখে যখন তরমুজ খাওয়া যায় বেশ ভালই লাগে। তাছাড়া শরীরের পানির ঘাটতি পূরণ করে। অনেক ভালো লেগেছে আপু আপনার তৈরি করা তরমুজের পুডিং।
অনেক সুন্দর ভাবে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
তরমুজ দিয়ে যে পুডিং তৈরি করা যায় সেটা আজকে আপনার পোস্ট দেখে জানতে পারলাম। তবে তরমুজের পুডিং দেখতে কিন্তু দারুন লাগছে। পরিবেশন করা তরমুজের পুডিং রেসিপি দেখে কিন্তু খেতে ইচ্ছে করছে আপু।
আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে বিষয়টি আমার জন্য অনেক উৎসাহের।
দুটো তরমুজ থাকায় অনেকটাই দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে গিয়েছিলেন তারপরে আপনি নিজের বুদ্ধি মাত্রা কাজে লাগিয়ে মজাদার একটা তরমুজের পুডিং রেসিপি তৈরি করেছেন জেনে ভালো লাগলো। সত্যি বলতে তরমুজ দিয়েও যে এরকমভাবে পুডিং তৈরি করা যায় সেটা জানা ছিল না এই প্রথম আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। বোঝাই যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল, শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গঠনমূলক মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
তরমুজের পুডিং রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি পরিবেশন দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। আপনি খুবই দক্ষতার সাথে তৈরি করলেন আর ধাপগুলো দেখেই শিখে নিলাম পরবর্তীতে তৈরি করে দেখবো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার তৈরীর ধাপ গুলো দেখে আপনি রেসিপিটি শিখতে পেরেছেন।
যাক আপু ঝটপট বুদ্ধিতে আর অপচয় হলো না।ইফতারে সময় এমন তরমুজের শরবত আর এমন একটি পুডিং থাকলে তো কথাই নেই।খেতেও ভিষণ সুস্বাদু হয়।যদিও আমি কালকে তৈরি করে খেয়েছিলাম।তবে এখন দেখে আবার লোভ লেগেগিয়েছে।অনেক ধন্যবাদ আপু।
গঠনমূলক মন্তব্য করে কাজ আগ্রহ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে খাবার অপচয় করা সত্যি ঠিক না। তার থেকে ভালো খাবারগুলো যদি বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগবে। আপনি তরমুজের জুস এবং তরমুজের পুডিং তৈরি করেছিলেন শুনে ভালো লেগেছে। ইফতারের আইটেমে ঠান্ডা ঠান্ডা পুডিং খেতে এবং ঠান্ডা ঠান্ডা জুস খেতে ভালোই লাগে। আজকে পুডিং এর রেসিপি টা শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। পুডিং দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে। তরমুজের এই পুডিং টা একেবারে ইউনিক লেগেছে।
আমার রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে যেনে অনেক ভালো লাগলো আপু।