ছোট গল্প |||| একজন মানুষ গড়ার কারিগর পর্ব-০২।
হ্যালো
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে আমার "একজন মানুষ গড়ার কারিগর পর্ব-০২" নিয়ে হাজির হয়েছি।জানিনা আমার গল্প গুলো আপনাদের কেমন লাগছে তবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেলে আমার খুব ভালো লাগে।
এদিকে তার তৃতীয় ছেলে সেনাবাহিনীতে চাকরি করে। উনি তার বাবার চলা চলের খবর নিয়ে সে অনেক অসন্তুষ্ট এবং সে তার বাবাকে অর্থাৎ মাস্টার মশাই কে বললেন যে বাবা আমি তোমার পরিবার নিয়ে অর্থাৎ তুমি ও মার সংসার চালানোর দায় দায়িত্ব আমাকে দাও আমি তোমার পরিবার চালাবো।তখন মাস্টার মশাই বললেন যে না তোমার দুইটি মেয়ে আছে।তুমি মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ এবং তোমার সংসার চালিয়েই হিমসিম খাবে।তুমি আবার আমার জন্য কষ্ট করার দরকার নেই আর আমরা এখন বুড়োবুড়ি হয়ে গিয়েছি এভাবেই চলে যাবে আমাদের জীবন।কিন্তু ছেলে সে কথাতে কোনভাবেই রাজি হচ্ছিল না এবং জোর করেই তার ছেলে বললেন না বাবা আমি তোমাদের সংসারের সকল খরচ এবং তোমরা যাতে ভালো থাকো তা করতে যা করা দরকার আমি করব আমার জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও।
মাস্টার মশাই তার ছেলেকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করল কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হল তার ছেলের কাছে।তার ছেলের কথাই ঠিক রইল তার ছেলে তার বাবা মা-র সকল খরচ চালানোর দায়িত্ব নিলেন।এবার মাস্টার মশাই মোটামুটি অনেকটুকু নিশ্চিন্তে বসবাস করা শুরু করল এবং তাদের পরিবারের মধ্যে সুখ চলে এলো।বাকি দুই ভাইয়ের সংসারে এবং ছোট ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ নিয়ে সবার মধ্যে সমস্যা চলছিল।তখন সবাই মিলে এই সেনাবাহিনীতে চাকরিরত ভাইয়ের কাছে আবদার করলেন যে আমাদের সংসারে একটু তুমি সাহায্য সহযোগিতা করো, না হলে আমরা আমাদের সংসার ঠিক মতো চালাতে পারছি না।আবার ছোট ভাই বললেন আমি লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারছি না।
এবার মোটামুটি সব ভাইয়েরাই দেখা গেল এই সেনাবাহিনীতে চাকরীরত ভাইয়ের কাছে খুব ভালো সাজার চেষ্টা করলেন এবং সব সময় তার কথায় চলাফেরা করতে ছিল যাতে সে সবাইকে সহযোগিতা করে।এবার সে তাদেরকে একটু আকটু সহযোগিতা করেও চলল তার যতোটুকু সামর্থ্য ছিল ততটুকু সামর্থ্য দিয়ে।কিন্তু তার বাবা-মা বলতো যে তুমি এভাবে সবাইকে সাহায্য সহযোগিতা করলে একসময় দেখা যাবে তোমার দুইটি বাচ্চার লেখাপড়ার খরচ এক সময় হয়তোবা চালাতে পারবা না তুমি এভাবে নিজেকে একেবারে সবার মধ্যে বিলিয়ে দিও না বাবা।
কিন্তু সে তার বাবা মার কথা কে অপেক্ষা করে সে সবাইকে সহযোগিতা করল তারা সাধ্যমত এবং সহযোগিতা করতে করতে তার সবকিছু সে সবার পিছনে খরচ করলো তার ভবিষ্যতের জন্য কিছু আর রইল না।এভাবেই চলল মাস্টার মশাই এর পুরো সংসার আর পুরো সংসারের দায়ভারে যেন তার ওই এক ছেলেই নিয়ে ফেলল। যার কারণে প্রত্যেকটা পরিবারই খুব সুন্দর ভাবে এবং সুখের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করা শুরু করে দিলো।তার বড় ভাইয়ের দুই ছেলেও মোটামুটি পড়াশোনা শেষের দিকে চলে আসল তারাও চাকরির জন্য চাকরি খুজতে ছিল।তার ছোট সেও মোটামুটি ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে দিল আর এভাবে সে তার যত উপার্জন সবার পিছনে খরচ করতে লাগলো কিন্তু তার স্ত্রী বলতো তুমি তোমার মেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য কিছু অন্তত রাখো যেটা তোমার চাকরি শেষে আমাদের পরিবার চালাতে সহযোগিতা করবে।
কিন্তু সে তার স্ত্রীর কথা শুনল না এবং সে বলত যে না আমাকে আমার সৃষ্টিকর্তাই চালাবে।আমার কাছে যেহেতু সবাই এসেছে অতএব আমি আমার সর্বস্ব দিয়ে হলেও তাদের সহযোগিতা করে যাব।ভবিষ্যৎ নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না তুমি খাবার দাবার পাচ্ছ তুমি চুপচাপ তুমি তোমার সংসার পরিচালনা কর।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি।তবে আবার পরবর্তী পর্ব নিয়ে খুব শিগগিরই আপনাদের মাঝে হাজির হব সে পর্যন্ত আপনাদের কাছ থেকে বিদায় চেয়ে নিচ্ছি।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
অনেক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে প্রকাশ করেছেন আপু। আমি এমনিতে গল্প করতে খুবই পছন্দ করে থাকি। ঠিক তেমনি মাস্টারমশাইয়ের এই গল্পটা আমার অনেক ভালো লাগলো। প্রত্যেকটা পিতামাতা চাই তার সন্তান সুখে থাকুক ভালো থাকুক। নিজে কষ্ট থাকলেও সন্তানদের কষ্ট তারা সইতে পারে না। এইজন্য ডিফেন্সের চাকরি করা ছেলে সহায়তা করতে চাইলেও বাবা না করছিল। যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন মাস্টারমশাই এবং তার ছেলেদের বিষয়গুলো। ভালো লাগলো পড়ে।
সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।