ছোট গল্প |||| মায়ের দোয়া পর্ব-০৩।
আসসালামু আলাইকুম।আশা করি সকলেই সবার পরিবার নিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আপনাদের দোয়া ও মহান আল্লাহ তায়ালার রহমতে সপরিবারে ভালো আছি।
source
আজকে আমি আবারও আপনাদের মাঝে "মায়ের দোয়া পর্ব-০৩" গল্প নিয়ে হাজির হয়ছি।আপনাদের উৎসহ ও সহযোগিতায় গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুন বেড়ে গেছে।
গনি মিয়া ঠিক তার মায়ের কথায় বাধ্য হয়ে মায়ের কথা মতো শহরে একটি বাসা নিয়ে বউ বাচ্চা এবং মাকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন।আর গ্রামের জমি জমা দেখাশোনার পাশাপাশি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন।আবার শুরু হয় গনি মিয়ার জীবনে চড়াই উত্থারাই এবং কঠিন পরিশ্রম, টেনশন সামলাবে না বাচ্চাদেরকে কিভাবে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে নেবে ও মায়ের পিছনে চিকিৎসার একটি খরচ সেটা কি ভাবে বহন করবে।
এইসব ভাবতে ভাবতে গনি মিয়া অনেক অসুস্থ বোধ করে এবং শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারপরও গনি মিয়া কখনো তার বউ বা মায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কোন কথা বলেনা। সে শুধু টাকা ইনকামের জন্য দৌড়াদৌড়ি ছোটাছুটির মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিল।আর এই সময়টা গনি মিয়া তার পরিবার এবং বউয়ের পরিবার কোন জায়গায় থেকেই কোন ধরনের সহযোগিতা বা মানসিক সহযোগিতা বা কথা দেয় কেউ সহযোগিতা করবে এরকম কোন কিছু গনি মিয়ার ভাগ্যে আর জুটলো না। সবাই শুধু বলাবলি করছিল যে গনি মিয়া ধ্বংস হয়ে গেছে তার বাচ্চাগুলো এখন কি করবে।
এবিষয়গুলো নিয়ে সবাই চিন্তা করত কিন্তু কখনো গনি মিয়া কি করলে তার পরিবারটাকে নিয়ে ভালো থাকবে বা তার পরিবারটা সচ্ছলতার দিকে ফিরে আসবে এ বিষয় গুলো নিয়ে কেউ কখনো পরামর্শ বা সহযোগিতা করত না।তখন সবার একটি চিন্তা যে গনি মিয়ার পরিবার তো ধ্বংস হয়েছে।এখন গনি মিয়া তো আর কোন কিছু করতে পারবে না।এখন তার জমিজামাগুলোকে বিক্রি করবে এই জমিজমা গুলো কে কিভাবে কিনবে এই বিষয়গুলো নিয়ে সবাই চিন্তায় মগ্ন ছিল।
আর কোন পরিবারই তখন আর গনি মিয়ার সঙ্গে কেউ কখনো আর ভালোভাবে কথা বলত না আগের মত গনি মিয়াকে যেমন সবাই চোখে হারাতো এবং সবাই অনেক ভালোবাসতো কিন্তু এখন গনি মিয়াকে দেখলে মনে হয় সকলেই তাদের চোখ ফিরিয়ে নেয় এবং হাঁটার পথে দেখা হলে তার পথ থেকে তারা অন্য পথে যাওয়ার চেষ্টা করেন।এ বিষয় গুলো যখন গনি মিয়া বুঝতে পেরেছে।তখন গনি মিয়ার খুব কষ্ট হতো যে তাকে দেখে সবাই এরকম ব্যবহার করছে এটা সে মেনে নিতে পারছিল না। কারণ এদিকে একে তো গনি মিয়ার টাকা ইনকামের চেষ্টায় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন।যাতে টাকা ইনকাম করতে পারে এবং তার পরিবারটাকে আবার সচ্ছলতায় ফিরে আনতে পারবে।
কোথায় এ অবস্থায় সবার সহযোগিতা আশা করবে সেখানে উল্টো সকলেই তার সঙ্গে বিরূপ ব্যবহার করছে যেটা আসলে একজন স্বাভাবিক মানুষের মেনে নেওয়া অসম্ভব।এই বিষয়গুলি যখন গনি মিয়া তার বউয়ের সঙ্গে শেয়ার করত।তখন তার বউ তাকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করে রাখার চেষ্টা করত।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার ও উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে এবং নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে ও নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে চেষ্টা করি এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষদের নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতা করতে নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "মায়ের দোয়া পর্ব-০৩"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
গনি মিয়ার সাথে যে ঘটনাটি ঘটছে সেটা আসলেই কাম্য নয় কারণ একজন মানুষ যখন বিপদগ্রস্ত হয় তখন তারা আশপাশের মানুষগুলো তার পাশে দাঁড়ায় কিন্তু গনি মিয়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উল্টাই ঘটেছে।