ছোট গল্প ||| ভালোবাসার নীল গোলাপ।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমি আপনাদের দোয়া সৃষ্টিকর্তা রহমতে বেশ ভালো আছি।
Source
আপনারা ইতি মধ্যে জেনেছেন যে আমি আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত কবিতা লিখে থাকি কিন্তু কিছুদিন হল গল্প লেখা শুরু করেছি এবং আপনাদের অনেক সাড়া পেয়েছি এজন্য গল্প লেখা আরো বেশি উদ্বুদ্ধ হয়েছি।চেষ্টা করে যাচ্ছি গল্পগুলো আপনাদের মাঝে বেশ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য। আজও হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আরেকটি বাস্তবতে ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে।আমি আজ আপনাদের মাঝে "ভালোবাসার নীল গোলাপ" গল্পটি নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে গল্পের মূল পর্বে যাওয়া যাক।
বেশ দারুন একটি গ্রাম ।সেই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বিশাল একটি নদী। নদীটা এতো সুন্দর ছিল যে কাউকে আকৃষ্ট করতো। সে গ্রামের নাম ছিল দেওয়ানপাড়া। দেওয়ান পাড়ায় আইয়ুব চাচার তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সংসার। তিন মেয়ে ছিল তার সংসারে বড় আর ছেলেটি ছিল ছোট। গ্রামের লোকজন তাকে সব সময় বলাবলি করত তোমার ঘরে শুধু আল্লাহ মেয়েদের ভরিয়ে দিয়েছে। যদি সবগুলো ছেলে হতো তাহলে তোমার আয় রোজগার আরো বেড়ে যেত। কিন্তু আয়ুব চাচা তাদের কথায় কখনো কান দিতনা।
আইয়ুব চাচা সব সময় বলতো আমার মেয়েগুলো আমার ঘরে রহমত। আ ইয়ুব চাচা দপ্তরির কাজ করতো। এবংপাশাপাশি সাংসারিক কাজগুলো সে নিজে করত সংসারের উন্নতির জন্য । চারটা সন্তানকে তার ইচ্ছা ঠিক ভাবে মানুষ করা এবং লেখাপড়া শিখে স্বুশিক্ষিত ভাবে গড়ে তোলা। মেয়েদেরকে রীতিমতো সে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিয়েছে এবং তার পক্ষে বাচ্চাদের ভরণপোষণ দেওয়া একসময় অনেক কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু তারপরও সে হতাশ হয়নি। আইয়ুব চাচার একটি চাচাতো ভাই ছিল সে আমেরিকার প্রবাসী।
পাঁচ ছয় বছর পরে সে দেশে ফিরে এবং সবার সাথে কথা বলে এবং সবাইকে সুপরামর্শ দেয়। কখনো তার মাধ্যমে কেউ কখনো কুপরামর্শ পায়নি। আর এজন্য হয়তোবা তাকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। আইয়ুব চাচার মেয়ে তিনটির মধ্যে বড় দুটি এসএসসি পাস করেছে। এরপর গ্রামের লোকজন এক প্রকার বলা শুরু করল মেয়েদেরকে আর পড়িয়ে কিহবে তাদেরকে দিয়ে দাও। ওই যে ভাগ্য বলে একটি কথা আছে। আর চাচা সেই মুহূর্তে তার চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে পরামর্শ নিল। এবং তাকে বলল আমার মেয়েদেরকে এখন বিয়ে দিব।
তারপর সে বলল আরেকটু পড়ালেখা করাও পরের বার আমি দেশে বেক করে তোমার মেয়েকে আমার সঙ্গে নিয়ে যাব ওখানে ও জব করবে নিজের পায়ে দাঁড়াবে তোমাদেরও খরচ বহন করবে। যে কথা সেই কাজ তারপর বড় মেয়েটি ইন্টার পাশ করে বাইরে যাওয়ার সব কাগজপত্র রেডি করলো।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "ভালোবাসার নীল গোলাপ"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
বর্তমানে মেয়েরা স্কুলের গন্ডি পার হওয়ার পরেই তো তাদের বিয়ের কথাবার্তা শুরু হয়ে যায়। যেহেতু আইয়ুব চাচার মেয়ে ইন্টার পাশ করেছে আর বাইরে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে তাই পরবর্তী পর্ব পড়ার প্রতি আগ্রহ রয়ে গেল আসলে সে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পেরেছিল কিনা সেটা জানার জন্য।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আইয়ুব চাচার মেয়েদের কথা শোনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে আপু চাচা মেয়ে হওয়াতেও অখুশি হননি।যাইহোক যেহেতু তার মেয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য কাগজ পত্র রেডি করছে, আশাকরি ভালো কিছুই হবে। ধন্যবাদ আপু।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু,এই গল্পটি এখানেই শেষ নাকি বাকি আছে।গল্পের শেষ পড়ে অসম্পূর্ণ লাগলো,যাইহোক বাস্তব জীবনের গল্প পড়তে বরাবরই আমার কাছে ভালো লাগে।সমাজে কুবুদ্ধি দেওয়ার মানুষের অভাব নেই যেমনটি আইয়ুব চাচার মেয়ে হওয়ার দরুন শুনতে হয়েছে।আপনার গল্পটিও দারুণ হয়েছে, ধন্যবাদ আপু।
মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
ভালোবাসার নীল গোলাপ গল্পটার পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে কত মানুষ কত কিছুই তো বলবে। এই কথাগুলোর দিকে কান না দেওয়াই সবথেকে বেশি ভালো। আইয়ুব চাচা ও ওই মানুষগুলোর কথায় কান না দিয়ে ভালো করেছে। চাচার চাচাতো ভাই অনেক ভালো মানুষ ছিল। তাইতো তিনি সবসময় সবাইকে সুপরামর্শ দিয়ে এসেছে। আইয়ুব চাচার মেয়ের ইন্টার শেষ হওয়ার পর বিদেশে যাওয়ার জন্য কাগজপত্র সবকিছু রেডি করেছিল জেনে ভালো লাগলো। এই পোস্টটা আমার অনেক ভালো লেগেছে আপু।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
খুব ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে সুন্দর ছোট গল্পটি পড়ে। আসলে অনেক মানুষ অনেক ধরনের কথা বলবে৷ তবে এই কথাগুলোর উপর আমাদের কান দেওয়া উচিত না এবং আমাদের নিজের জন্য যা সঠিক মনে হবে আমাদেরকে তাই করা উচিত৷ এই গল্পের আইয়ুব চাচা ওই ব্যক্তিদের কথা না শুনে খুব ভালোই করেছেন৷ তবে তার চাচাতো ভাইরা অনেক ভালো ছিল৷ তারা সব সময় তাকে সুপরামর্শ দিয়ে তার পাশে থাকতেন৷ তিনি নিজ পরিবারের মানুষদের সাথে বসে সব কিছুই সম্পন্ন করেছেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷ অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি ছোট গল্প শেয়ার করার জন্য৷
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ সবসময় সুন্দর গল্প শেয়ার করার জন্য৷
আমার গল্পটি পড়ে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
আপনার গল্পটি অনেক সুন্দর ছিল৷ আমিও গল্প তৈরি করার চেষ্টা করব।
আইয়ুব চাচার চাচাতো ভাই উনাকে সব সময় ভালো পরামর্শ দিয়ে এসেছে। আর মেয়েদেরকে বিয়ে না দিয়ে ভালোই করেছে। মেয়েরা ভালোভাবে পড়ালেখা করলে ভালো একটা জব করতে পারবে, এবং কি বাবার সংসারটাকেও চালাতে পারবে। এর মাধ্যমে মেয়েরা অন্য মানুষদের চোখ খুলে দিতে পারবে, শুধু ছেলেরা না মেয়েরাও পারে সংসার চালাতে। আশেপাশে মানুষ থাকলে অনেকে অনেক কিছু বলবে, এইসব কথাতে কান না দেওয়া নিজের জন্য ভালো। এখন তাহলে মেয়ে বিদেশে যাবে।
সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
দেওয়ানপাড়া আইয়ুব চাচা পরিবারের গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে অনেক ফ্যামিলিতে মেয়ে বেশি থাকলে অনেকে অনেক কথা বলে। হয়তোবা আইয়ুব চাচার ফ্যামিলিতে মেয়ে বেশি ছিল এই কারণে গ্রামের লোক গুলো ভালো পরামর্শ দেয় নাই। আর মেয়েরা শিক্ষিত হলে বাবা-মায়ের জন্য আরো বেশি করে। যাইহোক মেয়েটি ইন্টার পাশ করার পর তাকে আমেরিকা নিয়ে যাওয়ার কাগজ রেডি হয়েছে শুনে ভালো লাগলো। সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
সব সময় পাশে থেকে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
বর্তমান সময়ে মেয়েরাও পড়ালেখা করে অনেক দূর যায়। আইয়ুব চাচার পরিবারের গল্পটি খুব সুন্দর করে লিখেছেন। হয়তোবা তার ফ্যামিলিতে মেয়েগুলো বড় ছেলেটি ছোট। এই কারণে হয়তোবা ইনকাম করার লোক ছিল না। তবে এখনো ভালো পরামর্শ দেওয়ার লোক আছে। যেমনটি আইয়ুব চাচার চাচাতো ভাই তাকে ভালো পরামর্শ দিয়েছে মেয়েদেরকে লেখাপড়ানো করার জন্য। বড় মেয়ে পড়ালেখা করেছে বিদায় সেই বিদেশ যাওয়ার কাগজপত্র রেডি হয়েছে। সুন্দর করে গল্পটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি কবিতার পাশাপাশি গল্প লেখা শুরু করেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনি কিন্তু খুব সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন। আপনার এই গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। মেয়ে বলে কথা তাই একটু বড় হলেই বিয়ে দেওয়ার জন্য সবাই উঠে পড়ে লাগে। আইয়ুব চাচার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। কিন্তু আইয়ুব চাচা তার চাচাতো ভাইয়ের কথায় বিয়ে না দিয়ে আরও একটু পড়ালেখা করায়। এরপর বড় মেয়েকে বিদেশে পাঠানোর জন্য সব কাগজ পত্র ঠিক করে। এরপর কি হলো জানার জন্য পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ আপু।